|
|
|
|
|
৩ দফায় ভোট কি না, চূড়ান্ত হল না বৈঠকে
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
|
তিন দফায় পঞ্চায়েত ভোট করতে চেয়ে মঙ্গলবারেই সরকারকে চিঠি দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কিন্তু বুধবার বৈঠকে বসেও এই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারল না রাজ্য সরকার। ফলে সরকার এ দিন কমিশনের চিঠির জবাব দেয়নি। পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী নেওয়া হবে কি না, সেই ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি রাজ্য।
এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, “পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে আমরা আগেই বলেছি, ভোটের ব্যাপারে কমিশনের সঙ্গে সহযোগিতা করব। আমাদের আশা, নির্দিষ্ট সময়েই ভোট হবে। এবং কমিশন আইনমাফিক ভোট করবে।”
পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট নিয়ে কয়েক মাস ধরে সরকারের সঙ্গে কমিশনের নজিরবিহীন মতপার্থক্য চলছে। প্রথমে এক দফায় ভোট চায় রাজ্য। পরে তারা সেই অবস্থান থেকে পিছিয়ে আসে। কমিশনকে লেখা শেষ চিঠিতে সরকার জানায়, তারা দু’দফায় ভোট করতে রাজি। কমিশন প্রথম থেকেই তিন দফায় ভোটের পক্ষপাতী। মঙ্গলবার চিঠি দিয়ে তারা ফের তা জানায়। রাজ্য পুলিশের নজরদারিতেই ভোট হবে, নাকি কেন্দ্রীয় বাহিনী আনা হবে তা নিয়ে মীমাংসা হয়নি।
তারা যে তিন দফায় ভোট করার ব্যাপারে অনড়, কমিশন চিঠি দিয়ে তা জানিয়ে দেওয়ায় এ দিন রাজ্যের মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী। সেই দীর্ঘ বৈঠকেও কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছনো যায়নি, জানান সুব্রতবাবু। মহাকরণ সূত্রের খবর, নিজেদের মধ্যে আরও কয়েক দফা আলোচনা করে কমিশনের চিঠির উত্তর দেবে রাজ্য। কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে তিন দফায় ভোট করার জন্য কমিশনের প্রস্তাব রাজ্য মানবে কি না, তা এখনও অস্পষ্ট। তবে প্রশাসনের একাংশের মত, রাজ্য জুড়ে আইনশৃঙ্খলার অবনতির কারণে কমিশনের প্রস্তাব মেনে নেওয়া ছাড়া রাজ্যের আর কোনও উপায় নেই।
সরকার-কমিশন টানাপোড়েনের মধ্যেই প্রদেশ কংগ্রেস দাবি তুলেছে, বিরোধী পক্ষের প্রার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে বিডিও, এসডিও-র অফিসে পর্যাপ্ত সশস্ত্র বাহিনী রাখা হোক। মনোনয়নপত্র জমা ও প্রত্যাহারের দিনগুলিতে রাস্তাতেও পর্যাপ্ত পুলিশ চায় কংগ্রেস। এ দিন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডেকে এই বিষয়ে স্মারকলিপি দেয় তারা। প্রদেশ সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, “অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য প্রতিটি বুথে অন্তত চার জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান রাখা হোক। আর নির্বাচন হোক কমপক্ষে চার দফায়।” তাঁর আশঙ্কা, বিরোধীদের মনোনয়নপত্র আটকাতে গ্রামবাংলায় ব্যাপক সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করবে শাসক দল। নির্বাচন ঘিরে রাজ্যে রক্তপাতেরও আশঙ্কা করছেন প্রদীপবাবু। তিনি বলেন, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি বেশি উদ্বেগজনক।”পঞ্চায়েত ভোটের আগেই কমিশন যাতে তফসিলি জাতি-উপজাতি শংসাপত্র দেওয়ার বিষয়টি দেখে, তারও আবেদন জানিয়েছেন প্রদীপবাবু। অভিযোগ, “শংসাপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে বাছবিচার করা হচ্ছে।” |
|
|
|
|
|