|
|
|
|
দুই দফতরের টানাপোড়েনে চাপড়ায় মাটি কাটা চলছেই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কৃষ্ণনগর |
জলঙ্গির পাড় থেকে বহুদিন ধরেই অবৈধভাবে মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।
রবিবার দুপরেও চাপড়ার হাটরা এলাকায় জলঙ্গির পাড়ে অবৈধভাবে মাটি কাটার কাজ চলছিল। আচমকাই সেখানে পুলিশ হানা দেয় এবং মাটি কাটার দুটো মেশিন আটক করে। তবে কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, দূর থেকে পুলিশকে আসতে দেখে মাটি কাটার মেশিন ফেলে রেখে সকলে পালিয়ে যায়।
কিন্তু এরপরেই বিষয়টি নিয়ে পুলিশ ও ভুমি রাজস্ব দফতরের মধ্যে শুরু হয় টানাপোড়েন। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ অভিযুক্তদের পরিচয় জানতে পারলেও তাদের বিরুদ্ধে কে অভিযোগ দায়ের করবে তাই নিয়ে শুরু হয়েছে টানাপোড়েন। পুলিশের দাবি, ভূমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে অভিযোগ দায়ের করতে পারে ভূমি রাজস্ব দফতরই। তারা অভিযোগ না করা পর্যন্ত পুলিশ কারোও বিরুদ্ধেই কোনও ব্যবস্থা নিতে পারে না। তাদের অভিযোগ, ভূমি রাজস্ব দফতরকে বারবার বলা সত্ত্বেও তারা কোনও অভিযোগ দায়ের করছে না। জেলার পুলিশ সুপার সব্যসাচীরমন মিশ্র বলেন, “জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পুলিশ নিজে কোনও কেস করতে পারে না। এ ক্ষেত্রে ভূমি ও রাজস্ব দফতরকেই অভিযোগ করতে হবে। কারণ কোন জমির মাটি কাটা বেআইনি সেটা ঠিক করবে বিএলআরও। তবে চাপড়া থানার ওসি ওই দফতরকে একটা নোট পাঠাবে।” উল্টোদিকে ভূমি রাজস্ব দফতরের কর্তাদের দাবি, পুলিশ বিষয়টি মৌখিকভাবে জানালেও লিখিতভাবে কিছুই জানায়নি।
অতিরিক্ত জেলাশাসক দেবাশিস সরকার বলেন, “পুলিশ আমাদের না জানিয়েই হানা দিয়েছে এবং দুটি মাটি কাটার মেশিন আটক করেছে। যদিও পুলিশ সেটা করতেই পারে, কিন্তু ঘটনার পর বিষয়টি আমাদের জানানোর কথা। লিখিতভাবে রিপোর্ট করার পর আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।” জেলা শাসক অভিনব চন্দ্রা বলেন, “যারা ওই মাটি কাটার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দুটি দফতরই তাদের নিজেদের মতো করে ব্যবস্থা নেবে।” |
|
|
|
|
|