বাঁকুড়ার সারেঙ্গা থানার বড়গাড়রা মোড়ে শনিবার দুপুরের দুর্ঘটনায় মৃত ও আহতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কাজ শুরু করল প্রশাসন। ওই দুর্ঘটনায় চালক-সহ ট্রেকারের ১১ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৬ জন। মৃত ও আহতদের অধিকাংশই সারেঙ্গার গোপালডাঙা ও গাড়রা গ্রামের বাসিন্দা। তাঁদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবিতে শনিবার রাত থেকে রবিবার দুপুর পর্যন্ত গোপালডাঙা ও গাড়রা মোড়ে সারেঙ্গা-গোয়ালতোড় রাস্তা অবরোধ করেছিলেন গ্রামবাসীরা। বিডিও (সারেঙ্গা) হীরকজ্যোতি মজুমদার বলেন, “দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত গোপালডাঙা গ্রামের ৭টি, গাড়রা গ্রামের ৪টি এবং কুলডিহা গ্রামের ট্রেকার চালকের পরিবারকে এ দিন ব্লক থেকে নগদ ৬০০ টাকা করে সাহায্য দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ওই পরিবারগুলির সদস্যদের জামাকাপড়, শাড়ি-সহ বিভিন্ন ত্রাণসামগ্রী দেওয়া হবে।” ওই পরিবারগুলির ক্ষতিপূরণ পাওয়ার বিষয়ে রাজ্যের মন্ত্রী শ্যাম মুখোপাধ্যায় এ দিনও বলেন, “মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমরা আবেদন জানিয়েছি, ওই গরিব পরিবারগুলিকে যেন উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়।”
অন্যদিকে দুর্ঘটনায় আহত গাড়রা গ্রামের বাসিন্দা শৈল বাঙালের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ থেকে কলকাতার পিজি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। বাঁকুড়া মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন নিয়তি মল্ল এবং সারেঙ্গা মিশন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গোপালডাঙা গ্রামের বাসিন্দা জ্যোৎস্না কর্মকার, কাকলি মল্ল, পারুলতা মল্ল ও জবা মল্লদের শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। |