বাজকুলের কঙ্কাল নিয়ে তৃণমূলের দাবি খারিজ
ন্দীগ্রাম নিখোঁজ-কাণ্ডে তিনি গ্রেফতার হয়েছেন। অপহরণ-খুন-লাশ লোপাটের আরও একটি মামলা ঝুলছিল লক্ষ্মণ শেঠের নামে। রাজ্যে পরিবর্তনের পরে ‘কঙ্কাল’ উদ্ধারের হিড়িকের মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরের বাজকুলে কিছু হাড়গোড় মিলেছিল। ওই হাড়গোড় ২০০১ থেকে ‘নিখোঁজ’ খেজুরির বারাতলার তৃণমূলকর্মী সুব্রত দাসের বলে দাবি উঠেছিল। লক্ষ্মণ শেঠ-সহ ৪৮ জন সিপিএম নেতা-কর্মীর নামে ভূপতিনগর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। তদন্তের দায়িত্ব নিয়ে ওই তৃণমূলকর্মীর নিকটাত্মীয়দের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে হাড়গোড়ের ডিএনএ পরীক্ষায় উদ্যোগী হয় সিআইডি। ওই হাড়গোড় নিখোঁজ তৃণমূল-কর্মীর নয় এবং সম্ভবত কোনও মহিলার বলে সোমবার জানিয়ে দিল রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা। ফলে লক্ষ্মণবাবুদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাটিও গুরুত্বহীন হয়ে গেল।
গত বছর ২২ অগস্ট বাজকুল এলাকায়, ভূপতিনগর থানার জলেশ্বর গ্রামে একটি স্কুলের শ্রেণিকক্ষ নির্মাণের জন্য মাটি খোঁড়াখুঁড়ি করতে গিয়ে মিলেছিল কিছু হাড়গোড়। ওই দেহাবশেষ সুব্রতবাবুর বলে দাবি ওঠে। তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে নিয়ে সুব্রতবাবুর স্ত্রী অণিমাদেবী ভূপতিনগর থানায় লক্ষ্মণ শেঠ, দীপক সরকার, হিমাংশু দাস, বিজন দাস, প্রজাপতি দাসের মতো সিপিএম নেতা-কর্মীদের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তের দায়িত্ব নিয়ে হাড়গোড় শনাক্তকরণে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য গত ১৩ সেপ্টেম্বর সুব্রতবাবুর বাবা-মা ও ১৪ বছরের ছেলের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে সিআইডি। ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্টেই খারিজ হয়ে গিয়েছে তৃণমূল শিবিরের দাবি। জেলা সিপিএম নেতৃত্ব প্রথম থেকেই মামলাটিকে ‘সাজানো’ এবং শাসকদলের ‘প্রতিহিংসামূলক’ মনোভাবের প্রকাশ বলে দাবি করেছিলেন।
ডিএনএ রিপোর্ট নিয়ে দলের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য প্রশান্ত প্রধানের বক্তব্য, “প্রথম থেকেই আমরা বলেছিলাম, মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। আজ প্রমাণ হল কী রকম চক্রান্ত হয়েছিল। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাদের কোনও অপরাধের প্রমাণ লোপাটের জন্যই ওখানে হাড়গোড় ফেলে গিয়েছিল।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.