আমি সরকারি কর্মী। আয় বছরে ৫ লক্ষের কম। অফিসই প্রতি মাসে বেতন থেকে আয়কর কেটে নেয় এবং সেই অনুসারে ফর্ম-১৬ তৈরি করে। আমাকে আলাদা করে কর দিতে হয় না। গত বছর বাবা অবসর নেওয়ার পর আমার নামে দু’টি মেয়াদি আমানত করেন। এখন ব্যাঙ্ক কর কাটা আটকাতে ১৫জি ফর্ম দাখিল করতে বলছে। কিন্তু যত দূর জানি, ব্যাঙ্ক-সুদে আমাকে আলাদা করে রিটার্ন দাখিল করতে হবে এবং সে ক্ষেত্রে ১০% হারে কর দিতে হবে। এখন যদি আমি ১৫জি ফর্ম দাখিল না করি, তা হলে যে টাকা কাটা হবে, তা কি তা দাখিলের সমান হবে? না বেশি হবে? কোনটা সুবিধাজনক?
স্নেহাশিস পাল, ব্যারাকপুর

আপনার দেওয়া তথ্য সম্পূর্ণ নয়। আপনি জানাননি আপনার বেতন কত। এবং কত টাকার মেয়াদি আমানত বাবা আপনার নামে রেখেছেন। তার উপর সুদের হারই বা কী। মোট আয় (৮০ ধারায় সব ছাড় বাদ দেওয়ার পর) করযোগ্য হলে ১৫জি ফর্ম দাখিল করার কথা নয়। আর সুদ-সহ মোট করযোগ্য আয় ৫ লক্ষ টাকার মধ্যে হলে প্রযোজ্য করের হার হবে ১০%। যা ব্যাঙ্কের কেটে নেওয়া হারের সমান।
অন্য দিকে, আপনার করযোগ্য আয় যদি ৫ লক্ষ টাকার বেশি হয়, তবে বাড়তি অংশের উপর কর ধার্য হবে ২০% হারে (১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত)। এ ক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক যদি সুদ থেকে ১০% কর কাটে তবে ৫ লক্ষ টাকার অতিরিক্ত আয়ের উপর জমা করতে হবে আরও ১০% কর। করের উপর দিতে হবে ৩% শিক্ষা সেস-ও।

• আমি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী। জুলাই মাসে অবসর নেব। এক কোটি টাকার উপর কর বাঁচাতে কী কী প্রকল্পে লগ্নি করা উচিত?
সুমন ঘণ্টী, কলকাতা

আপনি যেহেতু আর কয়েক মাসের মধ্যেই অবসর নেবেন, তাই অনাবশ্যক ঝুঁকির মধ্যে নিশ্চয়ই যেতে চাইবেন না। যে যে প্রকল্পে নিজের তহবিল ছড়িয়ে দিতে পারেন, সেগুলি হল
করমুক্ত বন্ড: বিভিন্ন কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা এই বন্ড ইস্যু করে। ডিসেম্বর থেকে শুরু করে মার্চ মাস পর্যন্ত চলে এই ইস্যু। সুদ ৮ শতাংশের আশেপাশে যা পুরোপুরি করমুক্ত।
ব্যাঙ্ক আমানত: অবসরের পর আপনি প্রবীণ নাগরিকের মর্যাদা পাবেন। তাই ব্যাঙ্কে সুদও পাবেন অপেক্ষাকৃত বেশি। সে কথা মাথায় রেখে এখন টাকা ছোট মেয়াদে ব্যাঙ্কে রাখতে পারেন। ৬০ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার পর বড় মেয়াদে সেই টাকা ব্যাঙ্কে গচ্ছিত করতে পারেন।
সিনিয়র সিটিজেন প্রকল্প: টাকা রাখতে পারেন ৫ বছর মেয়াদি সিনিয়র সিটিজেন প্রকল্পে। সুদ ৯.৩০%।
এমআইএস: ডাকঘর অথবা মিউচুয়াল ফান্ডের মাসিক আয় প্রকল্পের কথাও ভাবা যেতে পারে। ফান্ড থেকে প্রাপ্ত আয় করমুক্ত থাকে। ব্যাঙ্ক এবং ডাকঘরের সুদ করযোগ্য।

