পরপর চার বার। একই আদালতে চতুর্থ বার জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গেল আরাবুল ইসলামের। সরকার পক্ষের আইনজীবীরা জামিনের বিরোধিতা করেননি।
তবু বুধবারেও জামিন পেলেন না ভাঙড়ের ওই তৃণমূল নেতা। পুলিশের ‘কেস ডায়েরি’ এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি বিচার করে ভাঙড়ের হাঙ্গামায় অভিযুক্ত আরাবুলের আর্জি খারিজ করে দেয় আলিপুরের জেলা ও দায়রা আদালত। এর আগেও পরপর তিন বার ওই আদালতে তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন বিচারক।
বুধবার ধর্মঘটের জেরে আলিপুরের পুলিশ এবং জেলা ও দায়রা আদালত চত্বর কার্যত সুনসান ছিল। তবে আরাবুলের জামিনের আবেদনের শুনানিতে ভিড় জমে যায় এজলাসে। আইনজীবীদের সওয়াল শোনেন জেলা ও দায়রা বিচারক সুদীপ অহলুওয়ালিয়া। অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী শুভাশিস ভট্টাচার্য, সমীর দাসদের সঙ্গে সঙ্গে অভিযোগকারীর তরফে সুশীল চক্রবর্তী, শ্যামসুন্দর চোপরারা তাঁদের বক্তব্য পেশ করেন আদালতে। সিপিএমের মিছিলে গুলি-বোমার ঘটনায় গুলিবিদ্ধ মহিদুল মোল্লা, সুজিত দাসদের ‘ইনজুরি রিপোটর্র্র্’ আদালতে পেশ করেন সুশীলবাবুরা।
ধৃত তৃণমূল নেতার আইনজীবীরা বলেন, ২৫ দিন ধরে আরাবুল হাজতে রয়েছেন। মুখ্য সরকারি আইনজীবী শ্যামাদাস গঙ্গোপাধ্যায়, তীর্থঙ্কর রায় এর পরেই বিচারককে জানান, তদন্তের জন্য অভিযুক্তকে আর হেফাজতে রাখার প্রয়োজন নেই। তাঁরা সরাসরি জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করছেন কি না, সরকার পক্ষের কৌঁসুলিদের তা জানাতে বলেন বিচারক। শ্যামাদাসবাবু জানান, তাঁদের বক্তব্যের অর্থ এটাই।
আদালত খোলা থাকলেও আইনজীবীদের অনেকে না-আসায় এ দিন স্বাভাবিক কাজকর্ম থমকে যায় আলিপুরে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী বিচারকেরা এজলাসে উপস্থিত ছিলেন। বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্তদেরও পুলিশ ভ্যানে চাপিয়ে আদালতে নিয়ে আসা হয়।
সরকার পক্ষ এবং তৃণমূল প্রভাবিত আইনজীবীরা ছাড়া অন্য আইনজীবীদের অনেকেই আদালতে যাননি। আইনজীবী হাজির না-থাকায় শুনানি হয়নি অনেক মামলারই। বিচারকদের অনেকেই এজলাস থেকে নেমে খাস-কামরায় চলে যান। ফাঁকা ছিল আদালতের বিভিন্ন বার লাইব্রেরিও। আসামিদের সঙ্গে দেখা করার জন্য আত্মীয়বন্ধুদের ভিড়ও তেমন চোখে পড়েনি। |