উচ্চ মাধ্যমিক এবং আইএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ভুলের জেরে সোমবার বিভ্রান্ত হলেন পরীক্ষার্থীরা। উচ্চ মাধ্যমিকের পদার্থবিদ্যা ও এডুকেশনের প্রশ্নে এবং আইএসসি-র অঙ্কের প্রশ্নপত্র নিয়ে এ দিন বিভ্রান্তি ছড়ায়। দু’টি পরীক্ষারই নিয়ন্ত্রক দুই সংসদ জানিয়েছে, পরীক্ষার্থীরা ওই প্রশ্নগুলির উত্তর লেখার চেষ্টা করলেই তাঁদের পুরো নম্বর দেওয়া হবে। এর আগে উচ্চ মাধ্যমিকের ইংরেজি পরীক্ষার দিনেও প্রশ্নপত্রে ভুল ও অসঙ্গতি ধরা পড়েছিল। সে-দিনেও বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছিল ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে।
উচ্চ মাধ্যমিকে এ দিনের দু’টি বিষয়ের প্রশ্নপত্রে বিভ্রান্তির কারণ কী? এডুকেশনের একটি প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য গ্রাফ পেপার ব্যবহার করার প্রয়োজন হলেও পরীক্ষার হলে ছাত্রছাত্রীদের তা দেওয়া হয়নি। ফলে কী ভাবে প্রশ্নটির উত্তর দেওয়া যাবে, তা নিয়ে বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন পরীক্ষার্থীরা। গ্রাফ পেপারের অভাবে অনেক ছাত্রছাত্রীই সাদা খাতায় প্রশ্নটির উত্তর লেখার চেষ্টা করেন। শিক্ষক-শিক্ষিকারা জানিয়েছেন, ওই ধরনের প্রশ্নের উত্তর গ্রাফ পেপারের সাহায্যেই লিখতে হবে বলে স্কুলে শেখানো হয়।
তবে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মুক্তিনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা হয়েছে। ওঁরা জানিয়েছেন, ওই প্রশ্নের উত্তর গ্রাফ পেপার ছাড়াও দেওয়া যায়। তবে গ্রাফ পেপার থাকলে সুবিধা হয়। সাদা খাতায় ওই প্রশ্নের উত্তর দিতে গেলে ভুল হতে পারে। তাই যে-পরীক্ষার্থী ওই প্রশ্নের উত্তর লেখার চেষ্টা করবে, তাকে পুরো নম্বর দেওয়া হবে।” ওই প্রশ্নটিতে পাঁচ নম্বর রয়েছে। আবার পদার্থবিদ্যার একটি প্রশ্নে বাংলা ও ইংরেজি তর্জমায় ফারাক রয়েছে। ইংরেজি প্রশ্নপত্রে প্রশ্নটি ভুল দেওয়া হয়েছে বলে সংসদ-কর্তৃপক্ষই জানিয়ে দিয়েছেন। যদিও মুক্তিনাথবাবুর বক্তব্য এটি ‘মুদ্রণপ্রমাদ’। তিনি বলেন, “ইংরেজি মাধ্যমে যারা পরীক্ষা দিয়েছে, তারা প্রশ্নটির উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করলেই পুরো নম্বর পাবে। বাংলায় অবশ্য ঠিক উত্তর লিখতে হবে। তবেই নম্বর পাওয়া যাবে।” এই প্রশ্নে দু’নম্বর রয়েছে। সেই সঙ্গে সংসদ-সভাপতি বলেন, “প্রশ্নপত্র তৈরি থেকে ছাপা পর্যন্ত বেশ কয়েকটি পর্যায় রয়েছে। তার কোনও একটিতে ভুল হয়ে গেলে কিছু করার থাকে না। তবে এমন ভুল হওয়া কখনওই কাম্য নয়।” গত শুক্রবার উচ্চ মাধ্যমিকের ইংরেজি পরীক্ষার একটি প্রশ্নে ‘কাস্ট’ শব্দটির বদলে ‘ক্লাস’ ছাপা হয়। তার জেরে পরীক্ষার্থীরা বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন। সে-দিন সংসদ-কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছিলেন, ওই দু’টি শব্দের অর্থ এক। তাই পরীক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত হওয়ার কারণ নেই।
সোমবার প্রশ্নপত্রে বিভ্রাট ঘটে আইএসসি পরীক্ষাতেও। অঙ্কের ত্রিকোণমিতির একটি প্রশ্নে ‘কস-এক্স’ দেওয়ার দরকার হলেও ‘এক্স’ ছাপা হয়নি। ফলে ছাত্রছাত্রীরা বিভ্রান্ত হন। অঙ্কটিতে তিন নম্বর রয়েছে। সংসদ সূত্রের খবর, ওই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করলেই পুরো নম্বর দেওয়া হবে পরীক্ষার্থীদের। |