|
|
|
|
কাজের অগ্রগতি দেখলেন এমকেডিএ-র চেয়ারম্যান |
আড়াই বছরেও চালু হয়নি বৈদ্যুতিক চুল্লি
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
শ্মশানের বৈদ্যুতিক চুল্লি নির্মাণে গড়িমসির অভিযোগ উঠল মেদিনীপুরে। প্রথমে ঠিক ছিল, গত বছরের মাঝামাঝি পদ্মাবতী শ্মশানঘাটে এই চুল্লি চালু হবে। পরে ঠিক হয়, চলতি বছরের গোড়ায় চালু হবে। তাও হয়নি। ফলে, শহরবাসীর ক্ষোভ রয়েছে। সেই আঁচ পেয়েই বুধবার চুল্লির কাজ কতটা এগোল, ঘুরে দেখলেন মেদিনীপুর-খড়্গপুর উন্নয়ন পর্ষদের (এমকেডিএ) চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক মৃগেন মাইতি। সঙ্গে ছিলেন মেদিনীপুরের পুরপ্রধান প্রণব বসু-সহ পর্ষদের আধিকারিকেরা। এ দিন পরীক্ষামূলক ভাবে চুল্লি চালানোও হয়। এ জন্য মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের মর্গ থেকে একটি মৃতদেহ আনা হয়েছিল। সব দেখেশুনে মৃগেনবাবুর আশ্বাস, “মার্চের মধ্যেই চুল্লি চালু করা হবে।” |
চুল্লির কাজ দেখছেন মৃগেন মাইতি। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ। |
শুধু পশ্চিম মেদিনীপুর নয়, পাশের পূর্ব মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া জেলাতেও বৈদ্যুতিক চুল্লি নেই। এক সময় রেলশহর খড়গপুরে বৈদ্যুতিক চুল্লি তৈরির তোড়জোড় শুরু হয়েছিল। কিন্তু খরচসাপেক্ষ দেখে পুর-কর্তৃপক্ষ প্রাথমিক পরিকল্পনা থেকে পিছিয়ে আসেন। প্রায় আড়াই বছর আগে মেদিনীপুর শহরের পদ্মাবতী শ্মশান ঘাটে বৈদ্যুতিক চুল্লি তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। শুরুতে ঠিক ছিল, শহরের মধ্যে নয়, শহরের পাশে একটি জায়গায় বৈদ্যুতিক চুল্লি বসানো হবে। সেই মতো জায়গাও দেখা হয়। কিন্তু আপত্তি করেন ওই এলাকার মানুষ। এরপর পদ্মাবতী শ্মশানেই চুল্লি তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। প্রাথমিক ভাবে ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ কোটি ৭৫ লক্ষ। তারপর খরচ বেড়ে প্রায় ২ কোটি টাকা হয়েছে। শুরুতে চুল্লির পাশে পার্ক তৈরির পরিকল্পনা ছিল না। পরে অবশ্য একটি পার্ক তৈরি করা হয়েছে। শ্মশানযাত্রীদের বসার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। চবে চুল্লি চালু হয়নি।
চুল্লির তৈরির কাজে গড়িমসির অভিযোগ এই প্রথম নয়। আগেও অভিযোগ পেয়ে এমকেডিএ’র চেয়ারম্যান কাজ খতিয়ে দেখতে এলাকায় এসেছেন। পরে কাজের গতি ফের থমকে গিয়েছে। এমকেডিএ কর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি, চুল্লি তৈরির কাজ শেষ। মাঝে বিদ্যুতের একটা সমস্যা ছিল। তাও মিটেছে। ‘জঙ্গলমহল ছাত্র-যুব উৎসবে’ যোগ দিতে গত ৫ জানুয়ারি মেদিনীপুরে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই দিন মুখ্যমন্ত্রীর হাত দিয়ে চুল্লি উদ্বোধনের পরিকল্পনা ছিল এমকেডিএ’র। তবে তা হয়নি। বুধবার পরিদর্শন শেষে এমকেডিএ’র চেয়ারম্যান বলেন, “চুল্লি তৈরির কাজ শেষ। এ দিন পরীক্ষামূলক ভাবে তা চালানোও হয়। পরিকাঠামোগত কিছু দিক খতিয়ে দেখেছি। মার্চের মধ্যেই চুল্লি চালু করা হবে।” |
|
|
|
|
|