নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
স্কুলে যাওয়া আসার জন্য ‘সাবওয়ের’ দাবিতে স্টেশনে বসেই রেলমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখল কয়েকশো স্কুল পড়ুয়া। রেল দফতরে চিঠি লেখার জন্য সোমবার সাহেবগঞ্জ-বর্ধমান লুপলাইনের রামপুরহাটের সাদীনপুর স্টেশনে জড়ো হয়েছিল লক্ষ্মীবাটি, শ্রীকৃষ্ণপুর, রঙ্গাইপুর, পাথড়া, লম্বোদরপুর, পানিশাইল, কাবিলপুর ও সাদীনপুর গ্রামের পড়ুয়ারা। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিল মাড়গ্রাম থানার প্রতাপপুর গ্রামের কিছু বেসরকারি স্কুলের পড়ুয়ারাও।
স্থানীয় প্রতাপপুর হাইস্কুলে ওই সব গ্রামের পড়ুয়াদের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ার জন্য আসতে হয়। স্কুলটি এমন জায়গায় রয়েছে, তাদের সাদীনপুর স্টেশনের লাইন পেরিয়ে আসতে হয়। |
পোস্টকার্ড হাতে স্কুল পড়ুয়ারা। সোমবার তোলা নিজস্ব চিত্র। |
অধিকাংশ সময়ে লাইনে মালগাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে। তাই সময় মতো স্কুলে পৌঁছনোর জন্য মালগাড়ির তলা দিয়ে যেতে হয়। প্রতাপপুর হাইস্কুলের ছাত্রী জয়িতা মণ্ডল, রিয়া মণ্ডল, মোহর শেখদের কথায়, “লাইনের উপর দিয়ে সাইকেল নিয়ে যেতে সমস্যা হয়। ৮-১০টি গ্রামের পড়ুয়াকে এই লাইন পার হতে হয়। তাই সাদিনপুর স্টেশনে একটি সাবওয়ের ব্যবস্থা করা হয়, তা হলে আমাদের ভীষণ উপকার হবে। তাই এ দিন সকলে আলাদা পোস্টকার্ডে রেল দফতরে চিঠি লিখেছি।” সাদীনপুর গ্রামের বাসিন্দা তমাল মণ্ডল, উত্তম দাস, প্রতাপপুর গ্রামের সফিক মহম্মদ, সুনীল দাস, কদম রসুলরা বলেন, “সাংসদ শতাব্দী রায়কে গত ৩০ জানুয়ারি স্থানীয় একডালা হাইস্কুলে অনুষ্ঠানে একটি সাবওয়ে নির্মাণের জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু রেলবাজেটে সেই সাবওয়ের কথা উল্লেখ করা হয়নি। তাই ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে পোস্টকার্ডে আবেদন পাঠানো হয়েছে।” প্রতাপপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আবুলকালাম মণ্ডল বলেন, “ছাত্রদের অসুবিধার মধ্যে আসতে হয়। সাবওয়ে বা ফ্লাইওভার হলে ভাল হয়।” |