আই-লিগে জায়গা করে নিতে দ্বিতীয় ডিভিশনের ৭ টি দলের লড়াই আজ, সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে। প্রথম দিন ২ টি ম্যাচ। প্রথম ম্যাচে ওএনজিসি খেলবে আইজল ফুটবল ক্লাবের সঙ্গে। দ্বিতীয় ম্যাচে ইউনাইটেড সিকিম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে ভাস্কোর সঙ্গে। ওই চারটি দল ছাড়া রয়েছে মহামেডান স্পোর্টিং, কালীঘাট এমএস, রয্যাল ওয়াহিংদো। খেলা চলবে ২৫ মার্চ পর্যন্ত। মাঠে দর্শক টানতে স্কুলের ছাত্রছাত্রী, ফুটবল কোচিং ক্যাম্পের খেলোয়াড়দের জন্য প্রবেশ অবাধ করা হয়েছে। শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের সচিব নান্টু পাল বলেন, “প্রথম দিন সিকিম ইউনাইটেড-ভাস্কো ম্যাচ শুরু আগে সংক্ষিপ্ত উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। মাধ্যমিক পরীক্ষা চলায় মাইকিং করে প্রচার করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে শহরে হোর্ডিং ব্যানার লাগানো হয়েছে। কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের মাঠে জাতীয় লিগের খেলা দিতে এআইএফএফ-এর কর্মকর্তাদের কাছে আমরা আর্জি জানিয়েছি।”
বি সি রায় ট্রফি, আই-লিগের দ্বিতীয় ডিভিশন ফুটবল প্রতিযোগিতার পর শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের মাঠে আগামীতে আই লিগের খেলা হওয়ার সম্ভবনার কথা অবশ্য এ দিন জানিয়েছেন এআইএফএফ-এর কর্মকর্তারাই। তাঁরা জানান, আই-লিগের অন্যতম দল প্রয়াগ ইউনাইটেড শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামকে হোম গ্রাউন্ড করতে ইচ্ছের কথা জানিয়েছে। সেই সুবাদেই আগামীতে শিলিগুড়ির এই মাঠে আই-লিগে প্রয়াগের হোম ম্যাচ হওয়ার উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। এআইএফএফ-এর পর্যবেক্ষক দেবজ্যোতি মুখোপাধ্যায় বলেন, “আইএফএ-র তৎকালীন সচিব প্রয়াত প্রদ্যুৎ দত্তের উদ্যোগে শিলিগুড়িতে নেহেরু কাপের খেলা হয়েছিল। ফুলবল নিয়ে শিলিগুড়ি তথা উত্তরবঙ্গে সেই উন্মাদনা ফেরাতে আমরা চেষ্টা করছি। কিছুদিন আগে বি সি রায় ট্রফির খেলা হয়েছে। আই লিগের দ্বিতীয় ডিভিশনের খেলার পর আই-লিগের খেলাও কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে করাতে আমরা সচেষ্ট। ইতিমধ্যে প্রয়াগ ইউনাইটেড শিলিগুড়ির এই মাঠকে তাদের হোম গ্রাউন্ড করতে আগ্রহ প্রকাশ করে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে।” এ দিন উপস্থিত ছিলেন আই লিগের সিনিয়র ম্যানেজার পি সুজেশ রঞ্জন, ম্যাচ কমিশনার এম জি সুবর্ণ। সুজেশবাবু বলেন, “মাঠ দেখে আমরা খুশি। আই-লিগের ম্যাচের জন্য আরও কয়েকটি পরিকাঠামো গড়ে তোলার কথা জানিয়েছি। তা সম্পন্ন হলে আই লিগের কিছু ম্যাচ শিলিগুড়িতে হতে পারে।” কী কী পরিকাঠামোর প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়েছেন সুজেশবাবু? তাঁর কথা, ফ্লাড লাইটের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। যে কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। সেপ্টেম্বর নাগাদ আই-লিগের খেলা হলে তাঁর আগেই এই কাজ শেষ হয়ে যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। অপর দু’টি জরুরি পরিকাঠামোর মধ্যে রয়েছে ফুটবলারদের ‘ড্রেসিং রুম’-এর সামান্য কিছু পরিবর্তন। এবং মাঠের পরিস্থিতি জাতীয় স্তরের ফুটবল ম্যাচের জন্য আরও ভাল ভাবে উপযোগী করে তোলা। সম্প্রতি মাঠ পরিদর্শন করে তা জানানোর পর মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তাদের সেই তোড়জোড় শুরু হওয়ায় সুজেশবাবু সন্তোষ প্রকাশও করেন। |