বেড়ে চলা দুষ্কৃতীর দৌরাত্ম্য নিয়ে ক্ষোভ ধাত্রীগ্রামে |
এলাকায় সমাজবিরোধীদের তাণ্ডব ক্রমশ বাড়ছে, এই অভিযোগে রাজ্যের ক্ষুদ্র কুটির ও ভূমি ও বস্ত্র দফতরের প্রতিমন্ত্রী স্বপন দেবনাথের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন ধাত্রীগ্রামের বাসিন্দারা। বর্ধমানের এই গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকায় কয়েক জন যুবক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। পথচলতি মহিলাদের উদ্দেশে কটূক্তি করছে। প্রতিবাদ করলে বাড়িতে চড়াও হয়ে মারধরও করছে তারা। সব শুনে মন্ত্রী পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। পরে কালনা মহকুমা পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক জানান, অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার সব রকম চেষ্টা চলছে। রবিবারই কালনা ১ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মহীতোষ তালিত ওই যুবকদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে যান। মারধর করা হয় তাঁকে ও তাঁর ভাই বাদল তালিতকে। জখম অবস্থায় বাদলবাবুকে কালনা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এর পরই এলাকার লোকজনের ক্ষোভ চরমে ওঠে। সোমবার সুজিত দাস নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা ছ’জন যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। মঙ্গলবার রাতে বাদলবাবুকে মারের প্রতিবাদে ধাত্রীগ্রাম বাজারে জড়ো হন এলাকার বাসিন্দারা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বুধবার বিকেলে ধাত্রীগ্রামে দলীয় বৈঠকে গিয়েছিলেন স্বপনবাবু। সেই সময়েই স্থানীয় বাসিন্দারা গিয়ে তাঁকে বিষয়টি জানান।
|
কাটোয়ায় ওয়ার্ড ক্রিকেটে জয়ী ৬ নম্বর |
বন্ধের দিনেও ওয়ার্ড ক্রিকেট প্রতিযোগিতার দু’টি খেলা হল কাটোয়া স্টেডিয়াম ময়দানে। প্রথম খেলায় ৬ নম্বর ওয়ার্ড মাত্র ২ রানে জিতে যায়। প্রথমে ব্যাট করে ১৩৫ রান করে ৬ নম্বর ওয়ার্ড। সেখানে ৮ নম্বর ইনিংস শেষ হয় ১৩৩ রানে। দ্বিতীয় খেলায় ১৯ নম্বর ওয়ার্ডকে হারিয়ে দেয় ১৬ নম্বর ওয়ার্ডয় ১৯ নম্বর প্রথমে ব্যাট করে ১৭১ রান করে। জবাবে ৬ উইকেট হারিয়ে প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় ১৬ নম্বর ওয়ার্ড।
|
নিজস্ব সংবাদদাতা • লাউদোহা |
আমদহির শেখ লালু খুনের ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করল ফরিদপুর (লাউদোহা) থানার পুলিশ। আমদহি গ্রামে শেখ লালু খুনের ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে পুলিশ। বুধবার তাদের দুর্গাপুর আদালতে পাঠানো হলে বিচারক ৬ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। ৩১ ডিসেম্বর সকাল ১১টা নাগাদ দুষ্কৃতীদের গুলিতে বাড়ির সামনে মারা যান সৈয়দ আহমেদ ওরফে শেখ লালু (৩৫)। কিছুক্ষণের মধ্যেই গ্রামের অন্যদিকে স্ত্রীর সঙ্গে ধানঝাড়াই করার সময় দুষ্কৃতীরা গুলি করে মনসুর আলি ওরফে শেখ মন্টুকে (৩৬)। দুর্গাপুর হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। মন্টুকে নিজেদের দলের সক্রিয় কর্মী হিসাবে দাবি করে তৃণমূল। ৬ জানুয়ারি শেখ লালু খুনের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ছ’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে আমদহি গ্রাম থেকে অভিযুক্ত রেজাউল করিম ও আবদুল করিমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। |