এলাকায় দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবের ‘প্রতিবাদ’-এ রবিবার সকালে হাবরা শহরে ‘শান্তি-মিছিল’ করল তৃণমূল। যার জেরে যানজটে ভুগতে হল সাধারণ মানুষকে।
সম্প্রতি এ শহরে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, কেপমারি, বোমাবাজির বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। দিন কয়েক আগেই হাটথুবা ঘোষপাড়া এলাকায় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে তিন জন গুলি-বোমায় জখম হন। তাঁদের মধ্যে দু’জন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি হাবরা স্টেশনে এক দল তোলাবাজ মদ খাওয়ার টাকা না পাওয়ায় দীপঙ্কর মিস্ত্রি নামে এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে মারধর করে বলে অভিযোগ। দীপঙ্কর এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। |
এ সব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই এ দিন মিছিল আয়োজন করে তৃণমূল। সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ ১ নম্বর রেলগেট থেকে কয়েক হাজার কর্মী-সমর্থককে নিয়ে মিছিলটি যশোহর রোড ধরে হাটথুবা ঘোষপাড়া মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন খাদ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পর্যবেক্ষক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ছিলেন হাবরার পুরপ্রধান তপতী দত্ত, উপ-পুরপ্রধান তপন সেনগুপ্ত প্রমুখ।
তৃণমূলের অভিযোগ, সাম্প্রতিক বিভিন্ন অপরাধের ঘটনায় সিপিএম আশ্রিত সমাজবিরোধীরা জড়িত। এ সংক্রান্ত পোস্টারও দেখা যায় মিছিলে। জ্যোতিপ্রিয়বাবুর অভিযোগ, “শান্ত হাবরাকে সিপিএম এবং কংগ্রেসের একাংশের মদতে দুষ্কৃতীরা অশান্ত করতে চাইছে। আমরা তা হতে দেব না। বিভিন্ন ঘটনায় জড়িত দুষ্কৃতীদের শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে। পাশাপাশি, রাজনৈতিক ভাবেও সিপিএম এবং কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রচার চালানো হবে।” হাবরা স্টেশন চত্বরে দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য কমাতে তিনি রেলমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন জ্যোতিপ্রিয়বাবু। দীপঙ্করের উপরে হামলার ঘটনাকে ‘দুঃখজনক’ এবং ‘সমর্থনযোগ্য’ নয় বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তৃণমূলের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করে হাবরার প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক প্রণব ভট্টাচার্য বলেন, “মিথ্যা বলা এবং অপপ্রচার করা তৃণমূলের সর্বোচ্চ থেকে স্থানীয় নেতৃত্ব পর্যন্ত সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। হাবরাতেও এর ব্যতিক্রম হচ্ছে না।” কংগ্রেস নেতা নারায়ণ সাহা বলেন, “আমাদের দলে কোনও দুষ্কৃতী নেই। এক সময়ের সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এখন তৃণমূলে নাম লিখিয়েছে। পুরনো এবং নতুন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে এলাকা দখলের জন্যই হাবরায় অশান্তি ছড়াচ্ছে।” |