বালুরঘাটে কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা
দুষ্কৃতীদের হাতে নিহত যুব কংগ্রেস নেতা পুলক তরফদার ওরফে রিন্টুর পরিবারকে সমবেদনা জানাতে প্রদেশ কংগ্রেসের দুই সাধারণ সম্পাদক ওমপ্রকাশ মিশ্র এবং অমিতাভ চক্রবর্তী রবিবার দক্ষিণ দিনাজপুরে যান। মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন এবং মালদহের সাংসদ তথা জেলা কংগ্রেস সভাপতি আবু হাসেম খান চৌধুরী, বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়ও তাঁদের সঙ্গে ছিলেন। প্রদেশ কংগ্রেসের দুই সাধারণ সম্পাদক এদিন নিহত যুব নেতা রিন্টুর মরদেহ নিয়ে আয়োজিত শোক মিছিলে অংশ নেন। তার পরে নিহতের বাড়িতে গিয়েও পরিবারের লোকেদের সমবেদনা জানান। দল থেকে নিহত যুব কংগ্রেস নেতার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেন। জেলার পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করে ঘটনার পূর্ণ তদন্ত ও দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান। বালুরঘাটে ওমপ্রকাশবাবু বলেন, “রাজনৈতিক কারণে যুব কংগ্রেস সহ সম্পাদককে খুন করেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। রাজ্য রাজনীতিতে এর প্রভাব পড়বে।” কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ওই খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ জানিয়ে ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা প্রত্যেকেই তৃণমূল সমর্থক। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে নানা অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ ওই আট জনের মধ্যে সঞ্জয় শীল নামে এক যুবককে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়েছে। এদিন তাঁকে বালুরঘাট জেলা আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক ধৃতকে ৬ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। জেলা পুলিশের কর্তাদের দাবি, রিন্টুর বিরুদ্ধেও এলাকায় নানা অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। ২০১০ সালে দুর্জয় চাকী নামে এক দুষ্কৃতী খুনের ঘটনায় রিন্টুর নাম জড়ায়। ওই খুনের বদলা নিতেই রিন্টুকে খুন করা হল কি না পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। পাশাপাশি, সম্প্রতি বালুরঘাটের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের সামনে থেকে এক ব্যবসায়ীর ১০ লক্ষ টাকা লুট হয়। ওই লুটের টাকা বখরা নিয়েও খুন হতে পারে বলে তৃণমূল-সহ কয়েকটি মহল থেকে অভিযোগ তোলা হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার চিরন্তন নাগ বলেন, “লুটের টাকার বখরা নিয়ে গোলমালের জেরেও খুন হতে পারে বলে আমাদের সন্দেহ। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” বালুরঘাটের তৃণমূল বিধায়ক তথা কারামন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তীও অভিযোগ করেছেন, “শহরবাসী জানেন দুষ্কৃতীদের অন্তর্দ্বন্দ্বে ওই খুনের ঘটনা ঘটেছে। তৃণমূলকে হেয় করতে উদ্দ্যেশ্যপ্রণোদিত ভাবে অভিযুক্ত দুষ্কৃতীদের সঙ্গে তৃণমূলকে জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।” যদিও কারামন্ত্রীর ওই অভিযোগ মানতে চাননি জেলা কংগ্রেস সভাপতি নীলাঞ্জন রায়। তিনি অভিযোগ করেন, “জেলায় কংগ্রেসকে কোণঠাসা করতেই রিন্টুকে খুন করেছে তৃণমূল। এখন পুলিশের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে টাকা লুটের গল্প সাজান হচ্ছে। নিরপেক্ষ তদন্ত চাই।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.