|
|
|
|
চাকরির আর্জি মন্ত্রীকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোচবিহার |
আত্মঘাতী পরিবহণ কর্মী মণীশ ব্রহ্মের পরিবারের লোকদের সমবেদনা জানালেন রাজ্যের বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন। রবিবার সকালে মাথাভাঙার বাসিন্দা বনমন্ত্রী শহরের পশ্চিম পাড়া এলাকায় মৃতের বাড়িতে গিয়ে সমবেদনা জানান। মণীশবাবুর স্ত্রী অঞ্জলি দেবীর সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথাও বলেন তিনি। স্বামীর মৃত্যুর জন্য তাঁকে সমবেদনা জানালে অঞ্জলি দেবী মন্ত্রীর কাছে বিকল্প কাজের বন্দোবস্ত করে দেওয়ার আর্জি জানান। মৃতের স্ত্রী অঞ্জলি দেবী বলেন, “মাধ্যমিক উর্ত্তীণ হতে পারিনি। বনমন্ত্রী কে সেকথা জানিয়ে কাজের ব্যবস্থা করার আর্জি জানিয়েছি।” বনমন্ত্রী বলেন, “ওই ব্যক্তি ঠিকাদারের মাধ্যমে নিযুক্ত হয়েছিলেন। সমবেদনা জানাতে তার বাড়িতে গিয়েছিলাম। মৃতের স্ত্রী কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার আবেদন জানান। আমি ওই ব্যাপারে চেষ্টা করব বলেছি।” বনমন্ত্রীর অভিযোগ, বাম জমানায় এনবিএসটিসিতে ঠিকাদারের মাধ্যমে কর্মী নেওয়া হলেও তাঁদের জন্য ভবিষ্যত পরিকল্পনা কিছু করা হয়নি। সেই জন্যই সমস্যা তৈরি হয়েছে। এদিন ঠিকাদার সংস্থাকেও একহাত নিয়েছেন বনমন্ত্রী। তিনি বলেন, “মণীশবাবু যে ঠিকাদার সংস্থার অধীনে কাজ করতেন তাঁরা দায় এড়াতে পারেন না।” এদিকে রবিবার বিকেলে মাথাভাঙায় মণীশ ব্রহ্মের আত্মহত্যার ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করে সিটু। সংগঠনের কোচবিহার জেলা সহকারী সম্পাদক শ্যামল ভট্টাচার্য বলেন, “বামফ্রন্ট সরকার ওই কর্মীদের স্থায়ীকরণের পরিকল্পনা নিয়েছিল। তার আগেই নতুন সরকার ক্ষমতায় আসায় সেটা সম্ভব হয়নি। আমরা আত্মঘাতী কর্মীর পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার পাশাপাশি ছাটাই হওয়া সমস্ত কর্মীকে পূর্ণবহালের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাব।” ফেব্রুয়ারি মাসে এনবিএসটিসির মাথাভাঙা ডিপোর ২৯ জন ঠিকাদার নিযুক্ত কর্মীকে ছাঁটাই করেন কর্তৃপক্ষ। তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন মনীশবাবু। শনিবার সকালে বাড়ির শোওয়ার ঘরে তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখেন বাড়ির লোকেরা। কাজ হারিয়ে আর্থিক অনটনের জেরে অবসাদগ্রস্থ হয়ে মণীশবাবু আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন তাঁর পরিবারের লোকেরা। নিঃসন্তান মণীশবাবুর রোজগারে সংসার চলত। |
|
|
|
|
|