কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রকের সহায়তায় চন্দননগরের যুগের যাত্রী আয়োজিত নাট্যমেলা সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়। চারদিনের ওই অনুষ্ঠান হয় চন্দননগর রবীন্দ্রভবনে। উদ্বোধন করেন নাট্যব্যক্তিত্ব দিলীপ বসুঠাকুর। উপস্থিত ছিলেন চন্দননগরের বিধায়ক অশোক সাউ, মেয়র রাম চক্রবর্তী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ৯টি নাটক, মূকাভিনয়, নৃত্যনাটক, নাটকের গান পরিবেশিত হয়। নাটক সংক্রান্ত প্রদর্শনী হয়। পদযাত্রা বের করা হয়। নাটক ‘দহনকাল’, ‘উদবন্ধন’, ‘কন্যাদান’, নৃত্যনাটক ‘ভারত পথিক বিবেকানন্দ’ এবং মুকাভিনয় দর্শকদের মনে বিশেষ ভাবে দাগ কাটে। যুগের যাত্রী নাট্যচর্চা কেন্দ্রের শিক্ষার্থীরা মঞ্চস্থ করেন ‘রথের রশি’।
|
রাজ্যের যুবকল্যাণ দফতরের উদ্যোগে এবং বৈদ্যবাটি পুরসভার ব্যবস্থাপনায় সম্প্রতি স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম সার্ধ-শতবর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে ‘বিবেক মেলা’ আয়োজিত হয়। তিন দিন ধরে ওই মেলা হয় শেওড়াফুলি সুরেন্দ্রনাথ বিদ্যানিকেতন এবং সংলগ্ন রাজ মাঠে। পুরপ্রধান অজয়প্রতাপ সিংহ জানান, মেলায় আন্তঃ বিদ্যালয় অঙ্কন, প্রশ্নোত্তর এবং নকআউট ফুটবল প্রতিযোগিতা হয়। স্বামী বিবেকানন্দের জীবনাদর্শ নিয়ে আলোচনা সভা আয়োজিত হয়। পাশাপাশি, ‘বিবেক সাহসিকতা’ ও ‘বিবেক মেধা’ পুরস্কার দেওয়া হয়। স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট মানুষজন মেলায় উপস্থিত হয়েছিলেন।
|
মাহেশ শ্রীরামকৃষ্ণ লাইব্রেরি আয়োজিত সপ্তদশ বর্ষ অভিজ্ঞান স্মারক ছড়া উৎসব ও ছড়া লিখন প্রতিযোগিতা সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়। মাহেশ শ্রীরামকৃষ্ণ আশ্রম সারদা মণ্ডপে ওই অনুষ্ঠান হয়। লাইব্রেরির ভারপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারিক প্রশান্ত চট্টোপাধ্যায় জানান, বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা তাদের লেখা ছড়া পাঠ করে। পাশাপাশি, প্রতিষ্ঠিত ছড়াকাররাও স্বরচিত ছড়া পাঠ করেন। স্বামী প্রেমঘনানন্দ স্মারক সম্বর্ধনা দেওয়া হয় কবি ও ছড়াকার মতি মুখোপাধ্যায়কে।
|
ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন-এর (আইএমএ) শ্রীরামপুর শাখার উদ্যোগে সম্প্রতি শ্রীরামপুর ও শেওড়াফুলির স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে একাঙ্ক নাটক প্রতিযোগিতা আয়োজিত হয় স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম সার্ধ-শতবর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে। নাটকের বিষয়বস্তু ছিল ‘সেবাই পরম ধর্ম’। সংগঠকরা জানান, মোট ৯টি স্কুল-কলেজের পড়ুয়ারা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। প্রথম স্থান অধিকার করে শ্রীরামপুর ভারতী বালিকা বিদ্যালয়। দ্বিতীয় হয় মাহেশ পরমেশ্বরী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়। তৃতীয় হয় শেওড়াফুলি সুরেন্দ্রনাথ বিদ্যানিকেতন ফর গার্লস। পরের দু’টি স্থান অধিকার করে শ্রীরামপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় এবং রমেশচন্দ্র বালিকা বিদ্যালয়।
|
মূক-বধির ও মানসিক প্রতিবন্ধী ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে অঙ্কন প্রতিযোগিতা হয়ে গেল উত্তরপাড়ার মাখলায়। ওই ধরনের প্রতিবন্ধীদের সাহায্যার্থে কাজ করা স্থানীয় সংগঠন ‘ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ফর দি ডেফ অ্যান্ড রিটায়ার্ড’ ওই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ফেব্রুয়ারি মূক-বধির ও মানসিক প্রতিবন্ধী ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে সংগঠনের ২৪ তম ‘সারা বাংলা বসে আঁকো’ প্রতিযোগিতাটি হল মাখলা বন্ধুমহল ক্লাব প্রাঙ্গণে। উদ্যোক্তারা জানান, রাজ্যের ৬টি জেলা থেকে ১৩৩ জন ছাত্রছাত্রী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে দেয়। উপস্থিত ছিলেন এলাকার বিধায়ক অনুপ ঘোষাল-সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি।
|