নিজস্ব সংবাদদাতা • তারকেশ্বর |
চিটফান্ড খুলে সাধারণ মানুষের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চালানোর অভিযোগে সোমবার দু’জনকে গ্রেফতার করেছে হুগলির তারকেশ্বর থানার পুলিশ।
ধৃতদের নাম বিজয় ভারতী এবং রাকেশ ঘোষ। বিজয়ের বাড়ি শ্রীরামপুরে। দ্বিতীয় জন পোলবার বাসিন্দা। অভিযোগ, বেশ কিছুদিন ধরেই একটি সংস্থা সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার নামে লোক ‘ঠকাচ্ছিল’। বিজয় এবং রাকেশ ওই সংস্থারই কর্তা। তদন্তকারী অফিসারেরা জানান, হুগলি, হাওড়া এবং মালদার বিভিন্ন জায়গায় সংস্থাটি ‘অফিস’ খোলে। ৬ হাজার টাকা জমা দিলে কয়েক দিনের মধ্যেই আমানতকারীদের ৪৫ হাজার টাকা ঋণ দেওয়া হবে এই ‘লোভ দেখিয়ে’ ওই ব্যবসা চালু করা হয়। সহজ শর্তে ঋণ পরিশোধের সুযোগ দেওয়া হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। বলা হয়, জমার অঙ্ক বাড়লে ঋণের পরিমাণও লাফিয়ে বাড়বে।
পুলিশ জানায়, তারকেশ্বর, চাঁপাডাঙা, শিয়াখালা, শ্রীরামপুর-সহ নানা জায়গায় সংস্থার অফিস খোলা হয়। জেলার প্রধান কার্যালয় খোলা হয় শ্রীরামপুর স্টেশনের কাছে। প্রথম দিকে কয়েক জনকে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী টাকা দেওয়াও হয়। সেই খবর ছড়াতেই বহু মানুষ মোটা টাকা ঋণ পাওয়ার আশায় টাকা জমা দেন ওই সংস্থায়। প্রচুর এজেন্ট নিয়োগ করা হয়। কিন্তু, ঋণ পাওয়া দূরঅস্ত, তাঁদের জমা দেওয়া টাকা ওই সংস্থা আত্মসাৎ করে বলে অভিযোগ। পুলিশের দ্বারস্থ হন আমানতকারীরা। পুলিশের দাবি, প্রয়োজনীয় সরকারি অনুমোদন ছাড়াই ব্যবসা চালাচ্ছিল সংস্থাটি। ইতিমধ্যেই শ্রীরামপুরের অফিসও বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে আমানতকারীরা পুলিশকে জানান।
লিখিত অভিযোগ পেয়ে রবিবার রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় হানা দেন তারকেশ্বর থানার ওসি তারকেশ্বর মুখোপাধ্যায়। গ্রেফতার করা হয় বিজয় এবং রাকেশকে। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “ওই চিটফান্ডের বাকি মাথাদেরও ধরার চেষ্টা চলছে।” কয়েক দিন আগে ‘চিটফান্ড’ চালানোর অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করে শ্রীরামপুরের পুলিশ।
পুলিশের কিছু কর্তা জানান, অনেক শিক্ষিত মানুষও প্রলোভনে পা দিয়েছেন। সাধারণ মানুষকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন তাঁরা। |