পরিচারিকাকে আটকে মারধরের অভিযোগে বর্ধমানের বাজেপ্রতাপপুরের এক চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বর্ধমান থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই চিকিৎসকের নাম সোমশুভ্র চেল। তাঁর বাড়ি বাজেপ্রতাপপুরের সাধনপুর রোডে। জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা বলেন, “ওই চিকিৎসককে প্রথমে আটক ও পরে গ্রেফতার করা হয়েছে।” পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বছর বাইশের ওই পরিচারিকা রওসানা খাতুনের বাড়ি ভাতারের বলগনা গ্রামে। পুলিশের কাছে তিনি অভিযোগ করেন, মাসে ছ’হাজার টাকা মাসিক বেতনে তাঁকে কাজে বহাল করেন ওই চিকিৎসক। কিন্তু এক মাস পরে তাঁকে এক হাজার টাকা দেওয়া হয়। প্রতিবাদ করায় তাঁকে মারধর ও বাড়িতে আটকে রাখা হয়। পাড়ার লোকেরা ঘটনার কথা জানতে পেরে চিকিৎসকের বাড়ির সামনে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ওই চিকিৎসককে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।
|
সিপিএম নেতা প্রদীপ তা ও কমল গায়েন খুনে জড়িত থাকার অভিযোগে আরও পাঁচ জনকে ধরল সিআইডি। বর্ধমানের দেওয়াদিঘিতে ওই খুনে অভিযুক্ত ২২ জনের মধ্যে এই নিয়ে ১১ জন গ্রেফতার হলেন। সোমবার বর্ধমান আদালতে তোলা হলে পাঁচ জনকে পাঁচ দিন সিআইডি-হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। বাকিরা জেল হাজতে রয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ধৃতদের নাম তাপস সামন্ত, নারায়ণ সামন্ত, বাবু সাঁই, উদয় মণ্ডল ও রানা মুখোপাধ্যায়। প্রদীপ তা-র গ্রামের বাড়ি যেখানে, দেওয়ানদিঘি লাগোয়া সেই মির্জাপুরেরই বাসিন্দা সকলে। তৃণমূল কর্মী-সমর্থক বলে পরিচিত। আগের ধৃতদের জেরা করে খুনে ব্যবহৃত যে বাঁশ ও লাঠি উদ্ধার করবে বলে সিআইডি আদালতে জানিয়েছিল, তা এ দিনও তারা পেশ করতে পারেনি। সিআইডি অফিসার কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও কিছু বলতে চাননি। সিআইডি জানায়, এই পাঁচ জন ঘটনার পর থে কেই এলাকাছাড়া ছিলেন। তবে তাঁরা রাতে নিজেদের বাড়িতে ফিরতেন বলে খবর ছিল। গত কয়েক দিন বাড়ির উপরে নজর রাখা হচ্ছিল। রবিবার রাতের অভিযানে পাঁচ জনকে ধরা হয়। সিজেএম আদালতে ধৃতদের সাত দিন নিজেদের হেফাজতে রাখতে আবেদন করেন কল্যাণবাবু। বিচারক ইয়াসমিন আহমেদ পাঁচ দিন সিআইডি-হেফাজতের নির্দেশ দেন।
|
বোমা বাঁধার মশলা, ভোজালি ও ধারালো ক্ষুর-সহ তিন দুষ্কৃতীকে মধুপুর বাজার এলাকা থেকে রবিবার গ্রেফতার করল কালনা থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম জনার্দন বাগ, তাপস ঢক ও ময়না শেখ। পুলিশ জানায়, তাদের কাছ থেকে তিন কিলোগ্রাম বোমা বাঁধার মশলা, একটি ক্ষুর এবং ভোজালি পাওয়া গিয়েছে। ডাকাতির উদ্দেশে ওই এলাকায় জড়ো হয়েছিল তারা। এ দিন দুপুরে তাদের মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচরক তাদের ১৪ দিনের জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। |