ফের ঝামেলা বাধল শালবাদরা শিল্পাঞ্চলে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে মালিক সমিতির সঙ্গে জেলা আদিবাসী গাঁওতার এক সদস্যের মধ্যে বচসার জেরে গণ্ডগোলের সৃষ্টি হল রামপুরহাটের শালবাদরা পাথর শিল্পাঞ্চলে। মালিক সমিতির অভিযোগ, শালবাদরা পাথর শিল্পাঞ্চলে জেলা আদিবাসী গাঁওতার সদস্য, মালিক পক্ষ ও প্রশাসনকে নিয়ে একটি যৌথ কমিটি আছে। কিন্তু ওই কমিটির সদস্য না হয়েও সোমবার সকালে এলাকার ক্রাশার ও খাদান বন্ধে নেতৃত্ব দেন রহিত হাঁসদা নামে এক ব্যক্তি।
মালিক সমিতির সম্পাদক বরুণ রায় ও সভাপতি সিরাজ শেখদের অভিযোগ, “গতকাল এলাকায় শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা চলাকালীন রহিত হাঁসদা মালিকদের গালিগালাজ করেন। প্রতিবাদ করা হয়। পরে আলোচনা ভেস্তে যায়। রহিত হাঁসদার নেতৃত্বে এ দিন সকালে একের পর এক ক্রাশার ও খাদান বন্ধ করে দেওয়া হয়। চার-পাঁচটি ক্রাশারের কর্মচারীদের মারধরও করা হয়।” এ ব্যাপারে মালিক সমিতির সদস্যরা রামপুরহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ জানায়, ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বরুণ রায়ের দাবি, “এলাকায় ক্রাশার ও খাদান শিল্প যাতে সুষ্ঠু ভাবে চালু থাকে তার জন্য জেলার মধ্যে একমাত্র শালবাদরায় গাঁওতা নেতৃত্বকে নিয়ে যৌথ কমিটি গঠন করা হয়েছে।”
সম্প্রতি পাথর শিল্পাঞ্চল এলাকায় গাড়ি চালক ও অন্যান্য কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে সমস্যার সৃষ্টি হয়। সেই সমস্যা মেটানোর জন্য যৌথ কমিটির সদস্যদের নিয়ে রবিবার সভা ডাকা হয়েছিল। অন্য দিকে, রহিত হাঁসদার দাবি, “মালিক পক্ষ কেবলমাত্র শুলুঙ্গা এলাকার কিছু কর্মচারীর মজুরি বৃদ্ধি করছিল। এই নিয়ে রবিবার শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। আমি কাউকে গালিগালাজ করিনি বা কোনও কিছুতে নেতৃত্ব দিইনি। যা হয়েছে শ্রমিকেরাই করেছে।” জেলা আদিবাসী গাঁওতার আহ্বায়ক সুনীল সোরেন বলেন, “আমি বাইরে আছি। কী হয়েছে খোঁজ নেব।” শালবাদরা পাথর ব্যবসায়ী মালিক সমিতির মুখপাত্র মৈনুদ্দিন হোসেন বলেন, “একটা সমস্যা হয়েছে। শ্রমিক ও মালিক স্বার্থে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করা দরকার। আসা করি আলোচনায় সুষ্ঠু সমাধান মিলবে।” |