• বাবা গত অক্টোবরে অবসর নিয়েছেন। তাঁর পাওয়া টাকা যদি আমার অ্যাকাউন্টে থাকে, তা হলে কি তা আমার আয় হিসাবে গণ্য হবে? না কি সেই টাকার উপর যে সুদ পাওয়া যাবে, সেটি হবে আমার আয়?
সুদীপ্তা রায়, হাওড়া
যে টাকা বাবা দিয়েছেন, তা আপনার আয় হিসেবে গণ্য হবে না। তবে ওই টাকার উপর প্রাপ্ত সুদ আপনার করযোগ্য আয় হিসেবে ধরা হবে।

• ডে-ট্রেডিং এবং স্বল্প মেয়াদি লেনদেনের মাধ্যমে শেয়ার বাজার থেকে লাভ করেছি। এই লাভের উপর মূলধনী কর (ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স) কী ভাবে হিসাব করা হয়? করের হারই বা কত?
রাম শর্মা, হুগলি

আপনি যদি শেয়ারে দৈনিক লেনদেন অর্থাৎ ডে-ট্রেডিং করেন এবং সংশ্লিষ্ট সব খরচ বাদ দিয়ে তা থেকে লাভ হয়, তবে তা ব্যবসায়িক লাভ হিসাবে গণ্য হয়। এটি কিন্তু মূলধনী লাভ নয়। তাই এর উপর যে কর বসে, তা মূলধনী কর নয়। বরং এই লাভ যুক্ত হবে আপনার অন্যান্য আয়ের সঙ্গে এবং আয়ের স্তর অনুযায়ী কর প্রযোজ্য হবে। শেয়ার বাবদ ব্যবসায়িক আয় অর্জন করতে যে সব আনুষঙ্গিক খরচ (ব্রোকার, অফিস রক্ষণাবেক্ষণের খরচ ইত্যাদি) হবে, তার সমস্ত কিছুই বাদ দেওয়া হবে ওই সূত্রের আয় থেকে।
শেয়ার এক বছর বা তার বেশি সময় ধরে রেখে বাজারে বিক্রি করে লাভ হলে, তা দীর্ঘকালীন মূলধনী লাভের মর্যাদা পায়। এক বছরের আগে বিক্রি করে লাভ হলে, তা হবে স্বল্পকালীন মূলধনী লাভ। তার উপর কর ধার্য হবে ১৫% হারে। দীর্ঘকালীন মূলধনী লাভের উপর কর ধার্য হয় না।
• নভেম্বরে বাড়ি বিক্রি করে ৮০ লক্ষ টাকা পেয়েছি। ইচ্ছে, তাই দিয়ে একটি ৫০ লক্ষ এবং একটি ৩০ লক্ষ টাকার ফ্ল্যাট কেনার। সে ক্ষেত্রে কি ওই ৮০ লক্ষ টাকার উপর কর ছাড় পাব?
সুবীর মণ্ডল, নিউ টাউন

আয়কর আইনের ৫৪ ধারা অনুযায়ী যদি কোনও গৃহসম্পত্তি (বা দীর্ঘকালীন মূলধনী সম্পদ) হস্তান্তর করে কোনও মূলধনী লাভ হয় এবং সংশ্লিষ্ট করদাতা যদি সম্পত্তি হস্তান্তরের ১ বছর আগে বা ২ বছরের মধ্যে একটি বাড়ি ক্রয় করেন অথবা ৩ বছরের মধ্যে একটি বাড়ি তৈরি করেন তবে মূলধনী লাভের উপর তাঁকে কর দিতে হবে না। তবে এ ক্ষেত্রে লাভের পুরোটাই বাড়ি কিনতে অথবা তৈরি করতে খরচ হতে হবে। তা না হলে হাতে থেকে যাওয়া টাকার উপর কর দিতে হবে। এই ধারায় একটি মাত্র বাড়ি ক্রয় অথবা তৈরির কথা বলা হয়েছে। দু’টি বাড়ির ক্ষেত্রে নয়। তবে এর আগে কিছু ক্ষেত্রে আপিলের ভিত্তিতে ব্যতিক্রম দেখা গিয়েছে।

