|
|
|
|
পুকুর কাটা শুরু হতেই রাস্তায় ফাটল জলচকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
রাস্তার পাশেই ছিল পুকুর। একশো দিনের কাজ প্রকল্পে সেই পুকুর সংস্কার হচ্ছিল। কিন্তু মাটি কাটা শুরু হতেই ফাটল ধরল রাস্তায়। ফাটল বাড়তে বাড়তে রাস্তা হয়ে উঠল চলাচলের অনুপযুক্ত। এই ঘটনা পিংলা ব্লকের জলচক-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের।
গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তা দিয়ে জলচক ১ ও ২ এই দু’টি গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ যাতায়াত করেন। স্থানীয়রা তাই দ্রুত রাস্তা সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বিডিও সুতপা নস্কর, পঞ্চায়েত প্রধান তাইনুস আলি ও পিংলা থানার ওসি হীরক বিশ্বাস। সকলেই স্বীকার করেছেন রাস্তাটির দ্রুত সংস্কার জরুরি। পঞ্চায়েত প্রধানের কথায়, “রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের জন্য পদক্ষেপ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই প্রকল্প রিপোর্ট তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।” |
|
নিজস্ব চিত্র। |
এই রাস্তা দিয়েই জলচক ১ পঞ্চায়েত অফিসের পাশের পাকা রাস্তায় ওঠেন পালপাড়া, মাঝিপাড়া, ডাকুয়া পাড়া, হাজরা পাড়ার মতো বেশ কয়েকটি এলাকার মানুষ। ওই পথে যন্ত্রচালিত ভ্যানে কৃষি সরঞ্জাম নিয়ে যাওয়া হয়। আবার ফসল তোলার পর তা বাজারে বিক্রি করতে নিয়ে যাওয়া হয়। রাস্তার ধারের পুকুরটিরও সংস্কার হয়নি বহুদিন। এ বার একশো দিনের প্রকল্পে সেই মজে যাওয়া পুকুর সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। এই সময় রাস্তার ধারের জমিতে রয়েছে ধান। ধানজমিতে প্রায় সব সময় জল থাকে। ভেজা মাটি কিছুটা আলগা হয়েই ছিল। এই অবস্থায় পুকুর খনন শুরু হতেই রাস্তার ফাটল বড় আকার নেয়। সারা রাস্তা জুড়েই ফাটল। কোথাও আবার রাস্তার দু’দিকে ফাটল। হেঁটে কোনওমতে যাতায়াত করা গেলেও যন্ত্রচালিত ভ্যান ঢুকবে না। মোটরবাইক নিয়ে চলাফেরাও কঠিন।
স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ মহসিনের কথায়, “যাতায়াতের সমস্যা তো রয়েছেই, এমনকী ওই ফাটলের ধাক্কায় পাশাপাশি গ্রামের কিছু বাড়িও বসে যেতে শুরু করেছে।” তাই ওই রাস্তাটি সাধারণভাবে সংস্কার না করে, দু’দিকে কংক্রিটের গাডোয়াল দিয়ে মজবুত করে সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা। যাতে ভবিষ্যতে আর এই ধরনের ঘটনা না ঘটে। প্রশাসন অবশ্য জানিয়েছে, রাস্তা সংস্কারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। |
|
|
|
|
|