অভিযোগ ইউনিনর গ্রাহকদের
সংযোগ বদলাতে গিয়ে দুর্ভোগ
হাতে স্পেকট্রাম নেই। তাই বাধ্য হয়েই কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গ সার্কেল-সহ দেশের বেশ কয়েকটি জায়গায় পরিষেবা বন্ধ করেছে ইউনিনর। কিন্তু এখন অন্য সংস্থার সংযোগ নিতে গিয়ে প্রবল সমস্যার মুখে পড়ার অভিযোগ তুলছেন ওই লাইসেন্স খোয়ানো মোবাইল পরিষেবা সংস্থার অনেক গ্রাহকই।
বিভিন্ন সার্কেলে সমস্যার মুখও আবার আলাদা। যেমন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মুম্বইয়ে ১৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যরাত থেকে পরিষেবা বন্ধ করেছে ইউনিনর। মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটির (এমএনপি) মাধ্যমে অন্য সংস্থার সংযোগ নিতে গ্রাহকদের পরামর্শও দিয়েছে তারা। কিন্তু সে জন্য কিছুটা সময় লাগবে বলে সেখানে ভোগান্তির শিকার প্রায় ১৮ লক্ষ গ্রাহকের অনেকেই।
আবার কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গ সার্কেলে ১৯ জানুয়ারিই বন্ধ হয়ে গিয়েছে পরিষেবা। ফলে সংযোগ বদলাতে বাড়তি সময় পেয়েছেন গ্রাহকরাও। কিন্তু অনেকেরই অভিযোগ, এমএনপি-র মাধ্যমে অন্য সংস্থায় আবেদন করলেও নতুন সংযোগ মিলছে না। কারও আবার অভিযোগ, ‘ক’ সংস্থায় নতুন সংযোগের জন্য আবেদন করলে, তা নথিভুক্ত হচ্ছে ‘খ’ সংস্থায়। কোনও কোনও ক্ষেত্রে আবার গ্রাহকের অজান্তে নথিভুক্তির সময় বদলে যাচ্ছে নামই। এ নিয়ে ইউনিনরের সঙ্গে যোগাযোগ করতেও ব্যর্থ হয়েছেন কেউ কেউ। যে কারণে টেলিকম নিয়ন্ত্রক ট্রাই-এর পূর্বাঞ্চলীয় দফতরের দ্বারস্থ হয়েছেন এ রাজ্যের ভুক্তভোগী গ্রাহকদের অনেকেই।
ইউনিনরের অবশ্য দাবি, তারা প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থাই নিয়েছে। যেমন, এ রাজ্যের গ্রাহকদের এমএনপি-তে সাহায্য করতে কল-সেন্টার ও হেল্প-লাইনের ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। এ রাজ্যে সংস্থার গ্রাহক প্রায় ৫৬ লক্ষ। একে সবচেয়ে বড় এমএনপি প্রক্রিয়া বলে দাবি করে সংস্থার বক্তব্য, লক্ষ লক্ষ গ্রাহক এই সুবিধা নিয়েছেন।
অসুবিধার অভিযোগ আসার কথা অবশ্য মেনে নিয়েছে ট্রাই। তাদের পূর্বাঞ্চলের অ্যাডভাইসর রূপা পাল চৌধুরি বলেন, “এমএনপি করতে গিয়ে অন্যের নামে বা অন্য সংস্থায় নাম নথিভুক্ত হওয়ার অভিযোগ এসেছে। কী ভাবে তা ঘটছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলির সঙ্গেও আমরা যোগাযোগ করছি।”
গ্রাহকদের এমএনপি-র সুবিধা দিতে রাজ্যে ৯০ দিনের লক-ইন নিষেধাজ্ঞা অনেক আগেই তুলে নেওয়ার কথা জানিয়েছিল ইউনিনর। কিন্তু ট্রাই সূত্রের খবর, এই নিষেধাজ্ঞা শিথিলের নির্দেশ নিয়েও টেলিকম সংস্থাগুলির একাংশ সংশয় প্রকাশ করেছে। সমস্যা হয়েছে এ রাজ্যে ইউনিনরের দফতর বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে প্রয়োজনীয় নথিপত্র পাওয়া নিয়েও। উল্লেখ্য, স্পেকট্রাম বণ্টন নিয়ে অনিয়মের অভিযোগে দেশ জুড়ে ১২২টি লাইসেন্স বাতিলের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। গত মাসে সেই স্পেকট্রামের কিছুটা নিলাম হয়েছে। কিন্তু চড়া দরের অভিযোগে মুম্বই সার্কেলের নিলামে অংশ নেয়নি কেউ। এর পর গত ১৬ ফেব্রুয়ারি শীর্ষ আদালত নির্দেশ দেয় যে, বাতিল হওয়া স্পেকট্রাম নিলামে ফিরে না পেয়ে থাকলে অবিলম্বে পরিষেবা বন্ধ করতে হবে। তাই মুম্বইয়ে পরিষেবা বন্ধ করে ইউনিনর। একই ভাবে গত নিলামে ছ’টি সার্কেলে স্পেকট্রাম জিতলেও কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গ সার্কেলেও নিলামে অংশ নেয়নি ইউনিনরের মূল সংস্থা টেলিনর। ফলে সেখানেও আগেই পরিষেবা বন্ধ করতে হয়েছে তাদের।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.