|
|
|
|
চন্দ্রকোনা রোড |
১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি, কর্মচ্যুত
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
একশো দিনের কাজ প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কাজ হারালেন চুক্তিভিত্তিক এক কর্মী। মঙ্গলবার তাঁর চুক্তিপত্র খারিজ করা হয়েছে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা ৩ ব্লকে (চন্দ্রকোনা রোড)। বিডিও সুশোভন মণ্ডল বলেন, “তদন্তে ওই কর্মীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ মেলে। তাই এই পদক্ষেপ।”
একশো দিনের কাজ প্রকল্পে ‘স্কিলড টেকনিক্যাল পারসন’ (এসটিপি) হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন রুমা দত্ত নামে ওই কর্মী। প্রায় দু’বছর ধরে গড়বেতা ৩ ব্লকে কাজ করছিলেন তিনি। তার আগে ছিলেন মেদিনীপুর সদর ব্লকে। গত বছর সেপ্টেম্বরে গড়বেতার ডুমুরগেড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের জমি সমতলীকরণের কাজ হয়। এ জন্য বরাদ্দ হয়েছিল ১ লক্ষ ৯ হাজার টাকা। প্রায় ৫৪ হাজার টাকা মিটিয়েও দেওয়া হয়। অভিযোগ, এ ক্ষেত্রে ভুয়ো মাস্টার রোল তৈরি করা হয়েছিল। প্রকল্পে যাঁরা কাজ করেছেন, তাঁদের অনেকেই মজুরির টাকা পাননি। অথচ, তাঁদের নামে কে বা কারা টাকা তুলেছে। কাজ করেও টাকা পাননি, এমন শ্রমিকেরাই বিডিও সুশোভন মণ্ডলের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেন। তদন্ত শুরু করে প্রশাসন। এলাকা পরিদর্শন হয়। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলা হয়। দেখা যায়, অভিযোগ ঠিক। ঘটনার জেরে ব্লকে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
আগেও গড়বেতা ৩ ব্লকে একাধিক প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ ছিল, নলবনা গ্রাম পঞ্চায়েতের মহারাজপুরে একটি জল প্রকল্প হওয়ার কথা ছিল। তবে প্রকল্প হয়নি। প্রকল্পের বিল জমা পড়ে যায়। সেই বিল বাবদ অর্থও মেটানো হয়। পরে স্থানীয় গ্রামবাসীদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। পুরো বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়। একশো দিনের কাজ প্রকল্পেও কিছু অভিযোগ ওঠে। শুধু চন্দ্রকোনা রোড নয়, জেলার বিভিন্ন এলাকায় একই পরিস্থিতি। লিখিত ভাবে অভিযোগ এলে তা খতিয়েও দেখে প্রশাসন। কোথাও মাস্টার রোল ছাড়াই কাজ করা হয়। কোথাও বা একই কাজ বারবার দেখানো হয়। কোথাও আবার ভুয়ো মাস্টার রোল তৈরি করা হয়। ডুমুরগেড়িয়ার ক্ষেত্রে শেষেরটিই ঘটেছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, শ্রমিকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই ঘটনার তদন্ত এখনও চলছে। |
|
|
|
|
|