নিজস্ব সংবাদদাতা • সাঁকরাইল |
খালের জলে ঝাঁপ দিয়ে পালাতে চেয়েছিলেন বছর চল্লিশের অভিযুক্ত এক ব্যক্তি। এক পুলিশ কর্মী তাঁকে সাঁতরে ধরে ফেলেন। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার সাঁকরাইলের চাঁপাতলায়। পুলিশ জানায়, ধৃত রাজেশ সাউয়ের বিরুদ্ধে চোরাই লোহা কেনার অভিযোগ আছে। ওই রাতে একই অভিযোগে টিকিয়াপাড়া থেকে আরও এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, রাত ১টা নাগাদ রাজেশকে ধরতে তাঁর বাড়ি ঘিরে ফেলা হয়। ওই দলে ছিলেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) সুখেন্দু হীরা, উলুবেড়িয়ার এসডিপিও শ্যামলকুমার সামন্ত। বাড়ির এক তলায় লোহার গুদাম। দোতলায় উঠে রাজেশকে দরজা খুলতে বলে পুলিশ। ভিতর থেকে সাড়াশব্দ আসেনি। কিছু ক্ষণ অপেক্ষা করার পরে পুলিশ কর্তারা সিদ্ধান্ত নেন, দরজা ভাঙতে হবে।
আচমকাই বাড়ির পিছন দিকে জলে ভারি কিছু পড়ার শব্দ আসে। পুলিশ গিয়ে টর্চের আলোয় দেখে, একটি খালের নোংরা জলে সাঁতার কাটছে এক ব্যক্তি। পুলিশের সন্দেহ হয়, ওই ব্যক্তিই রাজেশ। তাঁকে ধরতে এক পুলিশ কর্মী জলে ঝাঁপ দেন। খালের পাড় ধরে পুলিশও বছর চল্লিশের ওই ব্যক্তিকে তাড়া করে। ডুব সাঁতার দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন অভিযুক্ত। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। খালের জলে সাঁতার কেটে রাজেশকে ধরে ফেলেন ওই পুলিশ কর্মী। জেলা পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) রবীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, “হাওড়ার বিভিন্ন কারখানা থেকে চোরাই লোহা রাজেশ কম দামে দুষ্কৃতীদের কাছ থেকে কিনে নিত। পরে সেই লোহাই খোলাবাজারে বেশি দামে বিক্রি করত।”
পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার রাত ১২টা নাগাদ মুম্বই রোডে ধুলাগড়ির কাছে ৮ জনের একটি দুষ্কৃতী দলকে পাকড়াও করে সাঁকরাইল থানার পুলিশ। মিনি ট্রাকে ছিল দুষ্কৃতীরা। তাদের কাছ থেকে দু’টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৩টি ভোজালি উদ্ধার হয়। জেরায় পুলিশ জানতে পারে, কারখানায় ডাকাতি করত এই দলটি। মূলত লোহার রড, পাত, যন্ত্রাংশ চুরি করত তারা। বিক্রি করত রাজেশকে। এই খবরের ভিত্তিতে ওই রাতেই রাজেশের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। |