গ্রাম শিক্ষা কমিটির সঙ্গে যোগসাজোস করে ক্লাসঘর তৈরির টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। এই অভিযোগে বুধবার প্রধান শিক্ষককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গ্রাম শিক্ষা কমিটির সভানেত্রী এবং প্রধান শিক্ষক অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ঘটনাটি লাভপুরের মান্দারি তিলটিকুরী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই স্কুলে দু’টি অতিরিক্ত ঘর নির্মাণের জন্য ২০১২ সালের নভেম্বর মাসে সর্বশিক্ষা মিশন থেকে ৮ লক্ষ ৮৬ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়। মঙ্গলবার ওই দু’টি ঘরের একটিতে ঢালাই হয়। বাসিন্দাদের দাবি, ওই দিনই হিসেব দেখানোর কথা ছিল। কিন্তু তা হয়নি। তার প্রতিবাদে বুধবার গ্রামবাসীদের একাংশ বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক সাদা খাতায় নিজের হাতে লেখা হিসেব দেখিয়েছেন। কিন্তু খরচ সাপেক্ষে কোনও রসিদ দেখাতে পারেননি। এর পরেই প্রধান শিক্ষককে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হয়। স্কুল ছুটির পরে অন্য দুই শিক্ষক-সহ প্রধান শিক্ষককে তালাবন্দি করে রাখা হয়। বিক্ষোভকারী সূর্য শেখ, মোল্লা মফুজউদ্দিন, সুকচাঁদ মণ্ডলদের দাবি, “যোগসাজোস করে প্রধান শিক্ষক বেআইনি ভাবে কম দামে নিম্ন মানের মালপত্র কিনেছেন। পরে দামি মালপত্রের ভুয়ো বিল সংগ্রহ করে দেখোনার চেষ্টা করছেন।” প্রধান শিক্ষক হরিচরণ পাল অবশ্য বলেন, “ কোনও দুর্নীতি হয়নি। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কারণে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।” একই বক্তব্য গ্রাম শিক্ষা কমিটির সভানেত্রী নার্গিস ইসলামেরও। সংশ্লিষ্ট লাভপুর দক্ষিণচক্রের স্কুল পরিদর্শক জয়ন্তকুমার মণ্ডল বলেন, “বিষয়টি জানা নেই। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
|
‘অবৈধ’ কয়লা বোঝাই ট্রাকের ধাক্কায় ভাঙল মিষ্টির দোকান। জখম হলেন চালক। বুধবার ভোরে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে দুবরাজপুর পুরসভা এলাকার কামারশাল মোড়ে, রানিগঞ্জ-মোরগ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রানিগঞ্জ থেকে কয়লা ভর্তি ট্রাক যখন দুবরাজপুর থানার পাশ দিয়ে যাচ্ছিল, সন্দেহ হওয়ায় চালকের কাছে কাগজপত্র দেখতে চায় পুলিশ। তখনই পুলিশের নাগাল থেকে বাঁচতে ট্রাকটির গতি বাড়িয়ে দেন চালক। সজোরে গিয়ে রাস্তার ধারের একটি মিষ্টির দোকানের মধ্যে ঢুকে যায় ট্রাকটি। তবে বন্ধের দিন হওয়ায় অন্য দিনের মতো ওই দোকানের সামনে লোকজন বা রিকশা ছিল না। তা না হলে বড় বিপদ হতে পরত বলে মনে করছেন এলাকার বাসিন্দারা। জখম চালক সবরজিৎ সিংহকে দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানোর পর গ্রেফতার করে পুলিশ। আটক করা হয় কয়লার ট্রাকটিকেও।
|
স্ত্রীকে নির্যাতনে অভিযুক্ত শিল্প সদনের শিক্ষক বিশাল ভাণ্ডের বিরুদ্ধে জারি করা সাময়িক সাসপেনশন অর্ডার তুলে নিল বিশ্বভারতী। সম্প্রতি এ কথা জানান বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র অমৃত সেন। গত বছর ৫ মে বিশালবাবুর স্ত্রী অন্তরা দেবী বোলপুর থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেদিনই বিশালবাবুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিন দিনের মধ্যেই বিশ্বভারতী শিল্প সদনের এই শিক্ষককে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করে। সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার প্রসঙ্গে অমৃতবাবু বলেন, “এটি রুটিন অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ প্রসেস।” মামলা চলাকালীনই অভিযুক্ত শিক্ষকের সাশপেনশন অর্ডার কেন প্রত্যাহার করা হল, তার সদুত্তর দেয়নি বিশ্বভারতী। বিশালবাবুর অবশ্য দাবি, “বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এখনও পর্যন্ত আমি কোনও চিঠি পাইনি।” এ দিকে এ বিষয়ে তাঁর স্ত্রীর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
|
পাড়ার সরস্বতী প্রতিমা বিসর্জনে বেরিয়ে রাস্তার ধারে কুয়োয় পড়ে মৃত্যু হল এক স্কুল ছাত্রের। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম শম্ভু হাজরা (১৫)। বোলপুরের তারাশঙ্কর বিদ্যাপীঠের নবম শ্রেণির ছাত্র শম্ভুর মৃত্যুতে বুধবার স্কুলে শোকসভা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ বোলপুরের সুরশ্রী পল্লির সরস্বতী প্রতিমা বিসর্জনের শোভাযাত্রায় নাচতে নাচতে যাচ্ছিল শম্ভু। হঠাৎ সে কুয়োয় পড়ে যায়। খবর পেয়ে উদ্ধারের কাজে আসে দমকল ও পুলিশ। রাতেই তাকে উদ্ধার করে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল সুপার সুদীপ মণ্ডল বলেন, “মৃত অবস্থায় ওই ছাত্রকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। বুধবার দেহটি ময়না তদন্ত করার পরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।”
|
গলায় গামছার ফাঁস দেওয়া অবস্থায় এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মৃতের নাম দবির হোসেন (২৭)। বাড়ি খয়রাশোলে। মহম্মদবাজার থানার কাপাসডাঙা এলাকায় তাঁর একটি পাথরভাঙা কল আছে। কাপাসডাঙাতেই তিনি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতেন। মঙ্গলবার দুপুরের খাবার দিতে গিয়ে হোটেলের কর্মী তাঁকে ডেকে কোনও সাড়া না পেয়ে আশপাশের লোকজনকে ডাকাডাকি করেন। লোকজনের সাড়া না পেয়ে শেষ পর্যন্ত ওই কর্মী পুলিশে খবর দেন।
|
বুধবার নলহাটিতে মুকুল রায়ের সভায় যাওয়ার পথে ট্রেন থেকে পড়ে গুরুতর জখম হলেন বাদল মাড্ডি নামে বোলপুর থানা এলাকার এক যুবক। |