|
|
|
|
জ্ঞানেশ্বরী শুনানি |
আইনজীবীরা নেই, হল না সাক্ষ্যগ্রহণও
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
ধর্মঘটে অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবীরা আদালতে আসেননি। তাই জ্ঞানেশ্বরী মামলায় সাক্ষ্য দিতে এসেও ফিরে গেলেন এক বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট। তিনি আদালতে আর্জি জানান, আজ, বৃহস্পতিবার যেন তাঁর সাক্ষ্য নেওয়া হয়। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে।
জ্ঞানেশ্বরী মামলায় বুধবার সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল দুই বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট অপূর্বকুমার ঘোষ এবং রোহন সিংহের। এ দিন নির্দিষ্ট সময়েই আদালতে উপস্থিত হন অপূর্ববাবু। তিনি এই মামলায় অভিযুক্ত একজনের গোপন জবানবন্দি নিয়েছিলেন। তাই তাঁকে সাক্ষী করেছে সিবিআই। নির্দিষ্ট সময় এজলাসে ওঠেন বিচারক পার্থপ্রতিম দাস। ছিলেন সিবিআইয়ের আইনজীবী পার্থ তপস্বীও। তবে আসেননি অভিযুক্তপক্ষের একজন আইনজীবীও। তাঁদের উপস্থিতি ছাড়া সাক্ষ্যগ্রহণ সম্ভব হয়। ফলে শুনানি আর এগোয়নি। এজলাসে উঠে বিচারক অভিযুক্তদের উদ্দেশে বলেন, “আপনাদের আইনজীবীরা তো আসেননি। ওঁরা না এলে মামলা হবে কী করে?” অভিযুক্তরা নিরুত্তর থাকেন। এরপর বিচারকের বক্তব্য, “আপনাদের আইনজীবীরা আসেননি বলে আজ মামলা হবে না। কাল হবে।” এ দিন রোহনবাবুরও সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। |
|
এ দিন আর শুনানি এগোবে না জানতে পেরে অপূর্ববাবু বিচারকের কাছে আবেদন জানান, আজ, বৃহস্পতিবার যেন তাঁর সাক্ষ্য নেওয়া হয়। বিচারক সেই আবেদন মঞ্জুর করেন। এ দিন এই মামলায় জেলবন্দি আলতাব হোসেনের চিকিৎসার ব্যাপারেও খোঁজখবর নেন বিচারক। আলতাবের আইনজীবী মঙ্গলবার আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন, তাঁর মক্কেলের চিকিৎসার ব্যাপারে যেন মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়। আলতাবের গলায় ব্যথা রয়েছে। এ দিন ওই অভিযুক্তের কাছে বিচারক জানতে চান, “আপনার চিকিৎসা হচ্ছে তো?” আলতাবের জবাব ছিল, “চিকিৎসা হচ্ছে না।” এরপরই বিচারক বলেন, “আমি যা নির্দেশ দেওয়ার দিয়ে দিয়েছি। সংশোধনাগারে ফিরে গিয়ে খোঁজ নেবেন।”
সোমবার থেকে মেদিনীপুরের বিশেষ জেলা ও দায়রা আদালতে শুরু হয়েছে জ্ঞানেশ্বরী মামলার শুনানি। প্রথম দিন সাক্ষ্য দেন দুর্ঘটনাগ্রস্ত জ্ঞানেশ্বরীর চালক বিভয়কুমার দাস এবং গার্ড শ্রীবাসচন্দ্র ঘোষ। মঙ্গলবার সাক্ষ্য দেন সহ-চালক ত্রিলোচন দেবাঙ্গন। কাল, শুক্রবার পর্যন্ত প্রথম পর্যায়ের সাক্ষ্যগ্রহণ চলবে। |
|
|
|
|
|