একটা সময় শ্রীলঙ্কার রান ছিল ৩০ ওভারে ১৪৪-৬। জয়ের জন্য দরকার ৩২২। এর পরে যে ম্যাচের আর কিছু বেঁচে থাকতে পারে, তা সম্ভবত ভাবতে পারেননি কেউ। কিন্তু নুয়ান কুলশেখরা অন্য রকম ভেবেছিলেন। আট নম্বরে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কার এই পেসার ৪৩ বলে ৭৩ রান করে অবিশ্বাস্য একটা জয়ের সামনে এনে দিয়েছিলেন তাঁর দলকে। সে সময় শেষ তিন ওভারে শ্রীলঙ্কার দরকার ছিল মাত্র ২৩ রানের। ওই সময়টায় মনে হচ্ছিল, অসম্ভবটা বুঝি সম্ভব করে দেবেন শ্রীলঙ্কার লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানেরা। কিন্তু তা হয়নি। ৪৮ এবং ৫০তম ওভারে দু’উইকেট তুলে নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে জয় এনে দেন শেন ওয়াটসন। শ্রীলঙ্কার ইনিংস শেষ হয় ৪৯.২ ওভারে ৩০৬ রানে। |
তবে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের পিছনে আজ সবচেয়ে বড় ভূমিকা যাঁর ছিল, তাঁর নাম ডেভিড ওয়ার্নার। ওয়ান ডে সিরিজে তাঁর ব্যাট থেকে সে রকম বড় ইনিংস পাওয়া যায়নি। এমনকী ফাইনালে তাঁকে বাদ দেওয়ার কথাও একটা সময় উঠেছিল। সব কিছুর জবাব দেওয়ার জন্য এই ম্যাচটাই বেছে নিলেন অস্ট্রেলিয়ার বাঁ হাতি ওপেনার। নিজের সেরা স্কোরটা তো করলেনই, ব্রিসবেনেও এক দিনের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটা খেলে গেলেন এ দিন। ইনিংসের শেষ বলে ওয়ার্নার যখন বোল্ড হলেন, তাঁর নামের পাশে লেখা ১৫৭ বলে ১৬৩। মেরেছেন ১৩টি চার, দুটো ছয়। ওয়ার্নারের পাশাপাশি অন্য ওপেনার ম্যাথু ওয়েড করে যান ৬৪।
অস্ট্রেলিয়ার ৩২১-৬ তাড়া করে শ্রীলঙ্কার শুরুটা মোটেও ভাল হয়নি। একশো রানের মধ্যে তিন উইকেট পড়ে গিয়েছিল। মিডল অর্ডারও খেলতে পারেনি। পাল্টা লড়াইটা শুরু করেন থরঙ্গা (৬০) এবং কুলশেখরা। দু’জনের জুটিতে ওঠে ১০৪ রান। কুলশেখরা আউট হয়ে যাওয়ার পর ধামিকা প্রসাদ (২১ বলে ৩১ ন.আ.) একটা চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু কাজে আসেনি। অস্ট্রেলীয় বোলারদের মধ্যে ডেভিড হাসি চারটে এবং ওয়াটস ও লি তিনটে করে উইকেট নেন। ম্যাচের সেরা ওয়ার্নার। মঙ্গলবার অ্যাডিলেডে দ্বিতীয় ফাইনাল। ওখানে জিতলেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবেন মাইকেল ক্লার্করা। তবে কুঁচকির চোটের জন্য দ্বিতীয় ফাইনালে অনিশ্চিত ওয়ার্নার। |