উত্তর চব্বিশ পরগনার মসলন্দপুর একটি আধা শহর। সীমান্তবর্তী হওয়ায় এই জনপদের গুরুত্ব অধিক। বর্তমানে এই জনপদের প্রধান সড়কগুলির বেশির ভাগই বাসস্ট্যান্ড, অটোস্ট্যান্ড, বা ভ্যানরিক্সাস্ট্যান্ডের দখলে। বাংলাদেশ সীমান্তে যাওয়ার রাস্তা তেঁতুলিয়া রোডটির দু’পাশে রয়েছে অটো, ভ্যানরিক্সা ও ট্যাক্সির স্ট্যান্ড। বেশির ভাগ রাস্তা জুড়ে স্ট্যান্ডগুলোর অবস্থান হওয়াতে স্বাভাবিক ভাবে যানবাহন চলে শ্লথ গতিতে, ট্র্যাফিক জ্যাম তৈরি হয়, পথচারীদের চলতে হয় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে।
যাত্রীদের সুবিধের জন্য রেল কর্তৃপক্ষ স্টেশনের পেছন দিকে যে মেটাল রোডটি তৈরি করেছে, সেটিও অটোস্ট্যান্ডে পরিণত হয়েছে। মসলন্দপুর থেকে উলুডাঙা যাওয়ার রাস্তাটির অদূরেই এই অঞ্চলের এক মাত্র বালিকা বিদ্যালয়টি অবস্থিত। |
সেখানেও রাস্তার এক পাশ জুড়ে অটো ও ট্রেকারের স্ট্যান্ড হওয়ায় সাধারণ পথচারী সহ ছাত্রীদের চলাচল করতে হয় বিপদের হাতছানির মধ্য দিয়ে। মসলন্দপুর স্টেশনের রেলগেটের উত্তর দিকে হাবড়া-বসিরহাট রোডের দু’পাশ জুড়ে রয়েছে বিভিন্ন গাড়ির স্ট্যান্ড। পুব দিকের পায়ে চলার পথ জুড়ে রয়েছে অটোস্ট্যান্ড। এক কথায় বলতে গেলে মসলন্দপুরের জনবহুল রাস্তার বেশির ভাগটাই যানবাহন স্ট্যান্ডের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। প্রধান রাস্তার দু’পাশ জুড়ে অবৈজ্ঞানিক ভাবে যে জল নিকাশি নর্দমা রয়েছে, তা দিয়ে জল নিষ্কাশন তো হয়ই না, বরং পথচারীরা অসতর্ক হলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। বিভাগীয় দফতরগুলোকে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করছি।
রাসমোহন দত্ত। উত্তর চব্বিশ পরগনা
|
বিষ্ণুপুর থেকে বহু বাস বিভিন্ন দিকে যাতায়াত করে। এর মধ্যে কিছু বাসের ছাদে যাত্রী তোলা হয়। ফলে কখনও বিদ্যুৎবাহী তারে লেগে, কখনও চলন্ত বাস থেকে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটে। তখন প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। ছাদে ওঠার সিঁড়ি খুলে ফেলতে বাধ্য করা হয়।
কিছু দিন পর আবার যথাপূর্বং তথা পরং। বাসে আবার সিঁড়ি লাগানো হয়। ছাদে আবার যাত্রী পরিবহণ শুরু হয়। মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা আর কত দিন চলবে? পরিবহণ মন্ত্রীর কাছে অনুরোধ তিনি যেন বাসের ছাদে যাত্রী পরিবহণ বন্ধ করার ব্যাপারে উদ্যোগী হন।
হরিদাস গঙ্গোপাধ্যায়। বিষ্ণুপুর,
বাঁকুড়া
|
দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার মহকুমা শহর ডায়মন্ড হারবারের মধ্যে প্রায় তিন কিলোমিটার ১১৭ নং জাতীয় সড়ক গিয়েছে। জাতীয় সড়ক থেকে হাসপাতাল মোড় পর্যন্ত অংশের দু’পাশে কোনও ফুটপাথ না থাকায় হাজার হাজার পথচারীকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। রাস্তার দু’পাশে ইট, বালি ও গাড়ির গ্যারেজ থাকায় পথচারীরা অনিচ্ছা সত্ত্বেও দ্রুতগামী গাড়ির মধ্য দিয়েই রাস্তায় হাঁটতে বাধ্য হন। সুবিধার জন্য ১১৭ নং জাতীয় সড়কের কপাট হাট থেকে হাসপাতাল মোড় পর্যন্ত অংশের দু’পাশে ফুটপাথ তৈরি করতে পৌরসভা, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগ চাই।
অতীশ মন্ডল। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা
|
বর্ধমান ঢোকার আগে বলগোনা থেকে মাইল চারেক দূরে পাকা রাস্তার ধার ঘেঁষে লাল মোরামের রাস্তা চলে গিয়েছে। সেই রাস্তা বরাবর মিনিট পাঁচেক হাঁটলেই পড়বে এক প্রত্যন্ত গ্রাম। নাম পোষলা। সেখানে গেলে দেখা যাবে সাপে আর মানুষে মিলেমিশে থাকার কি দারুণ প্রয়াস! আর সাপের প্রতি মানুষের কী অগাধ বিশ্বাস ও ভরসা! বংশপরম্পরায় এই গাঁয়ের মানুষ সাপকে ‘জংলা মা’ বলে আসছে। এখানে একটি ছোট মন্দিরের নাম জংলেশ্বরীর মন্দির। মা জংলেশ্বরীর পুজো হয় আষাঢ় কিংবা শ্রাবণে। সাপই এই গ্রামের উপাস্য দেবতা। স্থানীয় মানুষের বক্তব্য, এখানকার সব সাপই পরিচিত। দীর্ঘ দিন সবাই এক সঙ্গে বাস করছে। কেউ কখনও কামড়ায় না। কিছু দিন আগে এক জন সাপের কামড়ে মারা গিয়েছিল। কিন্তু সাপটার নাকি কোনও দোষ নেই। লোকটাই সাপটাকে ভয় দেখিয়েছিল। কবে দূর হবে এই কুসংস্কার? এরা চিকিৎসার পরিবর্তে অলৌকিকতাকে আঁকড়ে ধরে রাখে। এখানে শিক্ষিত মানুষও সাপকে বিষধর প্রাণী বলে মানতে চান না। তাঁদের মতে এই গ্রামের সাপ হল জংলা মা। এদের মন থেকে যে করেই হোক দূর করতে হবে সাপের মতো বিষধর প্রাণীর প্রতি অগাধ ভরসা। সাপে কামড়ালে হাসপাতালে উপযুক্ত চিকিৎসা পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। পঞ্চায়েতের মাধ্যমে গ্রামের মানুষকে সচেতন করে তুলতে হবে।
সুব্রত ঘোষ। মুর্শিদাবাদ
|
আমাদের চিঠি (২০/২) বিভাগে ‘বানান বিভ্রাট’ শিরোনামে বনগাঁ শাখার রেলওয়ে স্টেশনের নাম ‘হাবড়া’ বা ‘হাবরা’ নিয়ে আলোচনা ভাল লাগল। একটু লক্ষ্য করলে এ রকম আরও অনেক নমুনা চোখে পড়বে। যেমন, বাল্যকাল থেকে শুনে আসা ‘পাঁপর’ হয়ে গেছে ‘পাঁপড়’। ‘র’ এবং ‘ড়’ উচ্চারণে বর্ণবিপর্যয় বহু শব্দে ঘটেছে। একটা বিজ্ঞাপনে দেখা গেল ‘ঘড় ভারা দেওয়া হইবে’। এ হেন বানান দেখে অবাক না হয়ে উপায় ছিল না। সকলেরই এমনতর বিভ্রাট থেকে সতর্ক থাকা দরকার। তা হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বড়ই উপকৃত হবে।
উত্থানপদ বিজলী। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা
|