• আমি অবসরপ্রাপ্ত। মাসে ২৬,০০০ টাকার বেশি পেনশন পাই। ২০১২-’১৩ সালে সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ৯,০০০ টাকা এবং স্থায়ী আমানত থেকে ৩২,০০০ টাকা সুদ হিসেবে পাওয়ার কথা। তা হলে আমার আয়ের সঙ্গে কোনটি যুক্ত হবে? ওই ৩২,০০০ টাকা, না-কি মোট ৪১,০০০ টাকা?
অমিতাভ দত্ত মজুমদার, কলকাতা

সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রাপ্ত ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত সুদ এই অর্থবর্ষে করমুক্ত (ধারা ৮০ টিটিএ)। অর্থাৎ আপনার অন্যান্য আয়ের সঙ্গে যুক্ত হবে ৩২,০০০ টাকা। ৪১,০০০ নয়।

• চিট ফান্ড থেকে চেক-এর মাধ্যমে পাওয়া ১,০০,০০০ টাকার উপর কি কর দিতে হবে?
রাজু দাস, সুভাষগ্রাম

আপনি যদি চিট ফান্ডে লগ্নি করে থাকেন এবং পরে মূল টাকা ফেরত পান, তবে তার উপর কোনও কর ধার্য হবে না। সুদ বাবদ যদি কোনও টাকা পেয়ে থাকেন, তবেই তা করযোগ্য। এজেন্ট হিসেবে যদি কমিশন পেয়ে থাকেন, তবে তা-ও করযোগ্য।

• আমি অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী। বয়স ৬৫ বছর। বছরে নিট আয় ৪ লক্ষ টাকা। আয়কর হিসাবে আমার কত টাকা দেওয়ার কথা? কর বাঁচাতে কোন প্রকল্পে সঞ্চয় করব?
রামকিঙ্কর বসু, কলকাতা

আপনি সিনিয়র সিটিজেন। তাই ২.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করমুক্ত। অর্থাৎ কর দেওয়ার কথা ১.৫ লক্ষ টাকার উপর। ৮০ ধারায় আপনি যত টাকা লগ্নি করবেন, তা ১.৫ লক্ষ টাকা থেকে বাদ দিয়ে বাকি টাকার উপর আপনাকে কর দিতে হবে ১০% হারে।
ঝুঁকি নিতে না চাইলে, কর সাশ্রয়কারী ৫ বছর মেয়াদি ব্যাঙ্ক আমানতে টাকা রেখে কর বাঁচান। কিনতে পারেন ৫ বা ১০ বছর মেয়াদি জাতীয় সঞ্চয়পত্র বা এনএসসি। লগ্নি করতে পারেন মিউচুয়াল ফান্ডের ইএলএসএস প্রকল্পেও।

• নভেম্বরে বাড়ি বিক্রি করে ৮০ লক্ষ টাকা পেয়েছি। ইচ্ছে, তাই দিয়ে একটি ৫০ লক্ষ এবং একটি ৩০ লক্ষ টাকার ফ্ল্যাট কেনার। সে ক্ষেত্রে কি ওই ৮০ লক্ষ টাকার উপর কর ছাড় পাব?
সুবীর মণ্ডল, নিউ টাউন

