নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
ডাও কেমিক্যালস লন্ডন অলিম্পিকের স্পনসরশিপ থেকে না সরলে ভারত কড়া ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে বলে ফের জানালেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রী অজয় মাকেন। তবে না সরলে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তা নিয়ে এখনও বিভ্রান্ত তিনি।
অলিম্পিক বয়কট করার মতো চরম পথে হাঁটা হবে কি না, সে ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অ্যাথলিটদের সঙ্গে কথা বলতে চান ক্রীড়ামন্ত্রী। এক টিভি সাক্ষাৎকারে মাকেন বলেছেন, “অ্যাথলিটরা কী চায় সেটা গুরুত্বপূর্ণ। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অ্যাথলিটদের মত বড় ভূমিকা নেবে।” তবে আপাতত অলিম্পিকের প্রস্তুতি যেমন চলছে, তেমনই চলবে, বলেছেন মাকেন।
এ দিকে, অলিম্পিক বয়কট নিয়ে আলোচনার মধ্যে মাকেনের মন্ত্রকেরই অনুমতি না পাওয়ায় ঘোর অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে ভারতীয় হকির প্রাক-অলিম্পিক শিবির নিয়ে। বেঙ্গালুরুর সাইতে শিবির হওয়ার কথা ছিল। শোনা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রক অনুমতি দেয়নি। হকি মহলের বক্তব্য, হকি ইন্ডিয়া শিবিরে ডাক পাওয়া খেলোয়াড়দের ওয়ার্ল্ড সিরিজে নামতে মানা করাতেই যাবতীয় জটিলতা! ওয়ার্ল্ড হকি সিরিজের পাশে রয়েছে ইন্ডিয়ান হকি ফেডারেশন এবং কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রক। এই অবস্থায় মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকার ভোপালে শিবির করার প্রস্তাব দিয়েছে। ক্রীড়া মন্ত্রক ভোপালে শিবির হতে দেয় কি না, সেটা দেখার।
ভোপাল গ্যাস কাণ্ডের মূলে থাকা ডাও কেমিক্যালসকে লন্ডন গেমসের স্পনসরশিপ থেকে সরানোর দাবিতে ভারত অনড়। এ দিকে, ভারতের দাবিতে সায় দেয়নি আন্তর্জাতিক অলিম্পিক সংস্থা। আইওসি দাবি না মানলে কী হবে, সে ব্যাপারে কোনও স্পষ্ট উত্তর অবশ্য মাকেন দিতে পারেননি। তাঁর কথায়, “এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া কঠিন। আমরা কোনও সিদ্ধান্ত নিইনি। তবে আমাদের একটা পরিকল্পনা রয়েছে। যেটা নিয়ে এখনই কথা বলা যাবে না।”
নিজেদের প্রতিবাদ তুলে ধরতে ভারত অলিম্পিকে গিয়েও উদ্বোধন ও সমাপ্তি অনুষ্ঠান বয়কট করবে বলে গুঞ্জন রয়েছে। মাকেন অবশ্য বলেছেন, “এটা নিয়ে এখনই কিছু বলতে পারব না। তবে যে সিদ্ধান্তই নেওয়া হোক, সেটা ভোপালবাসীর আবেগ আর অ্যাথলিটদের কথা ভেবে নেওয়া হবে।” |