|
|
|
|
আনন্দবাজারের প্রতিবেদনের জের |
রেলের স্লিপার কারখানা চালু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালদহ |
প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের হস্তক্ষেপে খুলে গেল মালদহের বৈষ্ণবনগরের রেলের স্লিপার কারখানা। সোমবার দুপুরে ওই কারখানাটি খুলে যায়। সংগঠনের দশ সদস্যকে নিয়োগের দাবিতে প্রায় তিন মাস ধরে কারখানাটি বন্ধ করে রেখেছিলেন আইএনটিইউসি’র স্থানীয় নেতারা। তাঁদের স্থানীয় কংগ্রেস বিধায়ক ঈশা খান চৌধুরী মদত দিচ্ছিলেন বলেও অভিযোগ ওঠে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে শ্রম দফতরের প্রতিমন্ত্রী তথা জেলার বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিনকে চিঠি দিয়ে হস্তক্ষেপের আর্জি জানানোর পরেও সমস্যা মেটেনি বলে অভিযোগ করেছিলেন কারখানার মালিক সব্যসাচী মুন্সি। এই পরিস্থিতি কারখানাটি তিনি উত্তর প্রদেশে সরিয়ে নিয়ে যেতে চান বলে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হতেই এদিন হস্তক্ষেপ করেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। তার জেরেই এদিন মালিকপক্ষের সঙ্গে ফের বৈঠকে বসেন আইএনটিইউসি’র স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। সেখানে মালিকপক্ষ ৭ আইএনটিইউসি সদস্যকে কাজে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে সন্মত হন। ঠিকা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরিও ২০ টাকা করে বাড়াতে সন্মত হন। রাজ্যের শ্রম প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, “স্লিপার কারখানার শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি কী হবে সেই ব্যাপারে রাজ্য সরকারের কোনও গাইড লাইন নেই। এখানে কারখানার মালিক শ্রমিকদের কম মজুরি দিচ্ছিলেন বলে আইএনটিইউসি নেতারা অভিযোগ জানিয়েছেন। এর স্থায়ী সমাধানের জন্য শ্রমমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব। কারখানার মালিক ৭ জন শ্রমিককে কাজে পুনর্বহাল এবং ঠিকা শ্রমিকদের মজুরি ২০ টাকা বাড়াতে রাজি হওয়ায় সমস্যা মিটে গিয়েছে বলে শুনেছি।” ওই কারখানার মালিকের দাবি, তিনি প্রথম থেকে ওই দশ জনের মধ্যে ৫ শ্রমিককে নিয়োগের ব্যাপারে সন্মত ছিলেন। আইএনটিইউসি’র স্থানীয় নেতারা গোঁ ধরে বসেছিলেন ১০ জনকেই নিতে হবে। না-হলে কারখানার গেট খোলা হবে না। তিনি বলেন, “আজ আলোচনায় বসে ৭ জনকে কাজে নিয়েছি। তবে সংবাদ মাধ্যমে আমার সমস্যার কথা প্রকাশিত না-হলে কারখানা খুলতেই পারতাম না।” এদিন কারখানা খোলায় সন্তোষ প্রকাশ করেন জেলার কংগ্রেস বিধায়ক ঈশা খান চৌধুরীও। তিনি বলেন, “রবিবার দু’পক্ষই আমার এসেছিল। দু’পক্ষ এতদিন অনড় থাকায় কারখানা বন্ধ ছিল। শেষ পর্যন্ত সমস্যা মিটে গিয়েছে। আশা করি, দু’পক্ষের সম্পর্ক এ বার ঠিক থাকবে।” রেলের ওই স্লিপার কারখানা খোলায় খুশি মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্সের সম্পাদক জয়ন্ত কুন্ডু। তিনি বলেন, “রাজ্যের শিল্পপতিদের চোখে দলের ও শ্রমিক সংগঠনের ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ার ভয়ে কংগ্রেস ও আইএটিইউসি কারখানার তালা খুলে দিয়েছে। তবে সংবাদ মাধ্যম এগিয়ে না-এলে এটা সম্ভব হত না।” কারখানার জেনারেল ম্যানেজার দাবি করেন, কারখানায় ঠিকা শ্রমিকদের দৈনিক ৮ ঘন্টা কাজের জন্য ১৯৮ টাকা মজুরি দেওয়া হয়, যা বিহার ও ঝাড়খন্ডের ন্যূনতম মজুরির চেয়ে বেশি। তিনি বলেন, “তা সত্ত্বেও এ দিনের বৈঠকে ঠিকা শ্রমিকদের ২০ টাকা মজুরি বৃদ্ধি করা হয়। অথচ আমাদের স্থায়ী শ্রমিকরা যেখানে ৮ ঘণ্টায় ২২০টি স্লিপার তৈরি করেন সেখানে ঠিকা শ্রমিকরা ১৪৪টি স্লিপার তৈরি করেন।” |
|
|
|
|
|