আয়কর আইনের ৫৪ ধারা অনুযায়ী যদি কোনও গৃহসম্পত্তি (বা দীর্ঘকালীন মূলধনী সম্পদ) হস্তান্তর করে কোনও মূলধনী লাভ হয় এবং সংশ্লিষ্ট করদাতা যদি সম্পত্তি হস্তান্তরের ১ বছর আগে বা ২ বছরের মধ্যে একটি বাড়ি ক্রয় করেন অথবা ৩ বছরের মধ্যে একটি বাড়ি তৈরি করেন তবে মূলধনী লাভের উপর তাঁকে কর দিতে হবে না। তবে এ ক্ষেত্রে লাভের পুরোটাই বাড়ি কিনতে অথবা তৈরি করতে খরচ হতে হবে। তা না হলে হাতে থেকে যাওয়া টাকার উপর কর দিতে হবে। এই ধারায় একটি মাত্র বাড়ি ক্রয় অথবা তৈরির কথা বলা হয়েছে। দু’টি বাড়ির ক্ষেত্রে নয়। তবে এর আগে কিছু ক্ষেত্রে আপিলের ভিত্তিতে ব্যতিক্রম দেখা গিয়েছে।

• আমি অবসরপ্রাপ্ত। মাসে ২৬,০০০ টাকার বেশি পেনশন পাই। ২০১২-’১৩ সালে সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ৯,০০০ টাকা এবং স্থায়ী আমানত থেকে ৩২,০০০ টাকা সুদ হিসেবে পাওয়ার কথা। তা হলে আমার আয়ের সঙ্গে কোনটি যুক্ত হবে? ওই ৩২,০০০ টাকা, না-কি মোট ৪১,০০০ টাকা?
অমিতাভ দত্ত মজুমদার, কলকাতা

সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রাপ্ত ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত সুদ এই অর্থবর্ষে করমুক্ত (ধারা ৮০ টিটিএ)। অর্থাৎ আপনার অন্যান্য আয়ের সঙ্গে যুক্ত হবে ৩২,০০০ টাকা। ৪১,০০০ নয়।

• চিট ফান্ড থেকে চেক-এর মাধ্যমে পাওয়া ১,০০,০০০ টাকার উপর কি কর দিতে হবে?
রাজু দাস, সুভাষগ্রাম

আপনি যদি চিট ফান্ডে লগ্নি করে থাকেন এবং পরে মূল টাকা ফেরত পান, তবে তার উপর কোনও কর ধার্য হবে না। সুদ বাবদ যদি কোনও টাকা পেয়ে থাকেন, তবেই তা করযোগ্য। এজেন্ট হিসেবে যদি কমিশন পেয়ে থাকেন, তবে তা-ও করযোগ্য।

• আমি অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী। বয়স ৬৫ বছর। বছরে নিট আয় ৪ লক্ষ টাকা। আয়কর হিসাবে আমার কত টাকা দেওয়ার কথা? কর বাঁচাতে কোন প্রকল্পে সঞ্চয় করব?
রামকিঙ্কর বসু, কলকাতা

আপনি সিনিয়র সিটিজেন। তাই ২.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করমুক্ত। অর্থাৎ কর দেওয়ার কথা ১.৫ লক্ষ টাকার উপর। ৮০ ধারায় আপনি যত টাকা লগ্নি করবেন, তা ১.৫ লক্ষ টাকা থেকে বাদ দিয়ে বাকি টাকার উপর আপনাকে কর দিতে হবে ১০% হারে।
ঝুঁকি নিতে না চাইলে, কর সাশ্রয়কারী ৫ বছর মেয়াদি ব্যাঙ্ক আমানতে টাকা রেখে কর বাঁচান। কিনতে পারেন ৫ বা ১০ বছর মেয়াদি জাতীয় সঞ্চয়পত্র বা এনএসসি। লগ্নি করতে পারেন মিউচুয়াল ফান্ডের ইএলএসএস প্রকল্পেও।

