|
|
|
|
বনধে অচল খনি অঞ্চল, জনজীবন বিঘ্নিত ধানবাদে
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
শ্রমিকরা চান বা না-চান। ধর্মঘটের নামে ধানবাদের কয়লা খনি এলাকায় সারাদিন কাজ বন্ধ করে দিলেন বামপন্থী বনধ সমর্থকরা। তার ফলে এক দিকে যেমন কয়লা উৎপাদন কিংবা কয়লা পরিবহণের কাজ সারাদিন বন্ধ রইল, তেমনই কাজে যোগ না দেওয়ায় অস্থায়ী শ্রমিকদের একদিনের বেতনও কাটা গেল।
সিটুর ঝাড়খণ্ডের রাজ্য সম্পাদক ডি ডি রামনন্দের দাবি, “প্রতিদিনই কংগ্রেস সরকার শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করছে। তার প্রতিবাদেরই আজ শ্রমিকরা স্বতস্ফুর্তভাবে বনধে সামিল হয়েছেন।” শ্রমিকদের সমর্থনের ফলেই ধানবাদের কয়লা খনি এলাকায় উৎপাদন কিংবা কয়লা পরিবহণের কাজ আজ একেবারে বন্ধ করে দেওয়া সম্ভব হয়েছে বলে রামানন্দবাবুর দাবি। |
ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকা ৪৮ ঘণ্টার বনধের প্রথম
দিনে কাজ বন্ধ ধানবাদের খনি অঞ্চলে। ছবি: চন্দন পাল। |
যদিও বাস্তব চিত্র বহু ক্ষেত্রেই অন্য কথা বলছে। স্বতস্ফুর্ত নয়, বরং জোর করে অনেক জায়গাতেই শ্রমিকদের কাজে যোগ দিতে দেওয়া হয়নি। কয়লা খনি এলাকার খবর অনুযায়ী, ঝরিয়ার ৯ নম্বর এরিয়া, ধানসার, চাঁদমারি-সহ একাধিক খনিতে কাজে যোগ দিতে গিয়েও শ্রমিকরা ফিরে যান। গোধর, উজামা, বেরা, কুঁইয়া, চাঁদমারি, ঝরিয়া, কাতরাসের মতো কয়লা খনিগুলিতে সারাদিন কোনও কাজ হয়নি। ইস্টার্ন কোলফিল্ড জানিয়েছে, ধানবাদের মুগমায় সাতটি ও এসপি মাইনস এলাকায় একটি খনিতে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। রাজমহলে কয়লা তোলার কাজ বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করেন বনধকারীরা। সেন্ট্রাল কোলফিল্ড লিমিটেডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তাঁদের কয়লা তোলার কাজ ব্যাহত না হলেও কয়লা পরিবহণের কাজ আশি শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
খনি এলাকার পাশাপাশি ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন জেলায় ব্যাঙ্ক, বিমা অফিস, পোস্ট অফিসে বনধ সমর্থনকারীরা তালা ঝুলিয়ে দেয়। কোনও কোনও জায়গায় এটিএম কাউন্টারও বন্ধ করে দেওয়া হয়। ধানবাদের কাছে ৩২ নম্বর জাতীয় সড়ক স্তব্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা হয় আজ সকালে। রাজধানী রাঁচিতেও ব্যাঙ্ক, এলআইসি অফিসে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয় বহু জায়গাতেই।
ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটে জামশেদপুরের সাকচি আর বিষ্টুপুরে। সেখানে কয়েকটি নার্সিংহোম বন্ধ করার চেষ্টা করেন বনধকারীরা। কিন্তু নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ বনধের বিরোধিতা করেন। দুই পক্ষের মধ্যে বচসাও হয়। তবে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। নার্সিংহোমগুলিতে চিকিৎসার কাজ হয়েছে। বোকারোতে বিএসপি-সহ বড় কারখানাগুলিতে রাতেই কর্মীদের অফিসে থাকার ব্যবস্থা ছিল। ফলে বনধ তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি। |
|
|
|
|
|