|
|
|
|
গ্রামীণ বিদ্যুদয়নের বিপরীত ছবি বাসন্তীতে |
বিদ্যুৎ মেলেনি,ওঁরা আজও অন্ধকারে |
সামসুল হুদা • ক্যানিং |
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং মহকুমার বাসন্তী ব্লক। ব্লকের অন্যত্র বিদ্যুৎ পৌঁছলেও ভরতগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের ৮-৯টি মৌজার মানুষ বেঁচে আছেন অন্ধকারেই। ‘রাজীব গাঁধী রুরাল ইলেকট্রিফিকেশন’ প্রকল্পে প্রতিটি গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার কথা থাকলেও আজও অন্ধকারেই থেকে গিয়েছেন এঁরা।
স্থানীয় বাসিন্দা জালালউদ্দিন মল্লিক, সইফুদ্দিন মল্লিকের অভিযোগ, ভরতগড় পঞ্চায়েতের ৮-৯টি মৌজার মধ্যে একমাত্র শিবগঞ্জ গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছেছে। এলাকায় পঞ্চায়েত দফতর, দু’টি হাইস্কুল, একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং একটি সমবায় ব্যাঙ্ক রয়েছে। কিন্তু এলাকায় বিদ্যুৎ না পৌঁছনোর কারণে স্বাস্থ্যকেন্দ্র, পঞ্চায়েত দফতর, ব্যাঙ্ক সর্বত্রই জেনারেটরের মাধামে কাজ চলে। গুরুতপূর্ণ দফতরগুলি থাকা সত্ত্বেও কেন এই এলাকায় বিদ্যুদয়নের কাজ হয়নি তার কোনও ব্যাখ্যা মেলেনি জেলা প্রশাসনের কাছে।
জেলার এই ব্লকের অধিকাংশ বাসিন্দাই বিপিএল তালিকাভুক্ত। এমনই কয়েকটি পরিবারের সদস্য কাজেম মোড়ল, শরিফ সর্দারদের অভিযোগ, “বিপিএল তালিকার পরিবারগুলিকে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার কথা। বাড়িতে মিটার বসিয়ে দিয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়নি। এ ব্যাপারে বলতে গেলে বিদ্যুৎ বণ্টন দফতরের কর্মীদের একাংশ আমাদের কাছে টাকা চাইছেন।” যদিও এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিদ্যুৎ বণ্টন কর্তৃপক্ষ।
বাসন্তীর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মনোরমা বৈদ্য বলেন, “বার বার বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থাকে এ ব্যাপারে জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনও সুরাহাই হচ্ছে না। আগামী ২৬ মার্চ এ ব্যাপারে বৈঠক হওয়ার কথা।”
বিডিও সুষোময় বিশ্বাস বলেন, “এটা একটা বড় সমস্যা। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানিয়েছি। কয়কে দিন আগে এ ব্যাপারে বৈঠকও হয়েছে। আশা করছি শীঘ্রই সমস্যার সমাধান হবে।”
বিদ্যুৎ বণ্টন দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, এক বছর আগে যখন সমীক্ষা করা হয়েছিল তখন ৫টি মৌজার তালিকা ছিল। পরে দু’টি মৌজা যুক্ত হয়। স্থানীয় মানুষের দাবি ছিল, সব মৌজায় একইসঙ্গে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে হবে। এই অবস্থায় ফের সমীক্ষা করা হয়েছে। ওই সব মৌজায় বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে ২৫০টি খুঁটি পুঁততে হবে। ইতিমধ্যে ১৫০টি খুঁটি বসানো হয়ে গিয়েছে। বাকিগুলিও দ্রুত বসিয়ে ফেলা হবে। |
|
|
|
|
|