মনে রাখবেন, করযোগ্য আয় না থাকলে
তবেই কিন্তু ১৫জি ফর্ম দাখিল করা যায়

• লিভ ট্র্যাভেল অ্যালাওয়েন্স (এলটিএ)-এর উপর কি আদৌ কর ছাড় পাওয়া যায়? যদি যায়, সে ক্ষেত্রে তা কী ভাবে হিসাব করা হয়?
রাজশেখর রায়, হাওড়া

লিভ ট্র্যাভেল অ্যাসিসটেন্স/ অ্যালাওয়েন্স (এলটিএ)-এর ক্ষেত্রে সাধারণত চার বছরের মধ্যে দু’বার কর ছাড় পাওয়া যায়। চার বছরের এই সময়কে ধরা হয় একটি ব্লক হিসেবে। যেমন, ২০১০-২০১৩ কিংবা ২০১৪-২০১৭ ইত্যাদি। এ রকম চার বছর সময়ের একটি ব্লকে দু’বার কর ছাড় পেতে পারেন আপনি। বছর বলতে বোঝায় জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর। এই ব্লকগুলি কেন্দ্রীয় আয়কর দফতরই ঠিক করে দেয়। যে সব শর্তে এই ছাড় পাওয়া যায়, তা হল
বেড়াতে যাওয়ার সময় শুধু যাতায়াত খরচ বাবদ এই ছাড় পাওয়া যায়। হোটেল এবং অন্যান্য খরচের উপর ছাড় মেলে না। ভারতের মধ্যে যে কোনও জায়গায় বিমানের ইকনমি ক্লাস অথবা ট্রেন যাত্রার ক্ষেত্রে প্রথম শ্রেণির এসি ক্লাস-এর খরচে ছাড় পাওয়া যেতে পারে। নিয়োগকর্তা আপনার যাত্রার প্রমাণ চাইতে পারে। আপনি যদি কম খরচে অন্য কোনও ভাবে যাতায়াত করেন, তবে ছাড় পাবেন প্রকৃত খরচের উপর।
ছাড় পাওয়া যাবে শুধুমাত্র আপনার পরিবারের জন্য। পরিবার বলতে আপনি, আপনার স্বামী/স্ত্রী, দুই সন্তান এবং আপনার উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল বাবা, মা, ভাই এবং বোন।
কোনও ব্লকে ছাড়ের সুযোগ না নিলে, তা পরের ব্লকের প্রথম বছরে নেওয়া যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে পরের ব্লকে তিন বার এই সুযোগ মিলবে।
স্বামী এবং স্ত্রী দুজনেই এলটিএ-র সুবিধা পেয়ে থাকলে, দু’জনে আলাদা করে একই ব্লকে দু’বার ছাড় পাওয়ার অধিকারী হবেন।
অনেক সংস্থা প্রতি বছর এলটিএ বাবদ থোক টাকা কর্মীদের দেয়। সে ক্ষেত্রে কর্মীরা প্রতি ব্লকে দু’বার ভ্রমণের টিকিট সংশ্লিষ্ট সংস্থায় দাখিল করে কর ছাড়ের সুবিধা নিতে পারেন। অন্য দু’বছরের পুরো টাকাই করযোগ্য।
এলটিএ বাবদ কর ছাড়ের সুবিধা নিতে হলে ছুটি নিতেই হবে। আর ভ্রমণ করতে হবে সেই ছুটি থাকাকালীন।

• গাজিয়াবাদে একটি সংস্থায় চাকরি করি। ২০০৯-’১০ সালে করের টাকা রিফান্ড পেতে রিটার্ন দাখিল করি। কিন্তু সম্প্রতি অ্যাসেসিং অফিসারের থেকে জেনেছি যে, আমার সংস্থাকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাই রিফান্ড পাইনি। অথচ একই ভাবে পরের বছরের (২০১০-’১১) জন্য রিটার্ন দাখিল করে টাকা ফেরত পেয়েছি। আমি কি ফের ২০০৯-’১০ সালের জন্য রিটার্ন দাখিল করতে পারব?
সুমিত কুমার বসাক, কলকাতা

