বসিরহাটে যুব কংগ্রেস নেতা খুন এবং উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদকের উপরে ‘অত্যাচার’-এর ঘটনা আজ, মঙ্গলবার বিধানসভার অধিবেশনে তুলবে কংগ্রেস। দু’টি ঘটনাতেই অভিযুক্ত জোটের বড় শরিক তৃণমূল। ঘটনার প্রতিবাদে বিধানসভা উত্তপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা। প্রকাশ্যে না-বলা হলেও কংগ্রেস সূত্রের ইঙ্গিত, প্রয়োজনে দলীয় বিধায়করা সাময়িক বিধানসভার অধিবেশন থেকে ওয়াক-আউটও করতে পারেন।
রাজ্যসভার সাংসদ পদে কংগ্রেস প্রার্থী আব্দুল মান্নানের মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রস্তুতি সারতে সোমবার সকাল থেকেই বিধানসভায় কংগ্রেস বিধায়কদের কক্ষে দলীয় নেতৃত্ব হাজির ছিলেন। সেখানেই কংগ্রেস নেতা অজয় দে জানান, বসিরহাট এবং উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই দু’টি ঘটনা তাঁরা অধিবেশনে তুলবেন। তাঁর কথায়, “আমরা ওই দু’টি ঘটনা নিয়ে সরকারের বক্তব্য জানতে চাইব। অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেব।” অজয়বাবুর বক্তব্যের দ্বিতীয় অংশকে সাময়িক ওয়াক-আউটের ‘সম্ভাবনা’ বলে ব্যাখ্যা করছে কংগ্রেসের একাংশ।
শনিবার বসিরহাট স্টেশন সংলগ্ন টাকি রোডে দুষ্কৃতীদের ছোড়া বোমা ও গুলিতে যুব কংগ্রেস নেতা পরিমল সর্দারের মৃত্যু হয়। নিহতের পরিবার ১২ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করে। ধৃতরা তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী বলে কংগ্রেসের দাবি। ওই দিনই উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র পরিষদ-টিএমসিপি সংঘর্ষে সেখানকার ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক রোনাল্ড দে জখম হন। দু’পক্ষই থানায় অভিযোগ করে। কংগ্রেস নেতা দেবপ্রসাদ রায় জানান, জখম রোনাল্ডকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর পুলিশ তাঁকে হাসপাতাল থেকে তুলে নিয়ে যায়। দেবপ্রসাদবাবুর কথায়, “এ বার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্র পরিষদ জিতেছে। সেই রাগেই টিএমসিপি রোনাল্ড-সহ ছাত্র পরিষদ কর্মীদের মারধর করে। পুলিশও টিএমসিপি-র অভিযোগের ভিত্তিতে রোনাল্ডকে রাত ১টায় হাসপাতাল থেকে মারতে মারতে তুলে নিয়ে যায়। যেসব ছাত্র পরিষদ কর্মীরা রোনাল্ডের দেখভালের জন্য হাসপাতালে ছিলেন, তাঁদেরও পুলিশ মেরেছে।”
রাজ্যে তৃণমূল-কংগ্রেস জোট সরকারের ১০ মাসে কংগ্রেস বহু বার তৃণমূল এবং পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাস’-এর অভিযোগগুলির নিরপেক্ষ তদন্ত না-করার অভিযোগ তুলেছে। এমনকী, এ বিষয়ে রাস্তায় নেমে আন্দোলনও করেছে কংগ্রেস। কিন্তু এত দিন বিধানসভায় কংগ্রেস এমন অভিযোগ তোলেনি। |