|
|
|
|
খুনের চেষ্টা, ধৃত শ্যালক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • চাঁচল |
জমি ও পারিবারিক বিবাদে জামাইবাবুকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগে পুলিশ শ্যালককে ধরেছে। মালদহের চাঁচল থানার সিহিপুরে গত রবিবার রাতে ওই ঘটনাটি ঘটে। বুকে ছুরির আঘাতে জখম জামাইবাবু রামপ্রসাদ রবিদাসকে মালদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ধৃত শ্যালকের নাম ফটিক রবিদাস। তিনি পেশায় গৃহশিক্ষক। শ্যালক-জামাইবাবুর পারিবারিক বিবাদে ঘটনাটি ঘটলেও তাতে লেগেছে রাজনীতির রং। নিজেকে তৃণমূল সমর্থক দাবি করে অভিযুক্ত ভাইকে সিপিএম কর্মী বলে দাবি করেছেন দিদি বুলি রবিদাস। বুলিদেবীর দাবি ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। পাশাপাশি সিপিএমও ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছে। চাঁচল-১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি মজিবর রহমান বলেন, “কেউ নিজেকে তৃণমূল বলে দাবি করলেই তো হয় না। ওই পরিবারটির সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।” সিপিএমের চাঁচল জোনাল কমিটির সদস্য মনওয়ারুল আলমও বলেন, “অভিযুক্ত ফটিক কয়েক বছর আগে আমাদের দলের সমর্থক ছিল। এখন ওঁর সঙ্গে দলের যোগাযোগ নেই। যা ঘটেছে তা পুরোটাই পারিবারিক বিবাদ।” ধৃতের মা রানু রবিদাস বলেন, “মেয়ে বুলি কেন নিজেকে তৃণমূল আর ভাইকে সিপিএম কর্মী বলল বুঝতে পারছি না।” শ্বশুরবাড়ির পাশেই বাড়ি করে স্ত্রী বুলিদেবীকে নিয়ে থাকেন পেশায় রংমিস্ত্রি রামপ্রসাদবাবু। এই জমি-বাড়ি করা নিয়ে ফটিক এবং রামপ্রসাদবাবুর মধ্যে লেনদেন হয়। একসময় তাঁদের সম্পর্ক ভাল থাকলেও পরে কারণে তিক্ততা বাড়ে। ফটিক বিয়ে করার পর তিক্ততা চরমে পৌঁছায়। এরমধ্যে ফটিকের স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে চলে যান। দিদির জমি-জায়গা নিয়ে অশান্তি চরমে ওঠে। গত রবিবার রাতে ফের বচসার সময় জামাইবাবুকে ফটিক ছুরি মারেন বলে অভিযোগ। রামপ্রসাদবাবুর স্ত্রী বুলির অভিযোগ, “আমরা তৃণমূল করি। রাতে ফটিক বাড়িতে ঢুকে সিপিএম করতে হবে বলে হুমকি দেয়। প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে জমি, বাড়ি থেকে উচ্ছেদের কথাও বলে। অন্যত্র বাড়ি করে চলে যাওয়ার কথা বলে। বচসার সময় ও জামাইবাবুকে ছুরি মারে।” ধৃত ফটিক রবিদাস অভিযোগ অস্বীকার করেন। চাঁচল থানায় তিনি বলেন, “চার বোন আমাকে নানাভাবে অত্যাচার করে। বুলি জোর করে আমাদের জমিতে বাড়ি তৈরি করে রয়েছে। জামাই বাবুকে কে ছুরি মেরেছে জানি না।” |
|
|
|
|
|