যদি দু’বছর একই সংস্থায় কাজ করে থাকেন, তবে ওই দুই বছরের ফর্ম-১৬ পরীক্ষা করে দেখুন যে, প্রথম বছরের ফর্মে আপনার সংস্থার প্যান ও ট্যান নম্বর ঠিক আছে কি না। আয়কর দফতরের ওয়েবসাইটে দেখুন ২৬ এএস ফর্মে অ্যাসেসমেন্ট বছরে (২০১০-’১১) আপনার নামে কর কাটার তথ্য দেখানো আছে কি না। থাকলে ১৫৪ ধারায় রেক্টিফিকেশন পিটিশন ফাইল করতে পারেন।

• ৮০টিটিএ ধারা সম্পর্কে জানতে চাই। এ ক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক সুদ থেকে ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত সুদ মূল আয়ের সঙ্গে যুক্ত হবে? না-কি টাকার অঙ্ক তার বেশি হলেই তা মূল আয়ের সঙ্গে যোগ করা হবে?
পি এস ঘোষ, আসানসোল

সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সুদের অঙ্ক যাই হোক, প্রথমে তা আপনার অন্যান্য আয়ের সঙ্গে যোগ হবে। তার পরে প্রাপ্ত সুদ ও ১০,০০০ টাকার মধ্যে যেটি কম, তা বাদ দিতে হবে।

• ২০১২-’১৩ সালে ডাকঘর সেভিংস অ্যাকাউন্টের সুদ থেকে আমার আয় ৩,০০০ টাকা। এ ছাড়াও, মাসিক সঞ্চয় প্রকল্প এবং সিনিয়র সিটিজেন প্রকল্প থেকে সুদ বাবদ আয় যথাক্রমে ৬৮,০০০ টাকা এবং ৩৭,২০০ টাকা। ৮০টিটিএ ধারায় আমি কত টাকা কর ছাড় পাব? ৩০০০ টাকা, না-কি ১০,০০০ টাকা?
মধুসূদন ভট্টাচার্য, কলকাতা

ব্যাঙ্ক ও ডাকঘরের সেভিংস অ্যাকাউন্ট থেকে প্রাপ্ত সুদ বাবদ মোট আয়ের ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত ৮০টিটিএ ধারায় ছাড় পাবেন। অর্থাৎ আপনি ৩,০০০ টাকার উপর কর ছাড় পাবেন। অন্যান্য সূত্র থেকে প্রাপ্ত সুদ করযোগ্য।

• গত বছর ২ লক্ষ টাকার স্থায়ী আমানত করেছি। ২০১৭ সালে মেয়াদ শেষে ৩,১৫,৯৪০ টাকা পাব। ইতিমধ্যেই ১৫জি ফর্ম জমা দিয়েছি। আমার প্রশ্ন ওই আমানত থেকে প্রাপ্ত সম্পূর্ণ সুদ (১,১৫,৯৪০ টাকা) কি ২০১৭-’১৮ সালের আয়ের মধ্যে ধরা হবে? না এখন থেকেই তা প্রতি বছরের আয়ের মধ্যে দেখাতে হবে?
শুভদীপ মজুমদার, মুর্শিদাবাদ

যেহেতু আপনি প্রতি বছর সুদ থেকে কিছু না কিছু অর্থ আয় করছেন, সে কারণে প্রতি বছরই তা রিটার্নে দেখাতে হবে। তবে করযোগ্য আয় না থাকলে, তবেই ব্যাঙ্ক সুদ বাবদ প্রাপ্ত আয়ের জন্য ১৫জি ফর্ম দাখিল করা যায়। যদি করযোগ্য আয় থাকে, তা হলে ১৫জি ফর্ম দাখিল করা উচিত নয়।

লেখক: ম্যাকলিওড রাসেল
ইন্ডিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কোম্পানি সেক্রেটারি
(মতামত ব্যক্তিগত)


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.