|
|
|
|
কপ্টার চুক্তি, প্রথম প্রশ্ন তোলেন প্রণবই
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
প্রণব মুখোপাধ্যায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী থাকাকালীন বিতর্কিত কপ্টার চুক্তির সূত্রপাত হলেও কেলেঙ্কারির জন্য তাঁকে দায়ী করা কঠিন। সরকারি সূত্রে খবর, চুক্তির শর্ত যে ভাবে বদলেছিল, তা নিয়ে পরে অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন প্রণববাবুই প্রথম প্রশ্ন তোলেন। কারণ, এতে ৬০০ কোটি টাকা খরচ বেড়ে যায় সরকারের।
ভিভিআইপি-দের জন্য ১২টি কপ্টার কেনা নিয়ে ২০০৫ থেকে ২০০৬-এর মধ্যে কয়েক দফা বৈঠক হয়। তাতে বায়ুসেনা কর্তারা ছাড়াও ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, এসপিজি এবং প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের প্রতিনিধি। এ সময়ে কিছু দিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। তাই এই কেলেঙ্কারিতে প্রণববাবুর নামও উঠে আসছে।
তবে সরকারি সূত্রে বলা হচ্ছে, কপ্টার কেনা নিয়ে প্রতিরক্ষা ক্রয় পর্ষদ (ডিফেন্স অ্যাকিউজিশন কাউন্সিল)-এর কেবল একটিই বৈঠক হয়েছিল প্রণব-জমানায়। তাতে বায়ুসেনা কর্তারা ছাড়াও অন্তত ২০ জন আমলা ছিলেন। কিন্তু সেটি ছিল একেবারেই প্রথম পর্ব। ওই বৈঠকে শুধু স্থির হয়, নিরাপত্তার স্বার্থে ভিভিআইপি-দের জন্য কপ্টার কেনা প্রয়োজন। এর পর অগুস্তার সঙ্গে চার বছর দীর্ঘ আলোচনা ও দর কষাকষির পর চূড়ান্ত চুক্তি সই হয়।
অর্থ মন্ত্রক সূত্রে বলা হচ্ছে, অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ড সংস্থার সঙ্গে চূড়ান্ত চুক্তি সই হওয়ার সময়ে কেন্দ্রে অর্থমন্ত্রী ছিলেন প্রণববাবু। সেই সময় তাঁর সঙ্গে মতান্তর হয়েছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের। কারণ, ২০০৯ সালের গোড়ায় আগের শর্ত পরিবর্তন করে বলা হয়, ১২টি কপ্টারের সঙ্গে ‘ট্রাফিক কলিশন অ্যাভয়ডেন্স সিস্টেম’ এবং ‘এনহ্যান্সড গ্রাউন্ড প্রক্সিমিটি ওয়ার্নিং সিস্টেমের’ মতো নিরাপত্তা সরঞ্জামও কেনা দরকার। সেই সঙ্গে আটটি কপ্টারে নিরাপত্তার স্বার্থে ‘মেডভ্যাক’ যন্ত্রও লাগাতে হবে। এই শর্ত পরিবর্তন নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিলেন প্রণববাবু। অর্থ মন্ত্রকের তরফে ১৮টি প্রশ্ন পাঠানো হয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জবাব দেওয়ার পরে ফের একটি নোট পাঠিয়ে অর্থ মন্ত্রকের তরফে বলা হয়, অনেক প্রশ্নেরই জবাব মেলেনি। পরে ২০১০ সালের ১৮ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির বৈঠকে আলোচনার পর চুক্তিতে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
বায়ুসেনার তরফে বলা হচ্ছে, প্রথম পর্যায়ে পৌঁছনো তিনটি ভিভিআইপি হেলিকপ্টারের পাইলটদের প্রশিক্ষণ চলছে। তা শেষ হলেই ওই হেলিকপ্টারগুলি আনুষ্ঠানিক ভাবে বায়ুসেনায় সামিল করা হবে। |
|
|
|
|
|