|
|
|
|
|
|
|
রাজনীতিতে ‘স্যাংশন’ হল এক ধরনের কঠোর নিষেধাজ্ঞা বা শাস্তি |
|
আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে কান পাতলেই এখন ‘নিষেধাজ্ঞা’ বা ‘স্যাংশন’-এর ফিসফাস্। ইরানে নিষেধাজ্ঞা নাকি আরও জোরদার হতে চলেছে? ইরানি প্রেসিডেন্ট আহমদিনেজাদ নাকি বলেছেন, নিষেধাজ্ঞাও আসলে এক রকমের যুদ্ধ, মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ? একই হুমকি নাকি সিরিয়ারও প্রতি? ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশ নাকি একমত, সিরিয়ায় যা চলছে, তার একমাত্র দাওয়াই আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা? ফেব্রুয়ারি মাসের শেষে ই ইউ-এর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যাবে, তার আগে বরং বুঝে নেওয়া ভাল, নিষেধাজ্ঞা বা স্যাংশন বস্তুটি কী। অভিধানে স্যাংশন শব্দটির ব্যুৎপত্তিগত অর্থ কোনও কিছু করার প্রেরণা বা অনুমতি। শুনলে মনে হয় ভারী সদর্থক শব্দ। কিন্তু রাজনীতি বা কূটনীতির দুনিয়ায় এর চেয়ে নেতিবাচক শব্দ আর নেই। কোনও দেশকে যদি অন্য দেশ কিংবা দেশসমূহ কিংবা রাষ্ট্রপুঞ্জের মাধ্যমে সমস্ত দেশ কখনও চরম শাস্তি দিতে চায়, নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার মাধ্যমেই তা করা হয়। সাধারণত চার রকমের নিষেধাজ্ঞা হতে পারে:, কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামরিক ও ক্রীড়ানৈতিক। বাকিগুলির অর্থ স্পষ্ট, শেষেরটির অর্থ, শাস্তিস্বরূপ, আন্তর্জাতিক কোনও খেলাধুলোর ক্ষেত্রে একটি দেশকে অংশগ্রহণ করতে না দেওয়া। কোন কোন লক্ষ্যে এ ধরনের আন্তর্জাতিক শাস্তিবিধান চলে থাকে? প্রথমত, ‘প্রিভেনশন’, অর্থাৎ কোনও দেশের অতিরিক্ত আক্রমণাত্মক প্রবৃত্তি আটকাতে (উদাহরণ, ১৯৯০-এর কুয়েত আক্রমণের পর ইরাকের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা)। কিংবা, ‘কনটেনমেন্ট’, অর্থাৎ কোনও দেশ তার নিজস্ব সীমার মধ্যেই আন্তর্জাতিক নীতি লঙ্ঘনকারী কাজকর্ম শুরু করলে, তার বিরুদ্ধে (যেমন, ইরানের ক্ষেত্রে)। কিংবা, ‘কনডেমনেশন’, অর্থাৎ কোনও দেশের অভ্যন্তরীণ অতিরিক্ত হিংসাত্মক কিংবা অমানবিক কার্যকলাপের প্রতি তীব্র নৈতিক ভর্ৎসনা জানাতে (যেমন, মায়ানমার কিংবা এককালের জাতিবিদ্বেষী দক্ষিণ আফ্রিকার ক্ষেত্রে)। |
|
• কুড়ি কোটি মানুষের এই প্রদেশ ভারতের অঙ্গরাজ্য না হয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র হলে বিশ্বের ষষ্ঠ জনবহুল দেশ হতো। উত্তরাখণ্ডকে কেটে নেবার পরেও উত্তরপ্রদেশ এখনও দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাবশালী রাজ্য। পুরাপ্রস্তর যুগ থেকেই এখানে দ্বিপদদের পদচারণার পাথুরে প্রমাণ পর্যাপ্ত। তার পর সাহারানপুরে সিন্ধু সভ্যতার সম্প্রসারণের চিহ্ন ফেলে বৈদিক যুগের মথুরা, কোশল, কুরু মহাজনপদ এই গঙ্গা-যমুনার দোয়াবেই বিকশিত হয়। নন্দ বা মৌর্য, কুষাণ বা গুপ্ত, হুন বা গুর্জর-প্রতিহার, হর্ষবর্ধন কিংবা পাল-রাজারা যে রাজশক্তিই ভারতে সাম্রাজ্য বিস্তারে ব্রতী হয়েছে, সে-ই উত্তরপ্রদেশকে নিজের দখলে রাখতে তৎপর হয়েছে। গত সহস্রাব্দের সূচনা থেকে এই প্রদেশের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ চলে যায় তুর্ক-আফগান-মুঘল-পাঠানদের হাতে। সম্রাট আকবরের সময় আগ্রা ভারতের রাজধানী হলে এই প্রদেশ হিন্দুস্তানে তার প্রাপ্য মর্যাদা পায়।
