ফুটবল মাঠে গোলের বদলে গোলা! যার আঘাতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে গেল সিরিয়ার ফুটবলে। মধ্য দামাস্কাসের স্টেডিয়ামে আছড়ে পড়া জোড়া মর্টার বোমার আঘাতে মারা গেলেন এক সিরিয়ান ফুটবলার। গুরুতর আহত আরও চার ফুটবলার। সিরিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের শাসনের বিরুদ্ধে যে বিদ্রোহী গোষ্ঠী লড়াই চালাচ্ছে এবং হরতালের ডাক দিয়েছে, সেই ‘জঙ্গি’ বাহিনী বুধবারের দুর্ঘটনার জন্য দায়ী।
মৃত ফুটবলারের নাম ইউসেফ স্লেইমান। তেইশ বছরের স্ট্রাইকারটি খেলতেন আল-ওয়াহবা ক্লাবে। আহত চার ফুটবলার আল-নাওয়ার দলের। দামাস্কাসের আল-ওয়াহবা ঘরের মাঠে হামা শহরের আল-নাওয়ারের বিরুদ্ধে খেলার জন্য এ দিন অনুশীলন করছিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি মুখপাত্র বলেছেন, “ইউসেফ মারা গিয়েছেন এবং অন্য চার ফুটবলারের গুরুতর আঘাত লেগেছে মর্টার বোমার ভেতর থাকা ছুঁচলো ধাতব বস্তুর তীব্র আঘাতে। দু’টো মর্টার বোমা ওই ফুটবলাররা স্টেডিয়ামের ভেতর যেখানে থাকতেন সেই ঘরের সামনে তীব্র শব্দে ফেটে পড়েছিল।”
সিরিয়ার লাগাতার হিংসাত্মক ঘটনা দেশের পেশাদার খেলোয়াড়দেরও রেহাই দিচ্ছে না। গত মাসে এক অজ্ঞাত আততায়ীর গুলিতে সিরিয়ার অ্যাথলেটিক দলের এক কোচ মারা যান। যাঁর কোচিংয়ে পশ্চিম এশিয়া কাপে হাঁটা প্রতিযোগিতায় রুপো জিতেছিলেন সিরিয়ান অ্যাথলিট। দেশের হিংসাত্মক ঘটনার জেরে ২০১১-র মার্চ থেকে এখনও পর্যন্ত সিরিয়ার ৭০ হাজার মানুষ মারা গিয়েছেন। যা দেখে ভীত হয়ে পড়ে সিরিয়ার ৬০ জন ফুটবলার প্রতিবেশী বিভিন্ন দেশের ক্লাবে খেলতে চলে গিয়েছেন। সিরিয়ার ঘরোয়া ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ বন্ধ না হলেও, ষোলো ক্লাবের অন্যতম আল-ফতোয়া নিরাপত্তাজনিত কারণে টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারেনি। |