|
|
|
|
গেটে বিক্ষোভ, তবু স্বাভাবিক উৎপাদন |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
শহরে রাস্তাঘাট ফাঁকা ও অনেক দোকানপাট বন্ধ থাকলেও কল-কারখানায় বন্ধের বিশেষ প্রভাব পড়ল না শিল্পাঞ্চলে। ইসিএলে সামান্য বিঘ্ন হলেও ইস্কো, চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা, ডিএসপি, ডিপিএল ইত্যাদিতে স্বাভাবিক কাজকর্ম হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সিটুর অবশ্য দাবি, অনেক কারখানাতেই কর্মীরা কাজে যাননি। তবে অনেক জায়গায় তৃণমূলের চাপে শ্রমিকদের কাজে নামতে হয়েছে বলে তাদের অভিযোগ। তৃণমূল অবশ্য তা উড়িয়ে দিয়েছে।
এ দিন সকাল থেকেই আসানসোল মহকুমার নানা খনি ও কারখানার গেটে বনধ সমর্থকদের পিকেটিং করতে দেখা যায়। তবে কাজে যোগ দিতে যাওয়া শ্রমিক-কর্মীরা বাধা পাননি। ইস্কো স্টিল প্ল্যান্টের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ভাস্কর কুমার জানান, এ দিন সংস্থায় হাজিরা ও উৎপাদন স্বাভাবিক ছিল। ইস্কোর আধুনিকীরণ প্রকল্পও ব্যাহত হয়নি। চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার জনসংযোগ আধিকারিক মন্তার সিংহ জানান, শ্রমিক-কর্মীদের উপস্থিতি ও উৎপাদন স্বাভাবিক ছিল। সকালে বনধ সমর্থকেরা পিকেটিং করেন। কাজে বাধা পড়েনি। |

কর্মনাশা বনধ সত্ত্বেও দুর্গাপুরে সচল রইল কারখানা। |
ইসিএলের কিছু খনিতে উৎপাদন ব্যহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে মোটের উপর হাজিরা ও উৎপাদন অন্য দিনের মতোই ছিল বলে জানান সংস্থার সিএমডি-র কারিগরি সচিব নীলাদ্রি রায়। সকালে ঝাড়খণ্ডের রাজমহল খোলামুখ খনিতে উৎপাদন কিছুটা ব্যাহত হয়। বেলায় তা স্বাভাবিক হয়। ঝাড়খণ্ডের এসপি মাইনস খনিতে উৎপাদন ব্যহত হয়। রানিগঞ্জের কয়েকটি খনিতে উৎপাদন হয়নি। তবে বেশির ভাগেই উৎপাদন স্বাভাবিক ছিল। কয়লা পরিবহণও হয়েছে যথারীতি। জামুড়িয়ার সাতগ্রাম প্রজেক্টের আইএনটিইউসি নেতা তরুণ গঙ্গোপাধ্যায়ের দাবি, সেখানকার সব কর্মীই হাজির ছিলেন। পাণ্ডবেশ্বরের সঙ্কল্প খনিতে বনধ সমর্থকেরা বিক্ষোভ দেখাতে গেলে আইএনটিটিইউসি-র লোকজনের সঙ্গে ঝামেলা বাধে। তবে পুলিশ গিয়ে উৎপাদন চালু করে।
দুর্গাপুরের সব ক’টি শিল্পতালুকে বেসরকারি কারখানায় হাজিরা ও উৎপাদন ছিল স্বাভাবিক। দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টে (ডিএসপি) হাজিরা ছিল ৮১ শতাংশের বেশি। উৎপাদনও স্বাভাবিক ছিল বলে জানান কারখানার মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক বিভুরঞ্জন কানুনগো। ধর্মঘটের আওতার বাইরে ছিল দুর্গাপুর প্রজেক্টস লিমিটেড (ডিপিএল)।
সিটুর জেলা সভাপতি তথা রাজ্য সহ-সভাপতি বিনয়েন্দ্রকিশোর চক্রবর্তী দাবি করেন, কোলিয়ারিতে ৯৯ শতাংশ কর্মী যোগ দেননি। জামুড়িয়া, রানিগঞ্জ, বারাবনি, মঙ্গলপুর, পানাগড়ে সর্বাত্মক ধর্মঘট হয়েছে বলেও তাঁর দাবি। তবে ডিএসপি এবং ইস্কোয় স্থায়ী শ্রমিকদের পক্ষ থেকে আশানুরূপ সাড়া মেলেনি বলে স্বীকার করেন তিনি। কারখানা ও খনিতে ধর্মঘট আশানুরূপ হয়েছে দাবি করে আসানসোলের সাংসদ বংশগোপাল চৌধুরীর অভিযোগ, “কোথাও কোথাও ভয় দেখিয়ে শ্রমিক-কর্মীদের হাজির করানো হয়েছে।” রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী তথা আইএনটিটিইউসি-র রাজ্য সাধারণ সম্পাদক মলয় ঘটকের পাল্টা বক্তব্য, “শিল্পে ধর্মঘটের কোনও প্রভাবই পড়েনি।” ভয় দেখিয়ে শ্রমিকদের কাজে নামানোর অভিযোগ উড়িয়ে তাঁর আরও দাবি, অন্য দিনের তুলনায় এ দিন উৎপাদন বেশি হয়েছে। |
|
|
 |
|
|