|
|
|
|
ঝাড়গ্রামে কাজ বন্ধ স্টেডিয়ামের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
গাছ কাটার অনুমতি না মেলায় থমকে গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী-ঘোষিত ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামের সংস্কার-কাজ। এতে যারপরনাই বিড়ম্বনায় পড়েছেন প্রশাসনের আধিকারিকেরা। এমনিতেই নানা কারণে জঙ্গলমহলের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষিত বহু প্রকল্পের কাজ আটকে রয়েছে। এই অবস্থায় সরকারের একটি দফতর অন্য দফতরকে অনুমতি না দেওয়ার ফলে কাজ বন্ধে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এক পক্ষ বলছে, অনুমতির জন্য প্রয়োজনীয় নথি না দেওয়ায় অনুমতি দেওয়া যায়নি। অন্য পক্ষ বলছে, আবেদন করেও অনুমতি মেলেনি। জানুয়ারির গোড়ায় জঙ্গলমহল উৎসবে এসে স্টেডিয়ামের সংস্কার ও উন্নয়নের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ব্যয় ধরা হয়েছিল ২ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা। তার মধ্যে ১ কোটি টাকা এসেও গিয়েছে। কিন্তু উন্নয়ন করতে হলে স্টেডিয়ামের ভিতরে থাকা গাছ কাটতে হবে। ৭৩টি শালগাছ রয়েছে। যা দীর্ঘ দিনের পুরনো। ওই গাছ কাটতে হলে বন দফতরের অনুমতি প্রয়োজন। স্টেডিয়ার উন্নয়নের কাজ করার কথা পূর্ত দফতরের বিদ্যাসাগর ডিভিসনের। ডিভিসনের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র তরুণ চক্রবর্তী বলেন, “গাছ কাটার অনুমতি চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছে। অনুমতি না মেলায় কাজ করা যায়নি।” কেন অনুমতি মেলেনি? ঝাড়গ্রামের ডিএফও অশোকপ্রতাপ সিংহ বলেন, “নিয়ম মেনে আবেদন না করায় অনুমতি দেওয়া যায়নি।” ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে স্টেডিয়াম পরিদর্শনে গিয়ে প্রশাসনিক আধিকারিকেরা দেখেন, গাছ কাটার প্রয়োজন রয়েছে। না হলে ৫ হাজার আসনের স্টেডিয়াম তৈরি সম্ভব নয়। সম্প্রতি স্টেডিয়ামের কাজ পর্যালোচনায় বৈঠক ডাকা হয়েছিল। যেখানে রাজ্য ক্রীড়া দফতরের যুগ্ম-সচিব প্রদীপ জানাও উপস্থিত ছিলেন। সেখানে বন দফতরকেও ডাক হয়েছিল। কিন্তু বৈঠকে ডিএফও উপস্থিত হননি। পরিবর্তে একজন রেঞ্জ অফিসারকে প্রতিনিধি করে পাঠান। আজ, মঙ্গলবার অতিরিক্ত মুখ্যসচিব জয়া দাশগুপ্ত মেদিনীপুরে আসছেন। আইএপি ও মুখ্যমন্ত্রীর ‘বিশেষ প্রকল্প’ নিয়ে তাঁর বৈঠক করার কথা। সেখানেও স্টেডিয়ামের বিষয়টি উঠবে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। |
|
|
|
|
|