খুনের চেষ্টার দায়ে এক ব্যক্তিকে সাত বছরের সশ্রম কারদণ্ডের নির্দেশ দিল আদালত। সোমবার বর্ধমান পঞ্চম অতিরিক্ত দায়রা বিচারক পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় এই নির্দেশ দেন। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জামালপুর থানার ধাপধারা গ্রামের বাসিন্দা যতীন্দ্রনাথ বরকে কারাদণ্ডের পাশাপাশি পাঁচ হাজার টাকা জরিমানাও করেছে আদালত। অনাদায়ে আরও ৬ মাস জেলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সরকার পক্ষের আইনজীবী বিশ্বজিৎ দাস জানান, ঘটনার সূত্রপাত ২০১০ সালের ২১ র্মাচ। সে দিন রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ শুড় কালনা বাজার থেকে মোটরবাইকে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন স্থানীয় যুবক তরণীকুমার ঘোষ। আচমকা ধাপধারার কাছে হরগোবিন্দপুরে যতীন্দ্রনাথবাবু তাঁর পথ আটকান। তিনি তরণীবাবুর শরীরের নানা অংশে খুর দিয়ে আঘাত করেন। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই যুবককে ফেলে চলে যান যতীন্দ্রনাথবাবু। পরে স্থানীয় বাসিন্দা লক্ষ্মীকান্ত কোলে ও সুকুমার ঘোষ তরণীবাবুকে জামালপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করান। পরে তরণীবাবু জামালপুর থানায় যতীন্দ্রনাথবাবুর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেন।
আগাম জামিনের আবেদন জেলা জজ আদালতে খরিজ হয়ে যাওয়ার পরে ২০১০-এর ২২ জুন যতীন্দ্রনাথবাবু সিজেএম আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তাঁর জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। এর পরে ২৭ জুলাই হাইকোর্ট থেকে তিনি জামিন পান। সে বছরেই ৩১ জুলাই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয় জামালপুর থানার পুলিশ।
অভিযুক্তের আইনজীবী মানসকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সাক্ষ্যে জানা গিয়েছে, যতীন্দ্রনাথবাবুর স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব দিয়েছিলেন তরণীবাবু। তারই জেরে তিনি খুনের চেষ্টা করেন। মানসবাবু বলেন, “আমরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হব।” |