গোলমালে অভিযুক্তদের ধরতে গিয়ে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। জামুড়িয়ার বীজপুর গ্রামের উত্তর বাউরিপাড়ার ঘটনা। সিপিএমের অজয় জোনাল সম্পাদক মনোজ দত্তের অভিযোগ, “রবিবার রাতে পুলিশ ওই গ্রামে গিয়ে ছ’টি বাড়ির দরজা লাথি মেরে ভেঙেছে। আসবাব লণ্ডভণ্ড করেছে। মহিলাদের সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার করেছে পুলিশ। পরে আমাদের সমর্থক তপন বাউরি ও তাঁর পিসতুতো ভাই দীপককে পুলিশ তুলে নিয়ে যায়। অথচ অভিযুক্তদের তালিকায় নেই ওদের নাম ছিল না।” |
সোমবার সকালে অবশ্য সিপিএম বিধায়ক জাহানারা খান থানায় যাওয়ার পরে ওই দু’জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি, সাধারণ ধর্মঘটের দিন জামুড়িয়া-রানিগঞ্জ রাস্তায় বীজপুরের মোড়ে সিপিএম ও তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ লাঠি চালায়। পরে ১৯ জন সিপিএম সমর্থকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে তৃণমূল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ ওই গ্রামে অভিযান চালায়। মনোজবাবুর ক্ষোভ, গত দিন গোলমালের পরে তাঁরা তৃণমূলের ১৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে গেলেও পুলিশ তা নেয়নি। বাধ্য হয়ে তাঁরা আসানসোল নিম্ন আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। জামুড়িয়া থানার পুলিশ অবশ্য অভিযোগ না নেওয়া বা গ্রামে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি। |