টুকরো খবর
তৃণমূলের সম্মেলনে বচসা, হাতাহাতি
দলবিরোধী কাজে জড়িত অভিযোগে কয়েক মাস আগে তৃণমূলের স্থানীয় দুই নেতাকে ‘বহিষ্কার’ করা হয়েছিল। রবিবার দেগঙ্গায় দলের ‘পঞ্চায়েতিরাজ সম্মেলন’-এ সেই দুই নেতাই উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলন চলাকালীনই দুই নেতার অনুগামীরা বচসা-হাতাহাতিতে জড়ালেন। দু’পক্ষই অন্য পক্ষকে সম্মেলন ছেড়ে চলে যেতে বলে। মিনিট কুড়ি ধরে চলে গণ্ডগোল। তত ক্ষণে সম্মেলনস্থল ছেড়ে অনেকে বাড়ির পথে পা বাড়ান। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুরুল ইসলাম, হাড়োয়ার বিধায়ক জুলফিকার আলি, স্থানীয় নেতা সহিদুল ইসলাম, ওয়াহাব গাজি প্রমুখ। তাঁদের পাশাপাশি মঞ্চে ওঠেন দল থেকে ‘বহিষ্কৃত’ দুই নেতা মহম্মদ আমিনুদ্দিন এবং মহম্মদ সফিকুল ইসলাম। এলাকায় তোলাবাজি-সহ নানা দুষ্কর্ম এবং দলবিরোধী কাজে জড়িত অভিযোগে ওই দু’জনকে দল থেকে ‘বহিষ্কার’ করা হয়েছিল কয়েক মাস আগে। তৃণমূল শিবিরের খবর, আমিনুদ্দিন এবং তাঁর অনুগামীদের উপরে সম্মেলন সফল করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তা মেনে নিতে পারেননি সফিকুলের অনুগামীরা। সাংসদ নুরুল ইসলাম বলেন, “দলের নিয়মশৃঙ্খলা মেনে কাজ করবে বলে দুই নেতা দলীয় নেতৃত্বের কাছে আবেদন করেছিলেন। সে জন্য তাঁদের ৬ মাস সময় দেওয়া হয়েছে।” এ দিনের সম্মেলনে তাঁদের আমন্ত্রণ জানানো হয়ননি বলে দাবি করেছেন বারাসত ২ ব্লকের যুব তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন এবং দলের নেতা মহম্মদ সোয়েব আলি। এ জন্য তাঁরা আগামী ১৮ মার্চ পাল্টা সম্মেলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন জানিয়ে মহম্মদ সাহাবুদ্দিন বলেন, “আমরা পুরনো তৃণমূল। কিন্তু সদ্য দলে আসা নেতারা এখন আমাদেরই গুরুত্ব দিচ্ছেন না। সেই জন্যই আমরা সম্মেলন করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।” এ বিষয়ে সাংসদ কোনও মন্তব্য করেননি।

বধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার কুলপিতে
এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার বিকেলে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপির আমড়াতলা গ্রামে। পুলিশ জানায়, মৃতার নাম রূপা মণ্ডল (২৬)। ওই বধূর শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাঁকে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছেন বলে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁর বাবা গোবিন্দ মাইতি। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ছ’য়েক আগে স্থানীয় কচুবেড়িয়া গ্রামের তরুণী রুপাদেবীর সঙ্গে পেশায় দিনমজুর উৎপল মণ্ডলের বিয়ে হয়। কিছুদিন পর থেকে সাংসারিক অশান্তি শুরু হয়। সমস্যা মেটানোর জন্য একাধিক বার দুই পরিবারের মধ্যে আলোচনাও হয়। কিন্তু সমস্যা মেটেনি। শনিবার বাড়ির লোকজন রূপাদেবীকে গলায় শাড়ির ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঘরের আড়কাঠি থেকে ঝুলতে দেখে থানায় খবর দেন। পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে ময়না-তদন্তের জন্য ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে পাঠায়। পুলিশ জানিয়েছে, রূপাদেবীর বাবা গোবিন্দবাবু মেয়ের স্বামী উৎপল, শ্বশুর সুশীল, শাশুড়ি রাধারাণী এবং দেওর অনুপ মণ্ডলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্তকারী পুলিশ অফিসাররা জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত আরম্ভ হয়েছে। অভিযুক্তরা সকলেই পলাতক। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

কাউন্সিলরের উদ্যোগে হাসপাতালে ঠাঁই বৃদ্ধার
সকাল থেকে বাসস্ট্যান্ডের প্রতীক্ষালয়ে প্রায় অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে ছিলেন এক দুঃস্থ বৃদ্ধা। অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অতীশ সরকারের উদ্যোগে শনিবার ওই বৃদ্ধার ঠাঁই হল অশোকনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃদ্ধার বয়স আশিরও বেশি। তিনি বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছেন। কথা বলার অবস্থায় নেই। পুলিশ জানিয়েছে, ওই বৃদ্ধার নাম-পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। অশোকনগরের কচুয়া মোড়ের কাছে ওই বাসস্ট্যান্ডের প্রতীক্ষালয়ে বৃদ্ধার পড়ে থাকার কথা সকাল ৮টা নাগাদ স্থানীয় গোলবাজারের ব্যবসায়ী বাবন সাহার কাছ থেকে টেলিফোনে জানতে পারেন অতীশবাবু। এর পরেই তিনি দলের দুই সমর্থককে নিয়ে প্রতীক্ষালয়ে যান। একটি ভ্যানে ওই বৃদ্ধাকে তুলে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করান। অসিতবাবু বলেন, “সকাল থেকে বৃদ্ধা প্রতীক্ষালয়ে পড়ে ছিলেন। অথচ, কেউই খেয়াল করলেন না কেন, বলতে পারব না। ওই বৃদ্ধা যত ক্ষণ না সুস্থ হচ্ছেন, তত ক্ষণ তাঁর চিকিৎসার খরচ দেব।” বৃদ্ধার জন্য নতুন জমাকাপড়ও কিনে দেন অতীশবাবু।

ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ, স্কুটারে ধাক্কা গৃহবধূর
ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় ধাওয়া করে স্কুটারে ধাক্কা মেরে এক বধূকে জখম করার অভিযোগ উঠল কিছু মোটরবাইক আরোহী যুবকের বিরুদ্ধে। রবিবার বিকেলে হুগলির মগরায় অসম লিঙ্ক রোডের রেয়ন গেট এলাকার ঘটনা। অনামিকা সেনগুপ্ত নামের ওই বধূকে জখম অবস্থায় চুঁচুড়া হাসপাতালে ভর্তি করান স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনার প্রতিবাদে তাঁরা আধ ঘণ্টা পথ অবরোধও করেন। বধূটির আত্মীয়েরা মগরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “ওই যুবকদের খোঁজ চলছে।” পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বছর বত্রিশের অনামিকাদেবীর বাড়ি স্থানীয় কুন্তীঘাটের রঘুনাথপুরে। এ দিন বিকেলে বেলতলা বাজারে তিনি ছেলে দেবস্মিতকে গৃহশিক্ষকের বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে একটি পেট্রোল পাম্পে তিনি স্কুটারে তেল ভরেন। সেখানেই কয়েকজন যুবক তাঁকে উত্ত্যক্ত করে বলে অভিযোগ। অনামিকাদেবীর কথায়, “৪-৫ জন মদ্যপ যুবক আমাকে খারাপ কথা বলে। আমি প্রতিবাদ করি। তারপরেও গায়ে পড়ে ওরা কথা বলার চেষ্টা করে। ওদের কথার জবাব না দিয়ে আমি স্কুটার নিয়ে পাম্প ছেড়ে বেরিয়ে যাই।” তাঁর অভিযোগ, “ওরা মোটরবাইক নিয়ে পিছু ধাওয়া করে রেয়ন গেটের কাছে আমার স্কুটারের পিছনে ধাক্কা মারে। ছিটকে পড়ে আমি বেহুঁশ হয়ে যাই।” স্থানীয় বাসিন্দারা দৌড়ে গেলে ওই যুবকেরা পালিয়ে যায়।

কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে হাবরার পঞ্চায়েত সদস্য
উত্তর ২৪ পরগনার হাবরা ১ ব্লকের মছলন্দপুর ১ পঞ্চায়েতের কংগ্রেস সদস্য আলি আজগর মণ্ডল রবিবার দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন। এ দিন মছলন্দপুরে হাবরা ১ ব্লকের পঞ্চায়েত সভার আয়োজন করে তৃণমূল। সেখানেই আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূলে যোগ দেন আজগর। হাবরার তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক তাঁর হাতে পতাকা তুলে দেন। তৃণমূল শিবিরের দাবি, আজগরের সঙ্গে এ দিন দুই শতাধিক কংগ্রেস কর্মী-সমর্থক তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “কংগ্রেস ছেড়ে যাঁরা তৃণমূলে যোগ দিতে চান, তাঁরা স্বাগত।” আজগর বলেন, “আরও ভাল ভাবে উন্নয়নের কাজ করতে পারব বলেই তৃণমূলে যোগ দিলাম।” এ ব্যাপারে জেলা কংগ্রেস নেতা নারায়ণ সাহার প্রতিক্রিয়া, “আজগর শিবির বদল করায় কংগ্রেসের কোনও ক্ষতি হবে না। কেননা, এর আগেও অনেক বড় নেতা দলত্যাগ করেছেন। কিন্তু তাতে কংগ্রেসের কোনও সমস্যা হয়নি।”

জগদ্দলে ট্রেনে ছিনতাই, প্রহারে নিহত ৩ দুষ্কৃতী
জগদ্দল স্টেশন রোডে রবিবার রাতে ট্রেনে ছিনতাই করে পালাতে গিয়ে গণপিটুনিতে তিন দুষ্কৃতীর মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের কাছে ওয়ান-শটার, গুলি ও সোনার হার পাওয়া গিয়েছে। পুলিশি সূত্রের খবর, রাত পৌনে ১২টা নাগাদ ডাউন কল্যাণী লোকালের ৪ নম্বর বগিতে ছিনতাই করে তিন দুষ্কৃতী। জগদ্দলে ট্রেন থামার আগেই তারা লাফ দেয়। ট্রেন থামতেই যাত্রীরা ধাওয়া করেন। দুষ্কৃতীরা আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে প্রীতিনগর কলোনি দিয়ে পালাতে থাকে। স্থানীয় বাসিন্দারাও তাড়া করেন। দুষ্কৃতীরা বোমা হাতে নিয়ে ভয় দেখায়। নিজেদের বোমা ফেটে দু’জন পড়ে যায়। জনতা তিন জনকেই ধরে পেটায়। পুলিশ জানায়, নিহতদের মধ্যে দু’জন দাগি আসামি। তারা হল ছোটকা ওরফে সাবির আলি ও মহম্মদ শারজাদ। তৃতীয় জনের পরিচয় জানা যায়নি। দুষ্কৃতীদের হাতে দু’জন যাত্রী জখম হন। তাঁদের ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু
টিটাগড় থানা এলাকার শাঁখারিপট্টির ঘোষপাড়া রোডে রাতে গাড়ির ধাক্কায় এক সাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম সতীশ মান্না (৬০)। বাড়ি ওই এলাকার চিড়িয়ামোড়ে। তিনি সোনার দোকানে কাজ করতেন।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.