অশালীন আচরণের প্রতিবাদ করায় ছুরিকাঘাতে এক শিক্ষককে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। ওই শিক্ষককে বাঁচাতে গিয়ে জখম হয়েছেন তাঁর ভাইও। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার ঠাকুরনগর শিমুলপুর এলাকায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই শিক্ষককে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, বিজয়কুমার আইচ নামে ওই শিক্ষকের বাড়ি ওই এলাকাতেই। গাইঘাটা থানার পুলিশ চন্দন বণিক নামে ওই যুবকের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে। চন্দনের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর একচল্লিশের বিজয়বাবু বাগদার রানিহাটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। অভিযোগ, শনিবার সন্ধ্যায় চন্দন নামে ওই যুবক আরও কয়েকজন সঙ্গীকে নিয়ে বিজয়বাবুর বাড়ির সামনে এসে মদ্যপ অবস্থায় অসালীন আচরণ করতে থাকে। বিজয়াবাবু ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা তার প্রতিবাদ করেন। এর পর তখনকার মতো চন্দন ও তার দলবল ক্ষমা চেয়ে ফিরে যায়। |
বিজয়বাবুর ভাই গৌতমবাবু বলেন, “ভেবেছিলাম সব মিটে গিয়েছে। কিন্তু তা যে হয়নি রাতে তার মালুম পাওয়া গেল। রাত ১২টা নাগাদ চন্দন এসে দাদাকে ডাকে। দরজায় ধাক্কাধাক্কি করতে থাকে। আওয়াজে বাড়ির সবাই উচে পড়ে। দাদা দরজা খুলে বাইরে বেরোতেই পিছন থেকে তাঁর মুখ চেপে ধরে তাঁর গলায় ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে ওরা। আঘাতের চোটে দাদা বসে পড়েন। দাদার গলা দিয়ে রক্ত পড়ছিল। আমার আর এক ভাই বিশ্বজিৎ চন্দনকে আটকানোর চেষ্টা করলে তাঁকেও ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায় ওরা।”
বাড়ির লোকজনই সঙ্গে সঙ্গে বিজয় ও বিশ্বজিৎবাবুকে প্রথমে ঠাকুরনগরে চাঁদপাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। পরে তাঁদের বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। স্থানীয় বাসিন্দা সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় জানান, চন্দনের নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক প্রায়ই রাতে মদ্যপ অবস্থায় গোলমাল করে। রাস্তায় মদের বোতন ভেঙে রাখে। প্রচন্ড গতিতে গাড়ি চালিয়ে যাতায়াত করে। বিজয়বাবু এ সবের প্রতিবাদ করেছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, চন্দন আগে বিড়া এলাকায় থাকত। সম্প্রতি সে শিমুলপুরে বাড়ি করে সেখানেই থাকে। তবে ঘটনার পর থেকেই সে পলাতক। তাকে খোঁজা হচ্ছে। |