দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে কালনা খেয়াঘাটে লাগানো হল সিসিটিভি। ভাগীরথীর এ পারে কালনা, ও পারে নদিয়ার নৃসিংহপুর ঘাট। প্রতিদিন সকাল থেকেই কয়েক হাজার মানুষ নদী পারাপার করেন। কালনা পুলিশের দাবি, প্রায়ই এই সাধারণ যাত্রীদের ভিড়ে খেয়া পেরিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। চুরি যাওয়া যানবাহন, মালপত্রও নৌকায় করে পাচার হয়ে যাচ্ছে অন্যত্র। এমনকী অতীতে কয়েক বার নদীপথে বনগাঁ হয়ে বাংলাদেশ পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। তাই তাদের চলাফেরার উপর নজর রাখতেই এই দাওয়াই। |
খেয়াঘাটের প্রবেশ দরজায়, জেটিতে, নদীর পাড় ঘেঁষে লাগানো হয়েছে চারটি ক্যামেরা। ঘাটের ইজারাদেরদের কন্ট্রোলরুমে বড় পর্দায় ভেসে ওঠছে সেই ক্যামেরার ফুটেজ। কেউ না কেউ সারাদিনই চোখ রাখছেন সেই পর্দায়। শুধু পুলিশ নয়, খেয়াঘাটের ইজারাদারদেরও দাবি, যাত্রীদের তরফে ‘ইভটিজিং’, শ্লীলতাহানি, ছোটখাটো ছিনতাইয়ের অভিযোগ প্রায়ই মেলে। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে অপরাধীদেরও চিহ্নিত করা যাবে বলেই মনে করছেন তাঁরা। পাশাপাশি নিজেদের কর্মীরাও সঠিকভাবে কাজকর্ম করছেন কি না সে দিকেও নজর রাখা যাবে। সিসিটিভি লাগানোর সিদ্ধান্তটি কালনা পুলিশ ও প্রশাসন নিলেও তা কার্যকরী করেছেন ঘাটের ইজারাদাররাই। সেই সঙ্গে রাতের নৌকায় আলো লাগানোর বন্দোবস্তও করেছেন তাঁরা।
কালনা থানার এক আধিকারিক বলেন, “এলাকায় চুরি ছিনতাই করে দুষ্কৃতীরা খেয়া পেরিয়ে পালিয়েছে কি না, তা ওই ভিডিও ফুটেজ বলে দেবে। শুধু তাই নয়, এর সাহায্যে মোটরবাইক-সহ চুরি যাওয়া মালপত্রেরও হদিস মিলবে। |