ব্রিটিশ উপনিবেশবাদীরাও এই প্রদেশের গুরুত্ব বুঝে এখানে একাধিক ক্যান্টনমেন্ট স্থাপন করে। তবু সিপাহি বিদ্রোহের আগুন সবচেয়ে বেশি লেলিহান হয়ে ওঠে এখানেই। ভারতকে স্বাধীন করা এবং মুসলিমদের জন্য পাকিস্তান গঠন করার আন্দোলনও গতি সঞ্চয় করে এখানেই। ব্রিটিশ আমলে ‘ইউনাইটেড প্রভিন্স’ নামে পরিচিত এই ভূখণ্ড নতুন নাম পায় স্বাধীনতার পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী গোবিন্দবল্লভ পন্থের কাছে। সেই থেকেই উত্তরপ্রদেশ। এখানেই দেশের প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হন সুচেতা কৃপালনী। পরে অবশ্য এই রাজ্যেরই নির্বাচিত সাংসদ ইন্দিরা দেশের একমাত্র মহিলা প্রধানমন্ত্রীও হন। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতীও মহিলা, উপরন্তু দলিত। তবে এ বারের বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর ঐরাবতের হোঁচট খাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে যে অগণিত মায়া-মূর্তিতে এই গাঙ্গেয় সমতলভূমির প্রতিটি জনপদ চিহ্নিত, তাদের জন্য জাদুঘর খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হতে পারে।
• সমকামিতার বিষয়টি গত কয়েক দিনে আবার আমাদের সামনে উঠে এসেছে। উপলক্ষটি হল দিল্লি হাইকোর্টের একটি রায় নিয়ে নানান আলোচনা, এবং সুপ্রিম কোর্টে উঠে আসা কয়েকটি প্রশ্ন ও তার বিচার। সমকামিতা বা একই লিঙ্গের দু’জন মানুষের মধ্যে যৌন সম্পর্ক নিয়ে বিতর্ক নতুন নয়। সাম্প্রতিক আলোচনাতেও মূলত নৈতিকতার প্রশ্নটিই উঠে এসেছে। এইচ আই ভি এডসকে সামনে রেখে যদিও বলা হচ্ছে, যে পুরুষে পুরুষে সমকামী যৌনতায় এই রোগ ছড়ানোর ভয় বেশি বলে একে নিষিদ্ধ করা হোক, এই রোগের উদ্ভব হওয়ার অনেক আগে থেকেই কিন্তু সমকামিতাকে অপরাধ মনে করার সামাজিক নীতি ও আইন চালু ছিল। তার মানে, এই রোগ আসলে একটি নতুন ছুতো। প্রশ্ন হল: কেন সমকামিতার বিরুদ্ধে এত সামাজিক আপত্তি? খুব ছোট করে বলতে গেলে বলতে হয় সমাজের ভিত্তি হল পরিবার। বিয়ে আর সন্তানের মধ্যে দিয়ে সম্পত্তির উত্তরাধিকার ঠিক হয়, এবং একটা কাঠামোর ক্ষমতা চালু থাকে। সমকামী সম্পর্ক প্রজননমুখী নয়, তাতে সন্তান, সম্পত্তি, উত্তরাধিকার, এই সব ধারণাগুলোর গোড়ায় গণ্ডগোল হয়ে যায় বলেই এত অস্বস্তি আর রাগ। |
|
অস্কার |
• ২৬ ফেব্রুয়ারি লস অ্যাঞ্জেলেস-এর কোডাক থিয়েটারে সম্পন্ন হল ৮৪তম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডস অনুষ্ঠান। সেরা ছবি, সেরা পরিচালক, সেরা অভিনেতা সহ পাঁচটি অস্কার পেল মিশেল হাজানাভিশাসের ‘দি আর্টিস্ট’। সেরা অভিনেতা হলেন জঁ দুজারদা।ঁ ‘দি আয়রন লেডি’-তে প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারের ভূমিকার জন্য সেরা অভিনেত্রীর খেতাব পেলেন মেরিল স্ট্রিপ। সেরা সহ-অভিনেতা হলেন ক্রিস্টোফার প্লামার এবং অক্টেভিয়া স্পেনসার হলেন সেরা সহ-অভিনেত্রী।
|
হুইটনি হিউস্টন |
• ৪৮ বছর বয়সে মারা গেলেন হলিউডের খ্যাতনামা গায়িকা হুইটনি হিউস্টন।
|
রিকি পন্টিং |
• এক দিনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক রিকি পন্টিং।
|
পোলিও |
• বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) পোলিয়ো মহামারি দেশগুলির তালিকা থেকে ভারতের নাম তুলে নিল। আগামী দু’বছরে ভারতে যদি আর কোনও পোলিয়ো কেস ধরা না পড়ে তা হলে তাকে ‘পোলিয়ো-মুক্ত’ দেশ হিসেবে গণ্য করা হবে।
|
অলিম্পিকে ভারত |
• নয়াদিল্লিতে প্রি-অলিম্পিক হকি ফাইনালে ফ্রান্সকে ৮-১ গোলে হারিয়ে আট বছর পর অলিম্পিকের মূলপর্বে খেলার সুযোগ পেল ভারত। |
|
|
|
|
|