আর্সেন ওয়েঙ্গারের বিপর্যয়ের ঘড়া পূর্ণ হওয়ার দিকে আরও খানিকটা এগোল। এগিয়ে দিল বায়ার্ন মিউনিখ। গত রাতে আর্সেনালকে তাদেরই ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোয় ৩-১ গোলে চুরমার করে।
বিধ্বস্ত ওয়েঙ্গার ম্যাচের পর ড্রেসিংরুমে একা পঁচিশ মিনিট বসে ছিলেন। আর্সেনালে তাঁর ১৬ বছরের হেড কোচ-জমানায় ক্লাব এই প্রথম বার একই মরসুমে ছ’টা হোম ম্যাচ হারের লজ্জা বহন করল বুধবার। থিও ওয়ালকট, জ্যাক উইলশিয়ারদের ম্যাচ শেষে টানেল দিয়ে মাঠ ছাড়ার সময় আর্সেনাল সমর্থকদের তীব্র টিটকিরি হজম করতে হয়। হতাশ ওয়েঙ্গার স্বীকার করেছেন, “সত্যি বলতে লজ্জা নেই যে, ফিরতি ম্যাচ মিউনিখের মাঠে নেমে এর চেয়েও বড় ব্যবধানে জেতাটা আমার দলের পক্ষে খুবই কঠিন কাজ।” |
বিপর্যয়ের যন্ত্রণা। ম্যাচের পরে আর্সেন ওয়েঙ্গার। ছবি: রয়টার্স। |
২০০৫-এর পর থেকে কোনও ট্রফি না পাওয়া ওয়েঙ্গারের আর্সেনালকে এখন অলৌকিক কিছু করে দেখাতে হবে। মিউনিখে গিয়ে ফিরতি ম্যাচে তিন গোলের বেশি ব্যবধানে জিততে গেলে। নইলে এ মরসুমটাও ট্রফি-হীন শেষ হবে বিখ্যাত ব্রিটিশ ফুটবল ক্লাবের। কারণ ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ওয়েঙ্গারের আর্সেনাল ২১ পয়েন্টে পিছিয়ে আছে শীর্ষস্থানাধিকারী ও তাঁর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী কোচ ফার্গুসনের ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের থেকে। আর এফ এ কাপ এবং ক্যাপিটাল ওয়ান কাপদুই টুর্নামেন্ট থেকেই আর্সেনাল ছিটকে গিয়েছে নীচের ডিভিসনের দলের হাতে হেরে। বুন্দেশলিগার শীর্ষে থাকা এবং চলতি ইউরোপিয়ান ফুটবল মরসুমের অন্যতম ধারাবাহিক দল বায়ার্ন হাফটাইমেই টনি ক্রুজ এবং টমাস মুলারের গোলে ২-০ এগিয়ে ছিল। দ্বিতীয়ার্ধের গোড়ায় জার্মান স্ট্রাইকার পোডোলস্কি তাঁর পুরনো ক্লাবের ডিফেন্স ভেঙে আর্সেনালের হয়ে ব্যবধান কমালেও ওয়েঙ্গারের ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। মারিও মানডুকিচ বায়ার্নের তৃতীয় গোল করে দলের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা নিশ্চিত করেন। |