|
|
|
|
কালনায় পরিবহণ অফিস চালু হয়নি দেড় বছরেও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কালনা |
দেড় বছরের চেষ্টাতেও চালু হল না কালনা মহকুমাশাসকের পরিবহন দফতরের কাজ। ফলে গাড়ির চালকের সচিত্র পরিচয়পত্র নবীকরণ করতে এখনও দুর্ভোগ পোহেতে হচ্ছে মহকুমার বাসিন্দাদের। মাস পাঁচেক ধরে তালাবন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে মহকুমাশাসকের কার্যালয়ের এক তলার পরিবহন দফতরের কার্যালয়টি। কালনার মহকুমাশাসক শশাঙ্ক শেঠির বক্তব্য, “পরিবহণ দফতর থেকে এখনও এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পরিবহণ আধিকারিকের নিয়োগ হয়নি। সমস্যার কথা জানানো হয়েছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে।” |
এই ভবনের একতলায় তালাবন্ধ পড়ে সেই অফিস। নিজস্ব চিত্র। |
মহকুমার পাঁচটি ব্লকে প্রায় দশ লক্ষ মানুষ থাকেন। মোটরচালিত যানের পরিচয়পত্র পেতে হলে বাসিন্দাদের পৌঁছতে হয় বর্ধমান সদরে পরিবহণ দফতরের কার্যালয়ে। কালনা ও পূর্বস্থলী এলাকার ব্লকগুলি থেকে তা প্রায় পঞ্চাশ থেকে ষাট কিলোমিটারের রাস্তা। তাই পরিবহণ দফতরে গিয়ে ফিরে আসার জন্য একটা গোটা দিনই কাবার হয়ে যায় বাসিন্দাদের। এই দুর্ভোগ কমাতে বছর দেড়েক আগে উদ্যোগী হয় জেলা প্রশাসন। তাদের তরফে কালনার মহকুমাশাসককে চিঠি পাঠিয়ে জানানো হয়, তাঁর অধীনে একটি পরিবহণ দফতরের কার্যালয় খোলা হবে। সেখান থেকেই পরিচয়পত্র দেওয়া হবে গাড়ি চালকদের। জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধিরাও মহকুমাশাসকের সঙ্গে দেখা করেন। ঠিক হয়, ওই মহকুমাশাসকের কার্যালয়ের একতলায় হবে পরিবহণ দফতরের ওই কার্যালয়টি। অনুমোদন পাওয়ার পরে তার জন্য অর্থও বরাদ্দ হয়। রাখা হয় ৬টি কম্পিউটার। আধিকারিক ও কর্মীদের বসার ব্যবস্থাও করা হয় ওই কার্যালয়ে। মহকুমাশাসকের কার্যালয় সূত্রে খবর, ওই বিভাগের বৈদ্যুতিকীকরণ ও চার কর্মীকে নিয়োগ করার কাজও শেষ হয়ে গিয়েছে। তবে কাজের প্রয়োজনীয় দু’টি সফ্টওয়্যার আসেনি এখনও। কর্মীদের দাবি, দু’বার পরিবহণ দফতরের কার্যালয়টির উদ্বোধনের জন্য তাড়াহুড়ো শুরু হলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়ে ওঠেনি। মাস পাঁচেক ধরে কার্যালয়টি তালাবন্ধ অবস্থায় রয়েছে।
কালনা শহরের বাসিন্দা অতনু হালদারের কথায়, “২০১২-র অগস্টে কার্যালয়টি তৈরি হওয়ার কথা শুনেছিলাম। ভেবেছিলাম ‘ড্রাইভিং লাইসেন্স’ নিয়ে এ বার দুর্ভোগ কমবে। তবে এখনও দফতর চালু না হওয়ায় আমরা হতাশ।” পূর্বস্থলীর বাসিন্দা পরিমল সর্দার বলেন, “এক বার বর্ধমান সদরে গেলে ফিরতে ফিরতে পুরো দিন গড়িয়ে যায়। কালনার মহকুমাশাসকের কার্যালয়ে পরিবহণ দফতর এখনও চালু হল না। অথচ সেটি হলেই আর সমস্যা থাকে না। জানি না, প্রশাসন কেন বিষয়টি নিয়ে গড়িমসি করছে।” |
|
|
|
|
|