|
|
|
|
আলোচনায় আইএপি, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষিত প্রকল্প |
জেলার উন্নয়ন নিয়ে বৈঠক আজ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
‘ইন্টিগ্রেটেড অ্যাকশান প্ল্যান’ (আইএপি) রূপায়ণে কেন্দ্রের কাছে ভূয়সী প্রশংসা পেয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা। সেই প্রশংসা ধরে রাখতে কাজে আরও গতি আনার দিকে জোর দিচ্ছে রাজ্য সরকার। সেই লক্ষ্যে আজ, মঙ্গলবার হবে বৈঠক। উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব জয়া দাশগুপ্ত। এই কাজে যুক্ত জেলা প্রশাসনের প্রতিটি দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করবেন তিনি। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষিত প্রকল্পগুলির হাল-হকিকত নিয়েও বৈঠক হবে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈঠক হবে দু’দফায়। প্রথম দফায় আইএপি ও দ্বিতীয় দফায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষিত ‘বিশেষ প্রকল্প’ নিয়ে। কোন প্রকল্প কতটা এগিয়েছে, প্রকল্প রূপায়ণে কোনও সমস্যা রয়েছে কি না, সমস্যা থাকলে কোন ধরনের সমস্যা, কী ভাবে তা সমাধান করা যায় সব নিয়েই আলোচনা হবে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষিত বিশেষ প্রকল্প ছিল ৪১টি। তার মধ্যে জঙ্গলমহলের যুবকদের পুলিশে চাকরি দেওয়া, ছাত্রীদের সাইকেল বিতরণ, ছাত্রাবাস তৈরির মতো দু’চারটির কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে বা চলছে। বেশিরভাগ কাজই আটকে রয়েছে নানা কারণে। কোথাও জমি-জট, আবার কোথাও অর্থাভাব। রয়েছে প্রশাসনিক উদাসীনতার অভিযোগও। সব মিলিয়ে কিষাণ ক্রেডিট কার্ড বিলি, সুবর্ণরেখা নদীর উপর ভসরাঘাটে সেতু নির্মাণ, খড়িকামাথানি ও শালবনিতে স্টেডিয়াম তৈরি, রাস্তা তৈরি, পলিটেকনিক কলেজ তৈরি-সহ অনেক কিছুই করা যায়নি।
তবে আইএপি নিয়ে তেমন সমস্যা নেই বলেই প্রশাসনের দাবি। মাওবাদী উপদ্রুত এলাকায় উন্নয়নের লক্ষ্যে গৃহীত এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল ২০১০-১১ সালে। চোখে দেখা যায় এমন কাজ করার নির্দেশ ছিল। কাজ দেখে ধাপে ধাপে টাকা দিয়েছে কেন্দ্র। এখনও পর্যন্ত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন এই প্রকল্পে ৪৫ কোটি টাকা পেয়েছে। তার মধ্যে ৩০ কোটি টাকা-ই খরচ হয়েছে। গত আর্থিক বছরে ৬৪৩টি প্রকল্প হাতে নিয়েছিল প্রশাসন। মাত্র ১৮টি প্রকল্প শেষ করা যায়নি। বাকি সব কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। চলতি অর্থবর্ষে ৪৪১টি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে এখনও পর্যন্ত ১০৮টি প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ চলছে। ছাত্রাবাস তৈরি, রাস্তা তৈরি, সেচের উন্নয়নের মতো যে প্রকল্পগুলি জেলা প্রশাসন নিয়েছে, তা-ও যোজনা কমিশনের প্রশংসা পেয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের ৩১ মে-র মধ্যে সব কাজ শেষ করতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিরা কাজ পরিদর্শন করে রিপোর্ট দেবেন। তারপর পরবর্তী পরিকল্পনা হবে। ইতিমধ্যেই যোজনা কমিশনের একাধিক পরামর্শদাতা ঘুরে গিয়েছেন। কিছুদিন আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরমের সঙ্গে ভিডিও সম্মেলন হয়েছেল আইএপি-র কাজ নিয়ে। তারপর রাজ্যে এসেছিলেন যোজনা কমিশনের সদস্য সচিব সুধা পিল্লাই। তিনিও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের কাজ ‘অভূতপূর্ব’ বলে প্রশংসা করেন। এই প্রশংসা ধরে রাখতেই আজকের বৈঠক। সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষিত বিশেষ প্রকল্প রূপায়ণে যাতে গতি আসে তা নিয়েও আলাদা করে আলোচনা হবে। |
|
|
|
|
|