|
|
|
|
মদ্যপানের প্রতিবাদ করায় খুন, অভিযোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দেবগ্রাম |
গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় নিজের বাড়িতেই পাওয়া গিয়েছিল বছর ত্রিশের এক যুবককে। নদিয়ার দেবগ্রামের শ্যামল ঘোষের মৃত্যু অবশ্য নিছকই আত্মহত্যা বলে মানতে চাইছেন না তাঁর বাড়ির লোক। শ্যামলবাবুর স্ত্রী, প্রার্থনাদেবীর অভিযোগ তাঁর স্বামীকে পিটিয়ে খুন করে বাড়ির ওই পরিত্যক্ত ঘরে ঝুলিয়ে দিয়ে গিয়েছিল খুনিরা।
শুধু তাই নয়, গত ১৩ মার্চ শ্যামলবাবু ‘খুনের’ পরে অভিযোগ জানাতে গেলেও কালীগঞ্জ থানার পুলিশ তা নিতে চায়নি বলেও জানান তিনি। শেষ পর্যন্ত স্থানীয় বাসিন্দাদের চাপে গত রবিবার অবশ্য অভিযোগ নেয় পুলিশ। তবে, পুলিশের পাল্টা অভিযোগ, খুন নয়, ওই দিন রাতে পাড়ার একটি চেনা মদের ঠেকে প্রতি দিনের মতো মদ্যপান করে বাড়ি ফিরেছিলেন শ্যামলবাবু। তারপর নিজের ঘরে ঢুকে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন। কিন্তু অভিযোগ নিলেন না কেন? কালীগঞ্জ থানার ওসি নীহার চক্রবর্তী সে অভিযোগ মানতে চাননি। তিনি বলেন, “থানায় অভিযোগ না নেওয়ার ঘটনা সত্যি নয়। ওঁদের অভিযোগ তো নেওয়া হয়েছে। আর শ্যামলবাবুর ময়নাতদন্তে জানা গিয়েছে মদ্যপান করেছিলেন তিনি।” মদ্যপান করলে কী খুন হওয়া অস্বাভাবিক? তার জবাব অবশ্য ‘তদন্তের খাতিরে’ দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন ওই পুলিশ কর্তা। তিনি জানান, খুনের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তও শুরু করা হয়েছে।
প্রার্থনাদেবী অবশ্য অন্য কথা বলছেন। যাঁদের নামে অভিযোগ করেছেন তিনি এলাকায় বহাল তবিয়তে তারা ঘুরলেও পুলিশের ভাষায় তারা ‘পলাতক’। সে দিন কী হয়েছিল? প্রার্থণাদেবী বলেন, “বাড়ির সামনেই কয়েক দিন ধরেই কয়েক জন নিয়মিত মদ খেত। ওই দিন বাড়ি ফিরে তারই প্রতিবাদ করেছিলেন উনি (শ্যামলবাবু)। রাতে কয়েক জন ওঁর নাম ধরে ডাকে। আমার স্বামী বেরিয়ে গিয়েছিলেন। পরের দিন দেখি পাশের ঘরে ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাঁর দেহ পড়ে রয়েছে। হাতের আঙুল ভাঙা। গায়ে কালশিটের স্পষ্ট দাগ। ছ্যাঁকা দেওয়ার দাগও দেখেছি। শুধু তাই নয়, যারা ওঁকে ডেকেছিল তারা বাড়ির শিকলও বাইরে থেকে তুলে দিয়ে গিয়েছিল।” |
|
|
|
|
|