সিউড়ি আদালত
কর্মবিরতি চলছেই, ব্যাহত স্বাভাবিক কাজকর্ম
সিউড়ি আদালত চত্বরে অস্থায়ী চালা ভাঙা বিতর্ক মিটল না সোমবারও। ওই চালা ভাঙাকে কেন্দ্র করে ল-ক্লার্ক অ্যাসোসিয়েশন ও সিউড়ি বার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে কর্মবিরতি প্রত্যাহার না করায় টানা ১৫ দিন আদালতের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হয়। এর ফলে নাকাল হলেন সাধারণ মানুষ।
প্রসঙ্গত গত ৪ মার্চ গভীর রাতে ট্রেজারি অফিসের সীমানা প্রাচীর লাগোয়া সিউড়ি আদালতের ল-ক্লার্কদের বসার চালাটি ভেঙে দেওয়া হয়। প্রশাসনকে উক্ত ঘটনার জন্য দায়ী করে পরের দিন থেকে কর্মবিরতির ডাক দেয় উভয় অ্যাসোসিয়েশন। দাবি ছিল, প্রশাসনের পক্ষ থেকে যত দিন না ল-ক্লার্কদের জন্য নতুন শেড করে দেওয়া হচ্ছে, তত দিন কাজে যোগ দেবেন না তাঁরা। ১৫ দিন পার হয়ে গেলেও প্রশাসন কথা রাখেনি। কাজ শুরু হলেও তা অত্যন্ত ধীর গতিতে চলছে, এই অভিযোগ তুলে জেলা জজ মলয় মরুৎ বন্দ্যোপাধ্যোয়ের এজলাসের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ করেন দুই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা।
নিজস্ব চিত্র।
সিউড়ি বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক গৌরহরি চন্দের অভিযোগ, “অন্যায় ভাবে কাউকে কিছু না জানিয়ে, এমন কী জেলা জজের অনুমতি ছাড়াই যে ভাবে রাতের অন্ধকারে প্রশাসন ট্রেজারি অফিসের সীমানা প্রাচীর লাগোয়া সিউড়ি আদালতের ল-ক্লার্কদের বসার চালাটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে সেটা নিন্দনীয়। আমাদের দাবি ছিল ল-ক্লার্কদের জন্য নতুন শেড করে দেওয়া হোক।” তিনি বলেন, “প্রশাসন কিন্তু এখনও পর্যন্ত সবে টিনের ছাউনি তৈরি করেছে। ল-ক্লার্কদের বসার পাকা ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়নি। এ ভাবে কাজে যোগ দেওয়া সম্ভব নয়। আমরা বুধবার পর্যন্ত দেখব।” প্রায় একই বক্তব্য ল-ক্লার্ক অ্যাসোসিয়েশনের জেলা সভাপতি প্রবীর চট্টোপাধ্যোয়েরও। তিনি বলেন, “যত দিন না দাবি মানা হচ্ছে কাজে যোগ দেব না।”
যদিও তাঁদের দাবির সঙ্গে একমত নয় প্রশাসন। জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা বলেন, “যে শেড ছিল তার থেকে উন্নত শেড বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার পরেও তাঁরা কাজে যোগ না দিলে বিচারকেরা বিষয়টি দেখবেন।” তবে এই কর্মবিরতিকে সকলেই সমর্থন করছেন এমনটা নয়। সরকারি আইনজীবী রঞ্জিত গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “প্রথমত প্রশাসন ওই ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে। হয় তো দিন কয়েক বেশি সময় নিয়েছে। তবে যথেষ্ট ভাল শেড বানিয়ে দিয়েছে। তার পরেও কেউ যদি অন্যায় ভাবে দাবি আদায় করতে গিয়ে বিচারপ্রার্থী এত মানুষকে সমস্যায় ফেলেন সেটা ঠিক নয়। তাই প্রথমে তাদের সমর্থন জানালেও এখন সেটা পারছি না।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.