মাওবাদী সন্ত্রাসে নিহতদের পরিবারকে সাহায্য |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
ঝাড়গ্রাম পুলিশ জেলার ৮টি থানা এলাকায় মাওবাদী সন্ত্রাসে নিহত ৪৫ জনের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দিল রাজ্য সরকার। নিহতদের তালিকায় রয়েছেন একাধিক রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী, শিক্ষক, সরকারি কর্মী, সাঁওতালি মহিলা সঙ্গীত শিল্পী প্রমুখ। প্রতি পরিবার পিছু প্রাপ্ত ক্ষতিপূরণের পরিমাণ এক লক্ষ টাকা। ক্ষেত্র বিশেষে পরিবারের একাধিক উত্তরাধিকারীর মধ্যে সেই টাকা ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। |
|
ক্ষতিপূরণ দিচ্ছেন আইজি গঙ্গেশ্বর সিংহ। |
রবিবার দুপুরে ঝাড়গ্রাম পুলিশ জেলার উদ্যোগে পুলিশ সুপারের কার্যালয় সংলগ্ন প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে নিহতদের পরিবারের ১১০ জন সদস্যের হাতে ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দেন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী সুকুমার হাঁসদা, আইজি (পশ্চিমাঞ্চল) গঙ্গেশ্বর সিংহ। উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার প্রবীণ ত্রিপাঠী, ঝাড়গ্রামের এসপি গৌরব শর্মা, ঝাড়গ্রামের মহকুমাশাসক বাসব বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সংযোজনা করেন ঝাড়গ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) ভারতী ঘোষ। মন্ত্রী সুকুমারবাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনমুখী নীতির ফলে জঙ্গলমহলে শান্তি ফিরেছে। ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও রাজনৈতিক রং দেখা হয়নি।” আইজি (পশ্চিমাঞ্চল) গঙ্গেশ্বর সিংহ বলেন, “মৃত্যুর কোনও ক্ষতিপূরণ হয় না। নিহতদের পরিজনদের পাশে দাঁড়াতেই এই উদ্যোগ।” এ দিন জঙ্গলমহলের (ঝাড়গ্রাম পুলিশ জেলার ৮টি থানা এলাকার) ২১৪টি ফুটবল দলের খেলোয়াড়দের জার্সি দেওয়া হয়। গত ১২ জানুয়ারি জঙ্গলমহল উৎসবের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামের জনসভায় এই জার্সি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। |
|
পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী সুকুমার হাঁসদা। |
আর্থিক সাহায্য। সাঁকরাইল ব্লক কংগ্রেস সম্পাদক তপন মণ্ডলের বাড়িতে গিয়ে আর্থিক সাহায্য করলেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। শনিবার কংগ্রেসের ঝাড়গ্রাম মহকুমা সভাপতি প্রসূন ষড়ঙ্গীর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা সাঁকরাইল থানার আঁধারি-মৌভাণ্ডার অঞ্চলের হরিপুরা গ্রামে তপনবাবুর বাড়িতে যান। প্রতিনিধিদলে অন্যদের মধ্যে ছিলেন কংগ্রেসের সাঁকরাইল ব্লক সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় দে, যুব কংগ্রেসের ঝাড়গ্রাম লোকসভার সভাপতি কৌশিক মহাপাত্র, লোকসভার যুব সম্পাদক তাপস মাহাতো প্রমুখ। গত বছর ২৩ অক্টোবর তপনবাবুকে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা মারধর করে বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম তপনবাবু বেশ কিছুদিন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
|
ছবি: দেবরাজ ঘোষ। |
|