দলীয় পতাকা ছিঁড়ে, নাম মুছে দিয়ে কংগ্রেসের দলীয় অফিস দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরের হাকিমপুরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা দেখা দেয়। ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ও অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে রবিবার স্বরূপনগর থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করেন কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকেরা। পুলিশ এ ব্যাপারে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে ঘণ্টাদুয়েক পরে অবস্থান০বিক্ষোভ তুলে নেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দেড়েক আগে স্থানীয় কংগ্রেস নেতা বাবু মণ্ডলের উদ্যোগে বিথারি পঞ্চায়েতের হাকিমপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে একটি দলীয় অফিস খোলা হয়। উদ্বোধনে হাজির ছিলেন জেলা নেতৃবৃন্দ। শনিবার স্বরূপনগরের তেঁতুলিয়ায় তৃণমূলের সম্মেলন ছিল। সেখানে গিয়ে বাবু মণ্ডল ও বিথারি পঞ্চায়েতের কংগ্রেস উপপ্রধান আনিসুদ্দিন গাজি-সহ কয়েকশো কংগ্রেস কর্মী-সমর্থক তৃণমূলে যোগ দেন। এর পর ওই রাতেই হাকিমপুরে দলীয় অফিসের পতাকা ছিঁড়ে, কার্যালয়ের না পরিবর্তনের চেষ্টা হয় বলে স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্বের অভিযোগ। ব্লক কংগ্রেস নেতা মুজিবর রহমান বলেন, “কোনও কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকের তৃণমূলে যোগ দেওয়াটা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়। তিন্তু তাই বলে রাতের অন্ধকারে দলীয় পতাকা ছিঁড়ে পুড়িয়ে দেওয়া, কার্যালয়ের সামনে কংগ্রেসের নাম মুছে দিয়ে তা দখলের চেষ্টা করা কোনওভাবেই মানা যায় না। এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে বাবু মণ্ডল, আনিসুদ্দিন-সহ চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দেলনে নামতে বাধ্য হব।”
অভিযুক্ত আনিসুদ্দিন গাজির বক্তব্য, “ওই দলীয় কার্যালয় আমরাই তৈরি করেছিলাম। দলের উর্ধ্বতন নেতৃত্বের অকর্মণ্যতায় অনেক নেতা-কর্মী ইতিমধ্যেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তাই আমরাও তৃণমূলে যোগ দিয়েছি। তাই দলীয় কার্যালয়ও তৃনমূলের কার্যালয় করা হবে।”
এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সেলের চেয়ারম্যান নারায়ণ গোস্বামী বলেন, “কংগ্রেস থেকে বিষয়টি আমাকে জানানো হয়েছে। বাবু মণ্ডলেরাই ওটা তৈরি করেছিল। এখন ওরা তৃণমূলে চলে আসায় ওটাকেই তৃণমূলের পার্টি অফিস করতে চাইছে। তবে এটা হবে না। আমরা সকলকে বলে দিয়েছি কারও পার্টি অফিস দখল করা যাবে না। কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলা হবে।” |