কাগজে-কলমে গ্রুপের সবচেয়ে দুর্বল প্রতিপক্ষ। স্বাভাবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে, বৃহস্পতিবার ত্রিপুরা ম্যাচ বোনাস পয়েন্টের ম্যাচ।
কিন্তু তাতে কী? বাংলা অধিনায়ক লক্ষ্মীরতন শুক্ল মোটেই স্বস্তিতে নেই।
মাথায় ঘুরছে নানা রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষার চিন্তা। ব্যাটিং-অর্ডার নিয়ে। বলে ফেলছেন, “টিমের ব্যাটসম্যানদের কাছে একটাই আর্জি। এ বার তোমরা ঘুম ভেঙে জেগে ওঠো।”
ব্যাটসম্যানদের উদ্দেশ্যে বাংলা অধিনায়কের এমন আহ্বান স্বাভাবিক। বিজয় হাজারে ট্রফির দু’টো ম্যাচ হয়ে গেল। আর দু’টোতেই বাংলা ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্স শোচনীয়। লক্ষ্মী বলছিলেন, “গ্রুপের কাউকেই হালকা ভাবে দেখার উপায় নেই। আর সেটা আমি করিও না। তাতে বিপক্ষকে ছোট করা হয়।”
কোয়ালিফাইং পর্ব থেকে দু’টো টিম যাবে পরের পর্বে। অসমের বিরুদ্ধে গ্রুপের শেষ ম্যাচ। আপাতত ২ ম্যাচে অসমের পয়েন্ট ১০। বাংলার আট। লক্ষ্মী সরাসরি বোনাস পয়েন্টের কথা তুলছেন না। কিন্তু এই ম্যাচ থেকে পাঁচ পয়েন্ট তুলে রাখলে যে গ্রুপের শেষ ম্যাচে অনেক স্বস্তিতে নামা যাবে, ভালই জানেন। বলছেন, “আরও ভাল ক্রিকেট আমি চাইছি টিমের থেকে। যাতে সব ক’টা ম্যাচ ভাল ভাবে জেতা যায়।”
ত্রিপুরা-বধের ‘ব্লু প্রিন্ট’-ও তৈরি মোটামুটি। ওপেনিংয়ে বদল হচ্ছে। বিবেক সিংহের সঙ্গে ওপেনিংয়ে পাঠানো হতে পারে ঋদ্ধিমান সাহাকে। সবচেয়ে বড় কথা, ত্রিপুরার বিরুদ্ধে বাংলা পেতে চলেছে মনোজ তিওয়ারিকে। যিনি ভারত ‘এ’ দলের হয়ে সদ্য অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করে ফিরেছেন। বাংলার অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার সঞ্জীব সান্যালকেও দেখা যেতে পারে টিমে। লক্ষ্মীর কথায়, “দু’টো টিম ঠিক করে রেখেছি। উইকেট দেখে ঠিক করব কোনটা নামাব।” ইডেনে নয়, ত্রিপুরার বিরুদ্ধে বাংলা খেলবে সল্টলেক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে। |